অবাক কাণ্ড ঘটালেন এক বিজ্ঞানী। ২৬০ কোটি বছরের পুরোনো পানি তিনি পান করে বসেছেন! তাকে এমন কাজ করতে দেখে অবাক সবাই। কিন্তু কেমন ছিল সেই প্রাগৈতিহাসিক পানির স্বাদ?
ঘটনাটি যদিও ২০১৩ সালের। তবে সম্প্রতি জানা গেছে। আর তাকে এমন কাজ করতে দেখে অবাক হয়েছিলেন সবাই। পানির অপর নাম জীবন। তাই তো দৈনন্দিজন জীচনের পানির ব্যবহার অপিহার্য। পানি ব্যবহারে সবচেয়ে সর্তক থাকতে ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে তা পান করার হয়। কয়েকদিনের জমাট থাকা পানি কেউ পান করতে চায় না।
তাই সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই বিজ্ঞানী ২শ’ ৬০ কোটি বছরের পুরোনো পানি পান করে বসেছেন! কিন্তু কেমন ছিল সেই প্রাগৈতিহাসিক পানির স্বাদ?
ঘটনাটি যদিও ২০১৩ সালের। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে। সেই সময় কানাডার অন্টারিওয় এক খনিতে বিজ্ঞানীরা ভূপৃষ্ঠ থেকে দেড় মাইল নিচে অবস্থিত ওই পানির সন্ধান পান। গ্র্যানাইটের মতো দেখতে পাথরের খাঁজে তা জমে ছিল। এরপর শুরু হয় ওই পানি নিয়ে গবেষণা।
নমুনা পরীক্ষা করে বোঝা যায় তা ২৬০ কোটি বছরের পুরনো। তারপরই সকলকে অবাক করে গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক বারবারা শেরউড লোল্লার প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীর চিহ্ন ওই পানি পান করে বসেন। যা দেখে তাক লেগে যায় আশপাশের সকলের।
কিন্তু কেমন ছিল ওই পানির স্বাদ? ২৬০ কোটি বছরের পুরনো হলেও পানিটি এক বা দুই দিনের বেশি পুরানো মনে হয়নি। কিন্তু কেমন ছিল ঐ পানির স্বাদ? এককথায় বলতে গেলে মোটেই সুবিধার নয়। বারবারা জানাচ্ছেন, ভয়ানক নোনতা স্বাদের ঐ পানি।
খেতে খানিক ম্যাপল সিরাপের মতো ছিলো। পানিতে এমনিতে কোনো রং ছিল না, তা বর্ণহীনই ছিল। কিন্তু বাইরে আনতেই অক্সিজেনে সংস্পর্শে বিক্রিয়া করে পানি হয়ে যায় কমলা রঙের।কারণ এতে খনিজ পদার্থ থাকে।
বিজ্ঞানীরা একই অঞ্চলে আরও পুরানো পানি আবিষ্কার করেছেন প্রায় তিন বছর আগে।যা পূর্বের আবিষ্কারের চেয়ে কমপক্ষে ৫০ কোটি বছর বেশি প্রাচীন বলে মনে করা হয়েছিলো।
এসডব্লিউএসএস/১৫৩০
আপনার মতামত জানানঃ