গতকাল শনিবার শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বারোমারি বাজারে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী ব্যক্তি উত্তর আন্ধারুপাড়া বাইতুল মামুর শান্তিময় মসজিদের ইমাম ও খতিব মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)। তিনি উত্তর আন্ধারুপাড়া গ্রামের জহুর আলীর ছেলে।
মারধরের প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ইমাম বলেন, একই এলাকার এক যুবক বেশ কিছুদিন ধরে আমার কাছে আসছেন। সে তার মামাতো বোনকে বশে আনতে চায়। এজন্য তাবিজ কবজ করতে বলে। কিন্তু আমি তাবিজ কবজ জানি না বলে যুবককে জানিয়ে দিই। কিন্তু ওই যুবক তবুও আমাকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করতে থাকে।
‘১৫ দিন আগে হঠাৎ ওই যুবকের মামাতো বোন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তার পরিবার মনে করতে শুরু করে, আমার তাবিজকবজের কারণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে মেয়েটির বাবা স্থানীয় পোড়াগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান মো. আজাদ মিয়ার কাছে অভিযোগ করেন।’
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান বারোমারি বাজারে তার কার্যালয়ে গতকাল সকালে ১০টার দিকে সালিস ডাকেন। সেখানে ইমাম সাইফুলকে মারধরের ভয় দেখিয়ে তাবিজকবজ করার কথা স্বীকার করতে বলেন।
ইমাম অস্বীকার করলে তাকে একটি কক্ষে নিয়ে চেয়ারম্যান চড়-থাপ্পড় মারেন। এ সময় তিনি তাকে দেয়ালে ঠেকিয়ে গলা চেপে ধরেন বলেও অভিযোগ করেন ইমাম সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাকে তাবিজকবজের জন্য দায়ী করে চেয়ারম্যান সালিসে ডেকে সবার সামনে গালিগালাজ করেছেন। পরে অন্য রুমে নিয়ে গিয়ে আমাকে গালে-মুখে থাপ্পড় মেরেছেন। আমি কোনো তাবিজ কবজ করি নাই। আমাকে চেয়ারম্যান অন্যায়ভাবে মেরেছেন। আমি এর বিচার চাই।
সালিস থেকে ফিরে সাইফুল ইসলাম বিষয়টি এলাকাবাসীকে অবগত করেন। পরে এলাকাবাসী ইমামের মারধরের ঘটনার বিচার দাবি করেন। তাকে নিয়ে এলাকাবাসী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৭৪০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