কিছুদিন আগে পর্যন্তও আমরা ঠিকঠাক জানতাম না, ঠিক কত সংখ্যক লোক কোন ধর্মে বিশ্বাস করে । সতেরো শতক থেকে ইউরোপে (এবং উনিশ শতকের শেষে এদেশেও) চালু হয় আধুনিক অর্থে ‘সেন্সাস’ বা লোকগণনা । তাতে ধরা পড়ে বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা । তবে, সে সব লোকগণনায় কার ধর্ম কী সেটা প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করা হত না, সেটা ধরে নেওয়া হত তার পারিবারিক পরিচয় থেকে ।
ফলে তাদের মধ্যে কেউ নাস্তিক আছে কিনা বোঝা যেত না, অবশ্য তখন সম্ভবত প্রায় কেউই নাস্তিক ছিল না । বিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ধর্মবিশ্বাসের বিস্তারিত সমীক্ষা শুরু হল ইউরোপ ও আমেরিকায়, এবং তখনই প্রথম বোঝা গেল, বিশ্বাসের লৌহবাসরঘরটি আসলে তত নিশ্ছিদ্র নয় ।
একুশ শতকের গোড়া থেকে আমরা পাচ্ছি পৃথিবীব্যাপী সমীক্ষার নির্ভরযোগ্য ফলাফল, আর তার মধ্যে আছে আমাদের দেশও । সেই সব ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ ও গবেষণায় মেতে উঠেছেন সমাজবিজ্ঞানীরা । কী বলছেন তারা ? এখানে প্রশ্ন নাস্তিকতার উৎপত্তি নিয়ে । কতটা পুরনো এর শেকড় ?
ধর্ম ও ঈশ্বরে অবিশ্বাস ঠিক কতটা পুরোনো ? নাস্তিকতার ইতিহাস খুব বেশি লোক লেখেন নি । যাঁরা লিখেছেন, তাদের এ ব্যাপারে দুই রকম অবস্থান আছে । এক, নাস্তিকতার অস্তিত্ব ছিল সেই প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার সময় থেকেই । দুই, প্রাচীন কালে পুরাণের গল্পের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ ছিল, পুরুতদের লোক ঠকানো নিয়ে সমালোচনা ছিল, অজ্ঞ আনপড় মানুষের কুসংস্কার নিয়ে বিদ্রূপ ছিল, কিন্তু সত্যিকারের নাস্তিকতা ছিল না, এবং জগৎ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক বোধবুদ্ধি অন্তত কিছুদূর পর্যন্ত অগ্রসর না হলে তা সম্ভবও নয় — কাজেই, ইউরোপে অষ্টাদশ শতকের আগে পর্যন্ত সত্যিকারের নাস্তিকতার উদ্ভব ঘটেনি । সেই হিসেবে, ১৭৭০ সালের ফরাসিদেশে বেনামে প্রকাশিত বারোঁ দ্য’লবাখ-এর লেখা দর্শনগ্রন্থ, ইংরেজি অনুবাদে যার নাম দাঁড়ায় ‘দ্য সিস্টেম অফ নেচার’, এটাই হচ্ছে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ নাস্তিকতাবাদী বই । কারণ, এই বইতে শুধু ধর্ম-কুসংস্কার-ঈশ্বরতত্ত্বের নেতিবাচক সমালোচনা নয়, তার প্রতিপক্ষ হিসেবে যুক্তি-বিজ্ঞান-নাস্তিকতা ভিত্তিক একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিবাচক বিকল্প বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছিল । কথাটা ঠিকই, ও ব্যাপারে এই বইটাই সম্ভবত প্রথম । তবু, একটু ভেবে দেখলে এই দুই অবস্থানকে মিলিয়ে হয়ত একটা গোটা আঁটোসাঁটো গল্প বানান সম্ভব । প্রাচীন প্রাচীন গ্রিস ও রোম-এর যুক্তিমনস্ক দার্শনিক, যেমন থ্যালেস, অ্যানাক্সাগোরাস, অ্যানাক্সিমিনিস, অ্যানাক্সিমান্ডার, ডিমোক্রিটাস, লুক্রেশিয়াস, এপিকিউরাস — এঁরা জগৎ ও প্রকৃতির পৌরাণিক ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞান