Author: ডেস্ক রিপোর্ট

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রায় অকেজো ২টি কিডনি নিয়ে বেঁচে ছিলেন। কোভিডে লিভারের ক্ষতি হয়েছিল। বর্তমানে তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নেমে এসেছিল প্রায় শূন্যে। কোনো ওষুধই কাজ করছিল না। সপ্তাহে ৩ দিন ডায়ালাইসিস করতে হতো। মাঝেমধ্যেই অনিয়ম করতেন। অন্য কোনো কর্মসূচি থাকলে, শরীর একটু ভালো থাকলে সেদিন ডায়ালাইসিস করতেন না। তাকে আর কোনো সভায় বা মানববন্ধনের ব্যানারের পেছনে কিংবা মিছিলের সামনে হুইল চেয়ারে দেখা যাবে না। কিংবা দেখা যাবে না কোনো টেলিভিশন টক শো তে। তিনি নিজের গড়ে তোলা হাসপাতালেই,…

Read More

বলুন তো কীভাবে আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র সম্পর্কে জানব? সেখানে রয়েছে অতি উচ্চ তাপমাত্রা, অত্যন্ত বেশি চাপ এবং প্রচলিত যন্ত্রপাতির পক্ষেও ওই দূরত্বে যাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বিজ্ঞানীরা সিসমিক ওয়েভ বা ভূকম্পন তরঙ্গের ওপর নির্ভর করেন। এ তরঙ্গগুলো ভূমিকম্প, বিস্ফোরণ ইত্যাদির ফলে উৎপন্ন হয় এবং পৃথিবীর অভ্যন্তর ও উপরিভাগ দিয়ে চলাচল করে। এগুলো থেকেই পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ গঠন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এসব তথ্যের মাধ্যমেই ঊনিশ’শ শতাব্দীর শেষদিকে জিওফিজিসিস্টরা বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর কেন্দ্রে আছে তরল পদার্থ, যাকে ঘিরে আছে কঠিন আবরণ। এ আবরণকে আবার ঘিরে আছে কঠিন পৃষ্ঠদেশ যাকে আমরা ভূত্বক বলি। কিন্তু এই ধারণা ভুল প্রমাণ করেন ডেনিশ সিস্মোলজিস্ট ইঙ্গ লেম্যান।…

Read More

নানাবিধ কারণে প্রতিনিয়ত কমছে পৃথিবীর কীটপতঙ্গ। এভাবে কীটপতঙ্গ কমতে থাকলে এক সময় খাদ্যসংকটে পড়তে হতে পারে পৃথিবীবাসীকে। কারণ খাদ্য উৎপাদন এবং জীবজগেক রক্ষার জন্য কীটপতঙ্গের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালেই ক্যালিফোর্নিয়ার মনার্ক প্রজাপতির সংখ্যা ৮৬ শতাংশ কমে গেছে। লন্ডনে ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সিনিয়র কিউরেটর ড. এরিকা ম্যাকএ্যালিস্টার বলেন, পৃথিবীর সব কীটপতঙ্গকে আমরা যদি মেরে ফেলি তাহলে আমরাও মারা যাব। কীটপতঙ্গ না থাকলে আমাদের বিষ্ঠা আর মৃত প্রাণীর মধ্যে বাস করতে হতো। জৈবিক বর্জ্য পচনে সাহায্য করে কীটপতঙ্গ। পৃথিবী পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে কীটপতঙ্গ। বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদ মরে গেলে তার ওপর কীটপতঙ্গ হামলে পড়ে, এতে করে…

Read More

কাতারের উত্তর-পূর্ব কোণে এক জনশূন্য এলাকায় অনুর্বর মরুভূমির বালির টিলাগুলির মধ্যে, উপসাগরীয় দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক আর্ট সাইট ‘আল জাসাসিয়া’ অবস্থিত। এখানে, লোকেরা কয়েক শতাব্দী আগে চুনাপাথরের ওপর পরিবেশে পর্যবেক্ষণ করা প্রতীক, মোটিফ এবং বস্তুগুলি খোদাই করে রাখতো। প্রত্নতাত্ত্বিকরা আল জাসাসিয়াতে মোট প্রায় ৯০০টি খোদাই করা শিলা বা “পেট্রোগ্লিফ” খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি বেশিরভাগই বিভিন্ন প্যাটার্নে সাজানো। কাতার মিউজিয়ামের খনন ও সাইট ম্যানেজমেন্টের প্রধান ফেরহান সাকাল, পেট্রোগ্লিফের কথা উল্লেখ করে সিএনএনকে বলেছেন-” আরব উপদ্বীপে রক আর্ট সাধারণ বিষয়, তবে আল জাসাসিয়ার কিছু খোদাই অনন্য যা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।” এই খোদাইগুলি উচ্চ স্তরের সৃজনশীলতার প্রমাণ বহন করছে। কাতারে…

