State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • শুরু হল আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর বেআইনি হত্যার তদন্ত
    • ছবিতে দেখুন ১৯ শতকের বরফে মোড়া নায়াগ্রা জলপ্রপাত
    • উত্তাল ভারত, মোদিকে মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের জেল
    • সমকামী পরিচয় দিলেই পেতে হবে কঠিন সাজা
    • প্রায় ৪ লাখ বছর পুরনো প্রাচীনতম অস্ত্র আবিষ্কার
    • দেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন: কী বলছে সরকার?
    • কেন বিদ্যুতে সরকারের ভুল পরিকল্পনার দায় চাপছে ভোক্তার উপর?
    • ভয়াবহ বিষাক্ত ঢাকার বায়ু, ঝুঁকিতে মাতৃগর্ভের শিশুরাও
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      মার্চ ১২, ২০২৩

      সরকারি অর্থায়নের হাসপাতালে বেসরকারি ফি, বিপাকে রোগীরা

      Recent
      মার্চ ২২, ২০২৩

      বাংলাদেশের পুলিশ কেন আইনের উর্ধ্বে?

      মার্চ ১৯, ২০২৩

      র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘাবড়ানোর কিছু নেই’

      মার্চ ১২, ২০২৩

      সরকারি অর্থায়নের হাসপাতালে বেসরকারি ফি, বিপাকে রোগীরা

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩

      বাংলাদেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন মনিটর করবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯ রাষ্ট্র

      Recent
      মার্চ ৭, ২০২৩

      গত বছর দেশে ৯ হাজার ৭৬৪ জন নারী সহিংসতার শিকার

      ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩

      কেন বান্দরবান থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিল পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি?

      ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩

      বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ক্রমবর্ধমান হারে চাপ বেড়েছে: আইপিআইয়ের

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      মার্চ ১৯, ২০২৩

      পুতিন যুদ্ধাপরাধী হলে বুশ, ব্লেয়ার বা সৌদি যুবরাজ কেন নয়?

      Recent
      মার্চ ২৩, ২০২৩

      শুরু হল আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর বেআইনি হত্যার তদন্ত

      মার্চ ২৩, ২০২৩

      উত্তাল ভারত, মোদিকে মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের জেল

      মার্চ ২২, ২০২৩

      সমকামী পরিচয় দিলেই পেতে হবে কঠিন সাজা

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩

      যেভাবে গ্যাস খাতকে ধ্বংস করছে সরকারের আমদানি নির্ভরতা

      Recent
      মার্চ ১৭, ২০২৩

      উন্নয়নের ফাঁদে বাংলাদেশ: যে কারণে বাড়ছে সঞ্চয়পত্র ভাঙার প্রবণতা

      মার্চ ১১, ২০২৩

      দেশের ব্যাংকিং খাতকে ‘নেগেটিভ’ রেটিং মুডিসের: কয়েক দশক পেছাবে অর্থনীতি

      মার্চ ১১, ২০২৩

      যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে রপ্তানি: কী পরিণতির দিকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প?

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      আবারো অবনমন: সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২

      Recent
      মার্চ ২২, ২০২৩

      ভয়াবহ বিষাক্ত ঢাকার বায়ু, ঝুঁকিতে মাতৃগর্ভের শিশুরাও

      মার্চ ৭, ২০২৩

      গত বছর দেশে ৯ হাজার ৭৬৪ জন নারী সহিংসতার শিকার

      ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

      সড়ক দুর্ঘটনা: জানুয়ারিতে ঝরেছে নিরীহ ৬৪২ প্রাণ

    • আর্কাইভ
    State Watch
    এডিটর পিক

    অন্যান্য দেশ ডলার সঙ্কট সামলাতে পারলেও বাংলাদেশ কেন পারছে না?

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩No Comments6 Mins Read

    চলতি অর্থবছরে আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত অর্থবছরে যেখানে মাসে গড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল আসত, এ বছর তা কমে মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার আসছে। এছাড়া কিছু কিছু পণ্যের দামও কমছে। তাহলে এখন সমস্যাটা কোথায়? এখনও কেন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না?