ও যুক্তিসম্মত কার্যকারণের ভিত্তিতে জগৎকে বোঝবার রাস্তাটা হাট করে খুলে দিয়েছিলেন । এঁদের মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত সম্ভবত ছিলেন কবি ও সোফিস্ট দার্শনিক ‘ডায়াগোরাস অফ মেলোস’ । তার এক বন্ধু যখন তাকে সমুদ্রের ঝড়-ঝাপটা থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকদের ছবি দেখিয়ে ঈশ্বরের মাহাত্ম্য প্রমাণের চেষ্টা করেন, তখন তিনি নাকি জিজ্ঞেস করেছিলেন, যারা বেঁচে ফেরেনি তাদের ছবিগুলো কই হে ? আরেকবার, তিনি নাকি দেবতা হেরাক্লেস-এর কাঠের মূর্তি চ্যালা করে তাই দিয়ে জ্বালানি কাঠ বানিয়ে ডাল আর সবজি রেঁধে খেয়েছিলেন, এবং সেই সুবাদে সর্বসমক্ষে দাবি করেছিলেন, এই দেখ হে, দেবতা-টেবতা কিস্যু নয় । কাজেই, এথেন্স শহরের কর্তারা যে তাকে জীবিত বা মৃত ধরে দেবার জন্য চকচকে রৌপ্যমুদ্রার পুরষ্কার ঘোষণা করবেন, সে আর আশ্চর্য কী ? ডায়াগোরাস অবশ্য মারা পড়েননি, পালিয়ে বেঁচেছিলেন ।
তখনকার দিনে আকাশে চাঁদ-সূর্যের ওঠানামা থেকে শুরু করে ঝড়বৃষ্টি-রোগভোগ-যুদ্ধবিগ্রহ সব কিছুর পেছনেই দেবতা কলকাঠি নাড়ছেন বলে ভাবা হত, এই দার্শনিকরা সে অভ্যাসে বিরাট বড় ঝাঁকুনি দিয়ে দেন । গ্রিক সভ্যতাতেই যে প্রথম সুসংবদ্ধভাবে তত্ত্বীয় বিজ্ঞানের চর্চা শুরু হতে পেরেছিল, তার অন্যতম কারণ বোধহয় ওই ঝাঁকুনিটুকুই । তবে, এর প্রভাব শুধু বিজ্ঞানচর্চাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা বিস্তৃত হয়েছিল সাহিত্য ও ইতিহাসচর্চাতেও । প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস যখন ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে অনায়াসে মিশিয়েছেন অলৌকিক পৌরাণিক কাহিনীকেও, তখন তারই উত্তরসূরী থুকিদিদিস ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন শুধুই লৌকিক পৃথিবীর প্রামাণ্য তথ্যাবলীকে, যাকে যাচাই করা যায় এবং যা থেকে ঐতিহাসিক ঘটনার কার্যকারণ নির্ণয় করা যায় । এদিকে, গ্রিক নাট্যকার অ্যারিস্টোফেনিস তার নাটকে নিয়মিতই বিদ্রূপ ও কষাঘাত করেছেন ধর্মীয় অন্ধত্ব প্রতারণা ও অমানবতাকে ।
আবার, শুধু বিজ্ঞান বা ইতিহাসের চর্চাই নয়, প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিকেরা কেউ কেউ যুক্তিবাদী পথে নির্মাণ করার চেষ্টা করেছিলেন ধর্মের উদ্ভব ও বিকাশের সমাজতত্ত্বও, যা নাকি পরবর্তীকালে ইউরোপে আঠেরো শতকের আগে ঠিকঠাক শুরুই হতে পারেনি । যেমন, প্রডিকাস বলেছিলেন, মানুষ যাতে সবার অলক্ষ্যেও কোনও বে-আইনি বা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে না পারে, তার জন্যই সমাজ-কর্তাদের দ্বারা ঈশ্বরের নির্মাণ, তার জন্যই ‘ওপর থেকে নজর রাখা মহাশক্তিমান’ কোনও একজনের গল্প বানিয়ে তোলা । আরেকজন দার্শনিক জেনোফেন্স্ আফ্রিকা ঘুরে এসে লক্ষ করেছিলেন যে, সেখানকার মোটা নাক আর মোটা ঠোঁটওয়ালা কালো মানুষদের দেবতারা দেখতে ঠিক তাদেরই মত, চোখা নাকওয়ালা ফর্সা ইউরোপীয় দেবতাদের মত মোটেই নয়, এবং সেইজন্যে