শুক্রবার মধ্যরাতে পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস, ৭৪৩ নম্বর বাসায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য উমামা বেগম কনককে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী।
তাদের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলায়। এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী কনক।
গুরুতর আহত অবস্থায় কনককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ওমর ফারুককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের বড় বোন রুমা জানান, কনকের স্বামী ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। দেশে আসার পর তিনি কিছুই করতেন না। এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে ফারুক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কনককে কুপিয়ে আহত করে। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কনককে কুপিয়ে আহত করার পর ফারুক বাসায়ই ছিলেন। এরপর সবার কাছে স্বীকারও করেন যে, তিনি তার স্ত্রীকে কুপিয়েছেন।
নিহতের বোন জামাই বাবুল জানান, ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। দেশে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। যতটুকু জেনেছি ব্যবসায় সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে জানতে পারিনি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি পল্লবী থানায় জানানো হয়েছে।
পল্লবীর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, পারিবারিক কলহে রাতে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন স্বামী। পরে মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান তিনি।
তিনি বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি নিহতের স্বামী জাপান থাকতেন। পাঁচ বছর আগে দেশে আসেন। বর্তমানে তার ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফ্ল্যাট নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৭০২
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