পৃথিবী থেকে চাঁদের মাত্র ৫৯ শতাংশ দেখা যায়। বাকিটা থেকে যায় চোখের আড়ালে। সেই চাঁদে পৌঁছেছে পৃথিবীর মানুষ। এ পর্যন্ত বিশ্বের পাঁচটি দেশের নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে পেরেছে।
দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান ও ভারত। চাঁদের মাটিতে আধিপত্য বিস্তারের আশায় নিত্য নতুন ছক কষে চলেছে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা এসব দেশ।
সম্প্রতি চীন চাঁদের মাটি নিয়ে দেশে ফিরেছে। এই নিয়ে বিশ্বে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এদিকে আরও আগেই যুক্তরাষ্ট্র চন্দ্র অভিযানে গিয়ে চাঁদের মাটি নিয়ে এসেছিল পৃথিবীতে। সেই মাটিতে সফলভাবে গাছও জন্মিয়েছেন তারা। চাঁদের মাটিতে বেড়ে ওঠা গাছটির নাম ‘থ্যাল ক্রেস’। বিজ্ঞানীরা চাঁদে গাছ লাগানোর যে পরিকল্পনা করছে সেই পরিকল্পনা সফল হতে পারে।
গত শতকে অ্যাপোলো ১১, ১২ ও ১৭ অভিযানের সময় চাঁদ থেকে ওই মাটি সংগ্রহ করে। এরপর গবেষকরা নাসার কারছে চাঁদের মাটি পাওয়ার জন্য আবেদন করে। আবেদন জমা দেওয়ার ১১ বছর পরে গবেষকদের মাত্রা ১২ গ্রাম মাটি দেয় নাসা। ওই মাটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন গবেষকরা।
গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার সায়েন্সের (আইএফএএস) অধ্যাপক রব ফেরল। এই গবেষক মনে করেন, ভবিষ্যতে মহাকাশে বড় পরিসরে অভিযান চালাবে মানুষ। এবং আগামীতে চাঁদকে মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে তারা। এর জন্য চাঁদে অক্সিজেন ও খাদ্যের পর্যাপ্ততা প্রয়োজন। শুরুতে গাছপালা লাগানোর প্রয়োজন হতে পারে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনের তথ্য, চাঁদে বাতাস নেই কিন্তু পানি আছে। এই পানির আহরণ করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর এর উপায় বের হলে সেখানকার বরফ ও পানি চন্দ্র অর্থনীতির ভিত্তি হতে পারে।
এদিকে চীনের এই চাঁদের মাটি নিয়ে ফেরা এবং তাদের গবেষণা আবার নতুন কোন তথ্য সামনে নিয়ে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার মতামত জানানঃ