বলেছিলেন, সকলেই নিজের দেবতাকে নিজের মত করেই বানায় । ঘোড়া আর পিঁপড়েরা যদি দেবতা বানাত, তো সে দেবতা ঠিক তাদেরই মত হত । সেদিনের পক্ষে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত, সন্দেহ নেই । কিন্তু এ সব চিন্তা সেদিন কতিপয় প্রতিভাবানের বৌদ্ধিক ক্ষমতার নিদর্শন হয়েই থেকেছে । মূলস্রোতের বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গীকে তা স্পর্শ করতে তো পারেইনি, এমন কি, একটি সুসংহত চিন্তাতন্ত্র হিসেবেও গড়ে উঠতে পারেনি । তা ছাড়া, ধর্ম ও ঈশ্বরতত্ত্বের এই ধরনের সমালোচনাগুলো কতটা স্রেফ ওই সময়ের গ্রিসে প্রচলিত পৌত্তলিক ধর্মের সমালোচনা, আর কতটা আধুনিক অর্থে খাঁটি নাস্তিকতা, সে প্রশ্নও থেকে যায় । সে সময়ের চিন্তাবিদদের সব লেখা তো পাওয়া যায় না, বা পাওয়া গেলেও সবক্ষেত্রে মুল গ্রিক ভাষায় পাওয়া যায় না, লেখাগুলোর যে সমস্ত টুকরো-টাকরা লাতিন আরবি বা সিরীয় ভাষার অনুবাদের মধ্যে দিয়ে টিঁকে আছে সেটুকুই শুধু পাওয়া যায় । আবার, সমসাময়িক বা পরবর্তী অন্য দার্শনিকদের লেখার মধ্য দিয়েও অনেক সময় তাদের কথা জানতে হয় । ফলে, ধোঁয়াশা পুরোপুরি কেটে ওঠা খুব মুশকিল । আরেকটা খুব বড়সড় মুশকিল হচ্ছে, সেই সময়ে ‘নাস্তিক’ (প্রাচীন গ্রিকে ‘আথিওস’) শব্দটি শুধু নাস্তিক বোঝাতে নয়, ভিন্নধর্মীদের প্রতি গালি দেবার জন্যও ব্যবহৃত হত । ফলে, তার মধ্যে থেকে খাঁটি নাস্তিকতাকে খুঁজে বার করা বেশ কঠিন কাজ ।
ঠিক এই একই সমস্যা প্রাচীন ভারতীয় নাস্তিকতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । সেখানেও ‘নাস্তিক’ শব্দটি নিক্ষিপ্ত হত গালি হিসেবে, ভিন্নমতাবলম্বী এবং ‘বেদ’-এর প্রামাণ্যতায় অবিশ্বাসীদেরকে লক্ষ্য করে । তাছাড়া, প্রাচীন ভারতে নাস্তিকতাবাদী গ্রন্থ বলতে কিছুই পাওয়া যায় না, ধর্মবিশ্বাসীদের লেখায় তার নিন্দাসূচক উল্লেখ থেকে পণ্ডিতেরা নাস্তিকতার অস্তিত্ব অনুমান করে থাকেন । একই কারণে, এখানেও কিছু ধোঁয়াশা অনিবার্য, গুরুগম্ভীর ধর্মীয় বাগাড়ম্বর ও প্রতারণার বিরুদ্ধে শাণিত ও বুদ্ধিদীপ্ত সমালোচনা এবং বস্তুবাদী চিন্তার স্পষ্ট ইঙ্গিত সত্ত্বেও ।
এখন, আমরা যদি পৌরাণিকতা, অলৌকিকতা, ধর্মীয় অন্ধত্ব ও প্রতারণার বিরুদ্ধে এই প্রাচীন যুক্তিবাদী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে অষ্টাদশ শতকের ইউরোপের দিকে যাত্রা করি, তাহলেই দুটো একটিমাত্র গল্পে এসে মিলবে । তখন আমরা দেখতে পাব, প্রাচীন কালে যা সম্ভব ছিল না, সপ্তদশ শতকের বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের ওপর ভর করে অষ্টাদশ শতকের ইউরোপীয় প্রেক্ষিতে তা অনায়াসেই সম্ভব হয়ে উঠছে — গড়ে উঠছে পূর্ণাঙ্গ নাস্তিকতাবাদী দর্শন — ব্রিটেন ও ফ্রান্স-এ । ব্রিটেনে ডেভিড হিউম এবং ফ্রান্স-এ ‘এনলাইটেনমেন্ট’ বা আলোকপ্রাপ্ত যুগের দার্শনিকরা ধর্মীয় শাস্ত্রগুলোর হাস্যকর ভ্রান্তি ও অমানবতাকে শিক্ষিত সমাজের চোখের সামনে তুলে ধরলেন । ততদিনে নিউটনীয় বিজ্ঞানের