নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিয়ের প্রলোভনে তিন সন্তানের বিধবা মাকে (৩৫) একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বাড়িওয়ালার ছেলে খোকা মিয়া। অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে ধর্ষককে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সালিশ করেছেন নাসিকের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর (১৯,২০,২১) শিউলি নওশাদ। গত সোমবার রাতে বন্দরের দড়িসোনাকান্দা এলাকায় নিজ বাসভবনে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন কাউন্সিলর। জরিমানার টাকা এক মাসের মধ্যে পরিশোধের সময় নির্ধারণ করে ধর্ষণের শিকার নারীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখেন কাউন্সিলর। এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেক নারী এ প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, কাউন্সিলর নিজে একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর সল্ফ্ভ্রমের মূল্য নির্ধারণ করেন কীভাবে?
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, বাড়িওয়ালার ছেলে খোকা মিয়া গত রোববার রাতে ওই নারীকে আবারও ধর্ষণ করে। রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের জনান তিনি। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের কাছে যান খোকা মিয়ার মা। গত সোমবার রাতে সালিশ করেন কাউন্সিলর। ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, খোকাদের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকে সে আমাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। একপর্যায়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ে নিয়ে টালবাহানা করায় আমি তার কাছ থেকে দূরে সরে যাই। গত রোববার রাতে সে আমার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। বিষয়টি জানানোর পর সোমবার রাতে কাউন্সিলর শিউলি তার বাসায় সালিশ বসিয়ে খোকাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এক মাস পর টাকা দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন তিনি। কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সালিশ করিনি। পঞ্চায়েতের লোকজন করেছেন। তবে আমার বাসায় সালিশটা হয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