    ‘দয়া করে আমাদের ডলার দিন। কাঁচামাল আমদানির জন্য আমরা ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছি না।’ অনুরোধটি করেছেন ইস্পাত, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতে যুক্ত একজন ব্যবসায়ীর।

    ওষুধ প্রস্তুতকারকরাও একই সংকটে আছে। তারা বলছে, শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ভোগ্যপণ্যের জায়ান্টদের পেছনে ব্যাংক ঘোরে—এখন তারাও নিত্যপণ্য আমদানির জন্য ডলারের সংস্থান করতে হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি ব্লাড ব্যাগের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাপণ্যের আমদানিকারকরাও ডলার পাচ্ছে না। কেন? এসব পণ্য আমদানি করতে তো কোটি কোটি ডলার লাগে না।

    বাংলাদেশের বছরে মাত্র ৯ লাখ ব্লাড ব্যাগ লাগে। প্রতি ব্যাগের খরচ ১০০ টাকারও কম—অর্থাৎ সব মিলিয়ে বছরে ১০ কোটি টাকা বা ১ মিলিয়ন ডলারের মতো প্রয়োজন। কিন্তু ব্যাংক এই অল্প পরিমাণ ডলারও দিতে পারছে না।

    ডলারের সংস্থান করতে পারছে না বলে শতভাগ আমদানিমুখী ব্যবসাগুলো বিপর্যয়ের মুখে। এতে তাদের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। নিজস্ব চাহিদা পূরণের জন্য অল্প কিছু রপ্তানিকারকের কাছে পর্যাপ্ত ডলার আছে। তারা ছাড়া বাকি সব ব্যবসা গত ছয় মাস ধরে ডলারের অভাবে ভুগছে।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বলায় ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, আগামী কয়েক মাসেও এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এর অর্থ হলো, বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করতে পারবে না।

    অন্যান্য দেশ কীভাবে সামলাচ্ছে?

    বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক সূচকগুলো—যেমন মাথাপিছু আয়, আনুপাতিক জিডিপি ও তুলনীয় আমদানি-রপ্তানি—প্রায় একই। তারপরও ভারত তাদের আর্থিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের তুলনায় ভালোভাবে সামলাচ্ছে। পরিস্থিতি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ কেন এই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে?

    চলমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনার বেশ কিছু দুর্বলতা প্রকাশ্যে এনেছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে, এছাড়া ছয় মাসে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা টাকার মান হারিয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। এর ফলে ডলার সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে যেসব ব্যবসা ও আমদানিকারক, তারা সংকটে পড়েছে।

    কেন আর্থিক সঙ্কটে বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের আর্থিক সংকটের অন্যতম কারণ হলো দেশের অতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে কাঁচামাল ও পণ্য উৎপাদন না হওয়া। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে।

    খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে চিনি, ভোজ্য তেল, মসলা, পেট্রোলিয়াম পণ্য, সার, তুলা, সুতা, রাসায়নিক, শিল্পের যন্ত্রপাতি, সিমেন্ট ও ইস্পাত কারখানার কাঁচামালসহ প্রায় সব পণ্যই আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যমূল্যও চড়চড় করে বেড়ে যায়।

    ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি বিল ৮২.৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

    গত অর্থবছরে যেখানে মাসে গড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল আসত, এ বছর তা কমে মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার আসছে। এছাড়া কিছু কিছু পণ্যের দামও কমছে। তাহলে এখন সমস্যাটা কোথায়? এখনও কেন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না?

    ব্যাংকারদের মতে, কয়েক মাস আগে খোলা এলসিগুলোর বিপরীতে অর্থপ্রদানের বাধ্যবাধকতার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর এখনও চাপ আছে

    কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী করছে?

    গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মোটর গাড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ইলেকট্রনিকস ও বৈদ্যুতিক পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার ন্যূনতম মার্জিন বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    পাশাপাশি শিশুখাদ্য, প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষিপণ্য ছাড়া অন্যান্য সমস্ত পণ্যের জন্য এলসি মার্জিন ৫০ শতাংশ ঠিক করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মোটর গাড়ির মতো কিছু পণ্যের জন্য এলসি মার্জিন বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়।

    ট্রেজারি ব্যাংকাররা বলেন, এলসি মার্জিন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চর্চা পুরোনো পদ্ধতি। অতীতে কিছু দেশ কিছু সফলভাবে এই নীতি ব্যবহার করেছে। যেমন, ১৯৮০-র দশকে আমদানি কমাতে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে ভারত এলসি মার্জিন বাড়িয়েছিল।

    নীতিটি আমদানি হ্রাস ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সফল হয়েছিল। তবে এর ফলে কিছু আমদানিকৃত পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়।

    কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ডলারের জন্য, টাকার জন্য নয়। যেসব আমদানিকারক শতভাগ এলসি মার্জিন দিয়েই আমদানি করতে প্রস্তুত তারাও ব্যাংক থেকে ডলার পাচ্ছে না।

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৯৯৭ সালের আর্থিক সংকট—যা এশিয়ান আর্থিক সংকট নামেও পরিচিত—এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ওই সংকটের সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অর্থনীতি তাদের মুদ্রার বিনিময় হার ঠিক রাখতে নানান কৌশল অবলম্বন করেছিল।

    যেমন, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়। এর ফলে তাদের মুদ্রা বাজারশক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওঠানামা করতে পারে। পুঁজির বহিঃপ্রবাহ ঠেকাতে এবং নিজেদের মুদ্রাকে সহায়তা দিতে এই দেশগুলো তাদের নিজেদের মুদ্রা বিক্রি করে ও বৈদেশিক মুদ্রা কেনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপ করেছিল। দেশে ও দেশের বাইরে অর্থের প্রবাহ সীমিত করার জন্য তারা মূলধন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপও নিয়েছিল।

    ওই সময় সিঙ্গাপুর একটিমাত্র বৈদেশিক মুদ্রার বদলে একাধিক মুদ্রার বিপরীতে নিজেদের মুদ্রার বিনিময় হার ঠিক করত। এর ফলে সংকটের সময় মুদ্রার বিনিময় হার ঠিক করা দেশটির জন্য একটু সহজ হতো, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার পরিস্থিতি অনুসারে বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয় করতে পারত।

    বাংলাদেশেরও কি বাজারভিত্তিক বিনিময় হারে যাওয়া উচিত?

    বাংলাদেশ ২০০৩ সালে ভাসমান বিনিময় হার (বাজারভিত্তিক) চালু করেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবসময়ই এ বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করে এসেছে বলে তা কখনোই বাজারভিত্তিক ছিল না।

    বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করার কিছু সুবিধা আছে—যেমন প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা অর্জন, স্থিতিশীলতা ও মুদ্রানীতিকে সহায়তা দেওয়া। তবে বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস ও অদক্ষতাসহ বেশ কিছু গুরুতর সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

    বিশ্লেষক ও ব্যাংকাররা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন, বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত তাদের কথায় কান দেয়নি। এরপর গত আগস্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুঝতে পারে, বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা রিজার্ভ থেকে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করতে পারছে না।

    কিন্তু এরপরও বাংলাদেশ ব্যাংক অদ্ভুত এক সিদ্ধান্ত নেয়—তিন ধরনের বিনিময় হার চালু করে তারা: রেমিট্যান্স প্রেরক, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারক প্রত্যেকের জন্য আলাদা বিনিময় হার বেঁধে দেয়।

    বাংলাদেশের কি একাধিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিনিময় হার ঠিক করা উচিত?

    বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার দর ঠিক করা হয় মার্কিন ডলারের বিপরীতে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সক্রিয়ভাবে বিনিময় হারের ব্যবস্থাপনা করে। কার্যত এর অর্থ হলো, বিনিময় হারের পরিসর ছোট রাখার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ডলার কেনাবেচা করা। একক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান ঠিক করার ফলে বিনিময় হার স্থিতিশীলতা পেয়েছে। এটি যেমন দেশকে মূল্যস্ফীতির হার কমাতে সাহায্য করেছে, তেমনি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের স্থিতিশীল পরিবেশ দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করেছে।

    তবে একাধিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিনিময় হার ঠিক করার বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন, এর ফলে মাত্র একটি মুদ্রার ওপর নির্ভরশীলতা কমায়, যা বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা কমাতে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি অর্থনীতির বহুমুখীকরণ বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।