কল্যাণে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অনেক রহস্যই ফাঁস হয়ে গেছে, বহু অজানা প্রশ্নের উত্তর ধর্মশাস্ত্রের কবল থেকে ছিনিয়ে নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে বিজ্ঞান, নাস্তিকতা পেয়েছে নতুন আশা, নতুন আত্মবিশ্বাস । ‘এনলাইটেনমেন্ট’ বা আলোকপ্রাপ্ত যুগের দার্শনিকদের মধ্যে বারোঁ দ্য’লবাখ-এর নাম আগেই করেছি, তার সাথে ছিলেন দনি দিদেরো আর এলভেতিউস-এর মত শক্তিমান চিন্তাবিদরাও, আর ছিলেন ভোলতেয়র যিনি ঠিক নাস্তিক না হয়েও ধর্মের অন্ধত্ব ও অমানবতাকে যুক্তির অস্ত্রে কেটে খান খান করেছিলেন । উনিশ শতকে এ পরিস্থিতি আরও পেকে উঠল । নিউটনীয় যন্ত্রবিদ্যা ও জ্যোতির্বিদ্যার সাথে যুক্ত হল তাপ ও বিদ্যুৎ শক্তি বিষয়ক জ্ঞান, জানা গেল জৈব রসায়ন ও জীববিবর্তনের রহস্য, আর যন্ত্রপাতি যা বানান হল তার প্রভাবে সামাজিক পরিবর্তনের গতি বেড়ে গেল বহুগুণ — আজকের প্রতিষ্ঠিত ধ্যানধারণা ও মূল্যবোধ কালকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে শুরু করল । ফলে, অষ্টাদশ শতকে যা ছিল কিছু এলিট চিন্তাবিদদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, উনিশ শতকে তা গণভিত্তি পেতে শুরু করল । ব্রিটেনে চার্লস্ ব্র্যাডলাফ প্রথম নাস্তিক হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট-এ নির্বাচিত হলেন ১৮৮০ সালে । কিন্তু তিনি ধর্মীয় শপথ নিতে চাইলেন না, এবং তার ফলে তাকে কিছুতেই পার্লামেন্টে তার প্রাপ্য আসনে বসতে দেওয়া হল না । শেষ পর্যন্ত প্রচুর লড়াই করে তিনি জনমতকে নিজের পক্ষে আনতে সক্ষম হলেন ১৮৮৬ সালে, পেলেন তার প্রাপ্য আসন । এই লড়াইয়ের ফলেই ব্রিটেনে তৈরি হল নতুন আইন, যাতে ধর্মীয় শপথ ছাড়াই পার্লামেন্টে বসা যায়, এবং আদালতে সাক্ষ্যও দেওয়া চলে ।
এভাবেই ইউরোপের এ লড়াই ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকাতে, এবং সারা পৃথিবীতেই । প্রাচীনকালের পুরুত-গণৎকার নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের ধ্যানধারণা থেকে সরে এসে সভ্য পৃথিবী স্থিত হয় ‘সেক্যুলার’ বা ধর্মনিরপেক্ষ প্রশাসনের ধারণায়, যেখানে রাষ্ট্র ধর্মের সাথে সংস্রব রাখবে না, প্রশাসন-শিক্ষা-বিচারব্যবস্থা ধর্মের প্রভাবমুক্ত থাকবে, এবং ধর্ম হবে পুরোপুরি ব্যক্তিগত ব্যাপার । এই সময়ে নাস্তিকতার ভিত্তি আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে, তত্ত্বে ও প্রয়োগে তা ক্রমশই আরও বিকশিত হয়ে উঠতে থাকে, রাজনৈতিকভাবেও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে । যদিও, খাঁটি নাস্তিকতা ভাগ হয়ে যায় দুটি পৃথক এমন কি বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে — উদারনৈতিক ও সমাজতন্ত্রী ।
তবু, তখনও তা ছিল মূলত সুশিক্ষিত চিন্তাশীল র্যাডিক্যাল এলিটদের চর্চা, সমাজের নিচুতলায় সত্যিকারের আমজনতার মধ্যে নাস্তিকতা ছড়িয়ে পড়তে পারেনি । সেটা ঘটতে ঘটতে এসে গেল বিশ শতকের শেষভাগ ।
এসডব্লিউ/এসএস/২০৪৫
আপনার মতামত জানানঃ