কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহারকারী গত ছয় মাসে দ্বিগুণ হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই কর্মক্ষেত্রে এআই ব্যবহার শুরু করেছেন।
মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ও লিংকডইনের ‘২০২৪ ওয়ার্ক ট্রেন্ড ইনডেস্ক’ নামের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কাজের গতি ও পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কর্মীরা এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে এআই প্রোগ্রামের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা তাঁদের ব্যবসার জন্য এআই বিষয়ে গুরুত্ব অনুবাধন করলেও অনেকের এ থেকে ফল পেতে কার্যকর কৌশল প্রণয়ন–সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারণার স্বল্পতা অনুভব করেন।
মাইক্রোসফটের করা জরিপে দেখা গেছে, এআই টুল ব্যবহার করা ৯০ শতাংশ ব্যবহারকারী বলেছেন, এ প্রোগ্রাম তাঁদের সময় বাঁচায়। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে পারেন ৮৫ শতাংশ ব্যবহারকারী।
৮৪ শতাংশ এআই ব্যবহারকারী বলেছেন, এআই ব্যবহারকারীরা আরও বেশি সৃজনশীল হয়েছেন বলে মনে করেন। এ ছাড়া ৮৩ শতাংশ মনে করেন, তাঁরা নিজেদের কাজ উপভোগ করেছেন।
এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর এতোটাই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে যে তা এখন প্রায় মানুষের স্তরে চলে এসেছে। এআই এখন মানুষের মতোই কাজ করতে সক্ষম।
স্ট্যানফোর্ডের গবেষকদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। গবেষকেরা বলেছেন, এআই মডেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হয়তো ইতিমধ্যে আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের (এজিআই) প্রাথমিক ধাপের স্তর পেরিয়ে গেছে।
তারা বলেন, এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে একটি কার্যকরী মডেল তৈরি করেছে যা একজন মানুষের স্তরে কাজ করতে পারে।
এজিআই হচ্ছে এমন একটি সীমা, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের সমকক্ষ হয়ে উঠবে বা মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য এজিআই অর্জন।
গবেষকেরা বলছেন, এআই নিয়ে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেদের নানা সতর্কতা সত্ত্বেও এ ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে এবং এজিআই অর্জনে একে শক্তিশালী করে তুলছে।
স্ট্যানফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান-সেন্টার্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের করা ‘এআই ইনডেক্স ২০২৩’ অনুসারে, ২০২৩ সালে এআই প্রযুক্তির ফাউন্ডেশন মডেল প্রকাশ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর ১৪৯টি মডেল প্রকাশ করা হয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় এআই মডেলে প্রকাশ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এসব মডেলের মধ্যে ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ ওপেন সোর্স বা সবার জন্য উন্মুক্ত।
আপনার মতামত জানানঃ