স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ১০ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
ইয়াবা আত্মসাৎ, দুই পুলিশ প্রত্যাহার
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছিলেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম। পরে ইয়াবা রেখে ওই পাচারকারীকে ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু উদ্ধার করা ইয়াবা থানায় জমা দেননি। বিষয়টি পুলিশ বিভাগে জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার এসআই সাইফুল ইসলাম ও এক কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার করা কনস্টেবলের নামও সাইফুল ইসলাম।ঘটনাটি গত বুধবার রাতের হলেও বিষয়টি থানা-পুলিশ গোপন রেখেছিল। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, জড়িত পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করলেও সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা ফোন ধরেননি।
শ্রিপাকে অব্যাহতি দিয়ে র্যাবের প্রতিবেদনে পুলিশের নারাজি
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মাদক মামলায় র্যাবের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে পূর্বনির্ধারিত তারিখে র্যাবের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে এই নারাজি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের রামু থানায় শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে পুলিশ মাদকের এই মামলা করেছিল। ওই মামলার বাদী ছিলেন রামু থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলাম। মামলাটির তদন্ত করে গত ১৩ ডিসেম্বর র্যাব আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। গতকাল মামলার বাদীর পক্ষে এই নারাজি দরখাস্ত আদালতে দাখিল করেন কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ জাকারিয়া। গতকাল আদালতে শুনানি শেষে শিপ্রা দেবনাথের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অরূপ বড়ুয়া তপু এক ব্রিফিংয়ে বলেন, পুলিশ নারাজি দেওয়ায় আদালত র্যাবের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও নারাজি পিটিশন নিয়ে শুনানি হয়েছে।
রংপুরে কনস্টেবলের পিটুনিতে প্রতিবন্ধী রিকশাচালকের মৃত্যু
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রংপুরে এক পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পিটিয়ে হত্যার পর প্রতিবন্ধী যুবকের লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম হাসান আলী ও তার স্ত্রীর নাম সাথী বেগম। নির্যাতনে হত্যার খবরে অভিযুক্তের ভাড়াবাড়িতে হামলা করে এলাকাবাসী। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতেই নিহতের স্ত্রী শ্যামলী বেগম বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আসামি করে তাজহাট থানায় হত্যা মামলা করেছেন। নিহত নাজমুল ইসলামের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটের তিস্তা মুস্তফী গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী নাজমুল ইসলাম নগরীর আশরতপুর ঈদগাহপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার পায়ে সমস্যা থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। ওই রিকশাটি ছিল রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল হাসান আলীর। তিনিও আশরতপুর কোটপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিত্যক্ত সেনাক্যাম্পে পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পর পরিত্যক্ত থাকা সেনা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে।’ এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সহযোগিতা চান মন্ত্রী।
গ্রাম পুলিশের পোস্টারিংয়ে বেকায়দায় চেয়ারম্যান!
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচারণার পোস্টারিং করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এ নিয়ে এলাকায় চলছে সমালোচনা। চেয়ারম্যানের এমন কাজে প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা গ্রাম পুলিশ সংগঠন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ওই চেয়ারম্যান বলেছেন, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম ওসমান গণি ভূঁইয়া। তিনি প্রায় ১৯ বছর ধরে বড় হরিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমানে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের নাটোর জেলা কমিটির সভাপতি আবু তালেব ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনি কাজে লাগিয়ে ওই চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের আইনকে অবজ্ঞা-অবহেলা করেছেন। ওই চেয়ারম্যানের অবৈধ আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করি। যদি এর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেবো।’
মাদকাসক্ত ৪ পুলিশ চাকরিচ্যুত, কারাগারে ৫
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মাদকাসক্ত সদস্যদের কপাল পুড়ছে। ইতোমধ্যে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন ১৭ জন সদস্য। এদের মধ্যে সরাসরি মাদক কেনাবেচায় জড়িত ৫ জনকে মাদকসহ গ্রেফতার করে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এই ১৭ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪ জনকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের নাম চাকরিচ্যুতির তালিকায় রয়েছে। বিএমপির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বরশিাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। মাদকসেবী বা মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত কোনও পুলিশ সদস্য ডোপ টেস্টে বা কোনোভাবে অপরাধী প্রমাণিত হলে কোনও ছাড় পাবেন না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্দেহভাজন সদস্যদের ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছর অক্টোবরে। এরপর থেকে প্রতি মাসে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের। গত ১৫ মাসে মোট ৪৮ জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ১৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়। অর্থাৎ তারা মাদকসেবী। এছাড়া পুলিশের অভ্যন্তরীণ নজরদারিতে ওই ১৭ জনের মধ্যে ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
