ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি আদালতে আজ শুক্রবার দুপুরে গ্যাংস্টারদের গুলিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। যে চারজন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন ভয়ঙ্কর ‘গ্যাংস্টার’ রয়েছেন। তার নাম জিতেন্দ্র গোগী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজারের খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, দিল্লির রোহিনী আদালতকক্ষের মধ্যে প্রতিপক্ষ গ্যাং দলের সদস্যদের গুলিতে ‘গ্যাংস্টার’ জিতেন্দ্র গোগী নিহত হয়েছেন। সেই সাথে দুজন হামলাকারীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এই দুজন নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
উত্তর দিল্লির রোহিণীতে আদালতকক্ষের মধ্যেই বিরোধী দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। বেশ কিছু দুষ্কৃতী আইনজীবীদের পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেছিল।
আদালতে দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পাল্টা গুলি চালায় দিল্লি পুলিশ। পুলিশের গুলিতেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় আদালত চত্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। গোলাগুলিতে সেখানে কর্মরত এক নারী আইনজীবীও আহত হয়েছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত এপ্রিলে তাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। সে রকম এক মামলায় আদালতে আনা হয়েছিল গোগীকে। তখনই তার বিরোধী গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা তার উপর গুলি চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কয়েক জন দুষ্কৃতী আইনজীবীদের পোশাক পরেই আদালত চত্বরে ঢুকে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। গোগীর উপর হামলার ঘটনায় ‘টিল্লু’ দলের দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের।
রোহিণীর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রণব তয়াল বলেছেন, ‘‘আইনজীবীর পোশাক পরে আততায়ীরা আদালতের মধ্যেই গোগীর উপর গুলি চালায়। তার পর পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়েছে।’’
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী দলের দুই সদস্য আদালতের ভেতরে গোগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালিয়ে দুই হামলাকারীকে হত্যা করে।’
জানা গেছে, দিল্লির ওই দুই গ্যাংয়ের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক বছরে তাদের মধ্যে ল়ড়াইয়ের জেরে ২৫ জনেরও বেশি ব্যক্তির প্রাণ গেছে।
২০১০ সালে বাবার মৃত্যুর পর অপরাধ জগতে প্রবেশ করে জিতেন্দ্র গোগী। স্কুলছুট গোগী প্রোমোটারি সংক্রান্ত কাজকর্ম শুরু করে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রবীণ নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করে গোগী। সে বছরই অক্টোবরে দিল্লির শ্রদ্ধানন্দ কলেজের নির্বাচনে গোগী এবং তার সহযোগীরা সন্দীপ এবং রবিন্দর নামের দুই যুবককে খুন করে। তখন তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এর পর টাকা রোজগারের জন্য নতুন গ্যাং তৈরি করে সে।
এসডব্লিউ/এমেন/কেএইচ/১৫৫০
আপনার মতামত জানানঃ