Author: ডেস্ক রিপোর্ট

ক্যামব্রিয়ান এক্সপ্লোশন পৃথিবীতে প্রাণের ইতিহাসে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রায় ৫৫ কোটি ৪১ লাখ বছর আগে, ক্যামব্রিয়ান যুগে পৃথিবীর জীবজগতে বেশ বড়সড় একটা পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। আধুনিক প্রাণীরা যেসব পর্বের অন্তর্গত, সেসব পর্বের সূচনা হয়েছিল এই সময়টায়। এর আগের যেসব প্রাণী ছিল পৃথিবীতে, সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল আণুবীক্ষণিক, এককোষী এবং অপেক্ষাকৃত সরল। ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণের প্রায় আড়াই কোটি বছরের এই সময়টায় হুট করে একের পর এক বহুকোষী প্রাণীর দেখা মিলতে শুরু করে। পৃথিবীর জীবজগতের বিবর্তনের ইতিহাসে সে জন্য ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণকে খুবই অনন্য একটা ঘটনা হিসেবে মনে করা হয়। বলে রাখা ভালো, এখানে বিস্ফোরণ শব্দটা আসলে কোনো গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে এসে পড়ে…

Read More

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। ইতালিয় রেনেসাঁর অন্যতম পুরোধা তিনি। চিত্রশিল্প, ভাস্কর্য, প্রযুক্তিবিদ্যা থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, গণিত— প্রতিটি বিষয়েই ছাপ রেখে গেছেন ভিঞ্চি। তবে ভিঞ্চির ব্যক্তিগত জীবন, তাঁর শিল্পকর্ম, তাঁর নকশা করা যুদ্ধাস্ত্র যেমন রহস্যময় ছিল, তেমনই রহস্যময় তাঁর জন্মবৃত্তান্তও। লিওনার্দোর বাবা পিয়েরো ছিলেন ফ্লোরেন্সের কিংবদন্তি মেদিচি পরিবারের আইনি নোটারি। আর মা? লিওনার্দোকে নিয়ে সম্প্রতি ৬০০ বছরেরও পুরনো নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। ইতালিরই এক ইতিহাসবিদ সেই সবের আবিষ্কার করেছেন। সেই সব নথিপত্র অনুযায়ী, আসলে ককেশাস পার্বত্য অঞ্চলের তদানীন্তন সার্কেসিয়ার বাসিন্দা ছিলেন লিওনার্দোর মা ক্যাটেরিনা। ভিঞ্চির মা, ক্যাটেরিনার পরিচয় সম্পর্কে এতদিন সুস্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না গবেষকদের। বরং, তাঁর মাতৃপরিচয় ঘিরে ভেসে রয়েছে…

Read More

মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আনা ও নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের চারটি স্থলবন্দর হয়ে ১৬টি রূট নির্ধারন করা হয়েছে। ভারতের বৈধ যে কোনো পণ্যের চালান সমূদ্রপথে মোংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হবে। সেসব পণ্য বাংলাদেশের সড়ক পথ ও যান ব্যবহার করে চারটি স্থলবন্দর হয়ে ভারতে যাবে অথবা ভারত থেকে আসবে। এই চারটি স্থল বন্দরের রুট হলো সিলেটে তামাবিল-ডাউকি ও শেওলা-সুতারকান্দি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা এবং কুমিল্লার বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর। ভারত বাংলাদেশের দুটি বন্দর ব্যবহার করে পণ্যের ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট করলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে মনে করা হয়। এছাড়া এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে…

Read More

৪০ বছরের ব্যবধানে পদ্মা নদীর আয়তন নেমেছে অর্ধেকে। এতে পানির গভীরতার পাশাপাশি কমেছে প্রবাহ। আবাসস্থল হারিয়ে বিলুপ্তির আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ। হুমকিতে পড়েছে পদ্মার পুরো জীববৈচিত্র্য। ফারাক্কা বাঁধের কারণেই এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। স্প্রিংগার থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন’ ২০২৩ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক। পদ্মার আয়তন কমেছে অর্ধেক এতে বলা হয়, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। আর মিঠা পানির সরবরাহ সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এছাড়া…