Read More

সুবিশাল অরণ্যে ছড়িয়ে রয়েছে ভরি ভরি সোনা। সেই সোনার ভাণ্ডার ধরা পড়ল মহাকাশ থেকে! এই সোনার ভাণ্ডার রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে। মাদ্রে-দে-দিয়োস নামে সোনার একটি বিশাল খনি রয়েছে লাতিন আমেরিকার এই দেশে। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সেই ছবি প্রকাশ করেছে। যা দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করা যাবে না। মহাকাশ থেকে মনে হচ্ছে, পৃথিবীর বুকে এ যেন সোনার হার! বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পেরু। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সোনার খনি মাদ্রে-দে-দিয়োসের কারণে আমাজন জঙ্গল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের। সোনা নিষ্কাশনের জন্য পারদ ব্যবহার করা হয়। পরিবেশবিদদের দাবি, এত…

Read More

মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন এ প্রজন্মের যত বিজ্ঞানী, নিশ্চিত সে তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকবে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের নাম। যে খ্যাতি, যে ভালোবাসা হকিং পেয়েছিলেন তা তিনি যে কেবল বিজ্ঞানে তার অসামান্য প্রতিভার জন্য পেয়েছিলেন তা নয়, বরং নিজের রসবোধের জন্যও তিনি ভালোবাসা পেয়েছিলেন মানুষের। হুইল চেয়ারে বসেই দৃশ্যত মহাবিশ্ব ভ্রমণ করেছেন স্টিফেন হকিং। ৭৬ বছর বয়সে সেই হকিং সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আর তিনি ফিরবেন না। তবে জীবদ্দশায় মানবসভ্যতা কীভাবে এবং কবে ধ্বংসের মুখোমুখি হবে, সে বিষয়ে ভয়ংকর কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে পরমাণু যুদ্ধের মতো নানা বিষয়…

Read More

বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে আবারও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই উদ্বেগ জানান দপ্তরটির প্রধান উপমুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশ ১০ ধাপ পিছিয়েছে। এর পেছনে আছে বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। ব্রিফিংয়ে এই আইনকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন (ড্র্যাকোনিয়ান) আইনগুলোর একটি বলেও আখ্যায়িত করেন প্যাটেল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বশেষ বিশ্বের স্বাধীন গণমাধ্যম সূচকে ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২। গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশের আরও ১০ ধাপ অবনতি হয়েছে। সূচকে বাংলাদেশের এই অবস্থানের সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন অনুযায়ী, এই আইন…

Read More

বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে বড় উৎসব হয় ঢাকা শহরে। আর সে উৎসবের প্রাণকেন্দ্র বলা যেতে পারে রমনা বটমূলে আয়োজিত ছায়ানটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে। ছায়ানটের শিল্পীরা এ দিন খুব ভোরবেলা থেকেই সম্মিলিত কণ্ঠে বৈশাখী আগমনী গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে স্বাগত জানান। এই উৎসবটিরও ইতিহাস আছে। পাকিস্তানি শাসনামলে শাসকরা বাঙালি সংস্কৃতিকে দমিয়ে রাখার জন্য অনেক কিছুই করেছিল। একবার তো ওরা রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানের উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করে বসে। এর প্রতিবাদেই ছায়ানট ১৩৭৫ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৯৬৫ সালে রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানানো হয় বৈশাখকে। সেই ধারা আজও অব্যাহত…

Read More

হিন্দুদের রামনবমী উৎসবের পতাকা ছেঁড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের জেরে পূর্ব ভারতের শিল্পশহর জামশেদপুরে দাঙ্গা পুলিশ নামানো হয়েছে। ঝাড়খন্ড রাজ্যের ওই শহরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা, সাময়িকভাবে বন্ধ আছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও। এদিকে পাশের রাজ্য বিহারে পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছে, রামনবমীর সময় সেখানে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপে পরিকল্পনা এঁটে করা হয়েছিল। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের নালন্দা জেলার প্রধানকে তারা এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বস্তুত রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যে দাঙ্গা ও সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, সেই উৎসবের বারো দিন পরেও তা এখনও থিতোয়নি।…

Read More

সম্রাট অশোক ছিলেন মৌর্য্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় শাসক, খ্রিষ্টপূর্ব ২৬৮ থেকে ২৩২ সাল পর্যন্ত ছিল তার শাসনকাল। ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য ছিল অশোকের। ধারণা করা হয়, এত বড় সাম্রাজ্যের অধিকারী আর কোনো সম্রাট ছিলেন না সে আমলে। তার জন্ম হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০৪ সালে। ৩৬ বছর বয়সে খ্রিস্টপূর্ব ২৬৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে মৃত্যু পর্যন্ত সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন সম্রাট অশোক। তিনি ছিলেন ইতিহাসের এক আদর্শ শাসক। যদিও তার জীবনের প্রথম পর্যায়টি সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলে। সে পর্যায়ে তার নৃশংসতা ছিল উদাহরণ দেওয়ার মতো। ইতিহাস স্বাক্ষী, তার জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলোও মহত্ত্বের উদাহরণ দেওয়ার মতোই। মৌর্য সাম্রাজ্যের উদ্ভাসিত সূর্য ধীরে ধীরে…

Read More