    অন্যদিকে একাধিক মুদ্রার বিপরীতে বিনিময় হার ঠিক করার অন্যতম অসুবিধা হলো, এর ব্যবস্থাপনা বেশি কঠিন এবং মুদ্রাগুলো কাছাকাছি মানের না হলে বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা কমে যেতে পারে।

    তবে শেষ কথা হলো, একাধিক মুদ্রার বিপরীতে বিনিময় হার ঠিক করা যাবে কি না, তা আসলে নির্ভর করছে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক ও আর্থিক পরিস্থিতি এবং বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা, বহুমুখীকরণ ও পরিচালনাযোগ্যতার মধ্যকার ভারসাম্যের ওপর। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নীতিনির্ধারকদের উচিত উভয় পদ্ধতির সুবিধা-অসুবিধা দুটোই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা।

    এসডব্লিউএসএস/১৫১৬

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    ডলার সঙ্কট

    Related Posts

    যে কারণে কাটবে না ডলার সঙ্কট, আরও খারাপ হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি

    কাগজের সংকট: নতুন বই আর পড়াশোনা নিয়ে আশঙ্কা বাংলাদেশে

    ডলার সংকটে ব্যাংক: পোশাক রপ্তানিকারকরা ভয়াবহ বিপাকে

    বিজ্ঞাপন

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    মার্চ ২৩, ২০২৩

    শুরু হল আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর বেআইনি হত্যার তদন্ত

    মার্চ ২৩, ২০২৩

    ছবিতে দেখুন ১৯ শতকের বরফে মোড়া নায়াগ্রা জলপ্রপাত

    মার্চ ২৩, ২০২৩

    উত্তাল ভারত, মোদিকে মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের জেল

    মার্চ ২২, ২০২৩

    সমকামী পরিচয় দিলেই পেতে হবে কঠিন সাজা

    মার্চ ২২, ২০২৩

    প্রায় ৪ লাখ বছর পুরনো প্রাচীনতম অস্ত্র আবিষ্কার

    বিজ্ঞাপন

    সর্বাধিক পঠিত
    • প্রায় ৪ লাখ বছর পুরনো প্রাচীনতম অস্ত্র আবিষ্কার
      মার্চ ২২, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      জার্মানির একটি রাজ্য লোয়ার স্যাক্সোনির ছোট্ট শহর শোনিঙ্গেন। মাত্র দশ-এগারো হাজার লোকের শহরে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নির্মাণ করা হয়েছে শোনিঙ্গেন...
    • ছবিতে দেখুন ১৯ শতকের বরফে মোড়া নায়াগ্রা জলপ্রপাত
      মার্চ ২৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      প্রতিবছরই বরফে মুড়ে যায়নায়াগ্রা ফলস। কানাডার হাড়হিম করা ঠান্ডায় বরফ হয়ে যায় নায়াগ্রা ফলসের পানি। নায়াগ্রা ফলসে বেড়াতে গিয়ে চোখধাঁধানো...
    • ভেঙে দুই টুকরো হবে আফ্রিকা মহাদেশ, তৈরি হবে নতুন এক সমুদ্র
      মার্চ ১৯, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      সেই কোন কালে তৈরি হয়েছিল বিশ্ব মানচিত্র। আজও তা অনুসরণ করে চলছে গোটা দুনিয়া। ছোটখাটো পরিবর্তন যে ঘটেনি, তা নয়।...
    • ধর্ম এবং কুসংস্কার একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ!
      মার্চ ১৮, ২০২৩
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      জাকির হোসেন মনে করা হয় যে মানুষের কুসংস্কার বা অতিপ্রাকৃত বিশ্বাসগুলি সভ্যতার প্রথম দিক্কার এবং তারা  প্রথম প্রাগৌতিহাসিক ধর্ম সৃষ্টি...
    • ডারউইনের হাজার বছর আগে বিবর্তনবাদের তত্ত্ব দিয়েছিলেন যে মুসলিম দার্শনিক
      মার্চ ২২, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব। তার এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে প্রাণীরা সময়ের...
    আজকের ভিডিও
    https://youtu.be/k-yAjxNV02I
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২৩ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.