ব্যবসায়ীর টাকা হাতিয়ে ধরা সীতাকুণ্ডের দুই পুলিশ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক ব্যক্তিকে ‘মাদক করবারি’ আখ্যা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল করিম জানান।
গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য হলেন- এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তারা দুই জনই সীতাকুণ্ড থানায় কর্মরত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর জামালপুর থেকে এক ব্যবসায়ী সীতাকুণ্ডে আসেন। তাকে মাদক ব্যাবসায়ী হিসেবে সন্দেহ করার কথা বলে আটক করেন দুই পুলিশ সদস্য।
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা লুট, দুই পুলিশ গ্রেফতার
নয়াদিগন্ত
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
একটি প্রাইভেট কার ক্রয় করতে এসে পুলিশের হাতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃশ্ব মো. আবু জাফর। সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এক পুলিশ সদস্যসহ একটি চক্র আবু জাফর থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাক লুট করায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আবু জাফর। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তবে দুই পুলিশ গ্রেপ্তার হলেও এ মামলায় অন্য আসামি পুলিশ সোর্স মো. রিপন (৩০), হারুন (৩৭) ও রাজু (২২) পলাতক রয়েছেন।
৯ মাস পর মুক্ত ফটোসাংবাদিক শফিকুল
প্রথম আলো
বিভাগ: গণমাধ্যম
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল বাসায় ফিরেছেন। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বাসায় ফেরেন তিনি। শফিকুল ইসলাম কাজলের ছেলে মনোরম পলক প্রথম আলোকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারের প্রায় ৯ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন শফিকুল। মনোরম জানান, বেলা সোয়া ১১ টার দিকে তাঁর বাবা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান। গত ১০ মার্চ শফিকুল ইসলাম তাঁর বকশিবাজারের বাসা থেকে দৈনিক পক্ষকাল কার্যালয়ের উদ্দেশে বের হন। তিনি হাতিরপুলের মেহের টাওয়ারের কার্যালয়ে পৌঁছান বিকেল সোয়া চারটার দিকে। পৌনে সাতটা থেকে তাঁর আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী পরদিন চকবাজার থানায় নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আদালতের হস্তক্ষেপে চকবাজার থানায় শফিকুল ইসলামের ছেলে মনোরম পলক অপহরণের মামলা করেন। ৫৪ দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গত ৩ মে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের খোঁজ পাওয়া যায়। এর আগের দিন শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৪৮ মিনিটে ছেলে মনোরমের সঙ্গে বাবা শফিকুলের কথা হয়। বেনাপোল থানার একজন পুলিশ সদস্যের ফোন থেকে তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : তদন্তের সময় নিয়ে প্রশিক্ষণের নির্দেশ
জাগো নিউজ
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) মামলা তদন্তের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পরও তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত আদেশের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্ত আইনের মামলার ৪০ ধারা অনুসারে মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ৬০+১৫= ৭৫ দিন অতিক্রান্ত হলে পরবর্তী তদন্ত অব্যাহত রাখতে হলে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল হতে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু বর্তমান মামলাসহ (সাংবাদিক কাজলের মামলা) বিভিন্ন মামলায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আইনের এ নিয়ম অনুসরণ না করে আইনের নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল থেকে কোনো অনুমোদন না নিয়ে মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া, কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হলো।
Cases Under Digital Security Act: Give training to cops to finish probe in 75 days
HC orders IGP
Catagory : Digital Security Act
The High Court has directed the inspector general of police to take steps necessary to train officers to complete investigating cases filed under the Digital Security Act in 75 days.
“The investigation officers must take permission from the [cyber] tribunals concerned in order to continue investigations of the cases filed under the Digital Security Act, 2018 after 75 days of their filing under section 40 of the act,” the HC said. “But, it was noted that investigations of many cases, including those filed against [photojournalist] Shafiqul Islam Kajol, under the act were not completed in the stipulated period and the probes of the cases continued without permission from the tribunals. “That is why, the inspector general of police is directed to take necessary steps and to provide training to police officers concerned to this effect.”
Journalist Kajol freed after seven months
New Age
Catagory: Digital Security Act
Journalist Shafiqul Islam Kajol was released from the Dhaka Central Jail on Friday over seven months after his detention in three cases filed against him by ruling party leaders under the Digital Security Act. Jail superintendent Subas Kumar Ghosh told New Age that they released Kajol at 11:10am after his bail orders reached the Dhaka Central Jail in Keraniganj in the morning.
The High Court on Thursday released the full text of the judgement that on December 17 granted him bail in two cases.
আপনার মতামত জানানঃ