Read More

প্রতি মুহূর্তে কতশত চিন্তা আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কখনও হয়তো কোনো বিরস কৌতুক কিংবা কারো সম্পর্কে কোনো অব্যক্ত নেতিবাচক ভাব, যা হয়তো আপনি কখনোই প্রকাশ করতে চান না; রাখতে চান নিজের ভেতরেই। কিন্তু ভাবুন তো, কেউ আপনার মনের এই অব্যক্ত কথাগুলো জেনে যাচ্ছে। আপনি কী ভাবছেন, তা বলার আগেই কেউ শুনতে পাচ্ছে! দ্য নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে। সোমবার (১ মে) অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মানুষের মনের কথা বোঝা বা ‘মাইন্ড রিড’ করার প্রযুক্তি আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নেচার নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এফএমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বিশ্লেষণ…

Read More

কল্পবিজ্ঞান বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছে বলে ঠাহর হয়। মাথার অংশ দেখতেও ছবিতে বর্ণিত ভিনগ্রহী যানের মতো। একঝলক দেখলে গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য। সমুদ্রের গভীরে এমনই ভয়াল, দৈত্যাকার জেলিফিশের দেখা মিলল। প্রথম দর্শনে ভিনগ্রহী প্রাণী বলেই ভ্রম হয়েছিল। গবেষণায় জানা গেল আসল পরিচয়। পোলার রিসার্চ জার্নালে ওই দৈত্যাকার জেলিফিশের (Stygiomedusa Gigantean) বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। সামনে আনা হয়েছে ছবিও। আন্টার্কটিকায় উপকূলের কাছে প্রথম সেটির দেখা পান ক্রুজের যাত্রীরা। ভয়াল এবং দৈত্যাকার ওই জেলিফিশ আসলে গভীর সমুদ্রের অন্যতম মেরুদণ্ডহীন শিকারি প্রাণী। ২০২২ সালে যখন প্রথম বার দেখা মেলে, জলের উপরিভাগে উঠে এসেছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই জেলিফিশটি ১৬ ফুটেরও বেশি দীর্ঘ। মাথার অংশ…

Read More

ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি, গুগলের বার্ড, মাইক্রোসফটের সিডনি মেশিন লার্নিংয়ের বিস্ময়কর রূপ। এসব এআই টুল প্রচুর পরিমাণ ডেটা থেকে নির্দিষ্ট ছন্দ তথা প্যাটার্ন খুঁজে বের করে। এভাবে পরিসংখ্যানগতভাবে সম্ভাব্য আউটপুট তৈরি করতে শেখে এগুলো। একটা সময় মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বহুদিন ধরেই এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। শুধু পরিমাণগত দিকেই নয়, গুণগত দিকেও উন্নত হবে এআই। ভবিষ্যতে বুদ্ধিগত অন্তর্দৃষ্টি, শৈল্পিক সৃজনশীলতা এবং অন্যান্য মানবিক স্বতন্ত্র স্থানগুলোতে মানুষের চেয়ে ভালো করবে যন্ত্র। এখন যে প্রোগ্রামগুলো আমাদের সামনে আসছে সেগুলো সেই অদূর ভবিষ্যতের দিগন্ত দেখতে পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো সেই দিন আসলেই আসবে যেদিন যন্ত্র মানুষকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে এখনও সে দিন…

Read More

যুগ পরিবর্তনের হাওয়াতে সবকিছু বদলে গেলেও বাঙালি নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশের জায়গায় এখনও চিরায়ত বাংলার শাড়ি দখল করে আছে অদ্বিতীয় মাত্রায়। এখন মেয়েদের বয়স পাঁচ ছয় হলেই শাড়ি পরতে হয় না। তবে উৎসব আয়োজনে শাড়ি থাকে নারীদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় সবার প্রথমে। জীববৈচিত্র্যের মতো লক্ষ্য করা যায় বস্তু-বৈচিত্র্য। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলেই হারিয়ে যেতে হয় ইতিহাসের পাতায়। শাড়ি সেখানে ব্যতিক্রমী এক নাম। সেই পুরাকাল থেকে এখনও বজায় রেখেছে নিজের গরিমা। বাঙালি নারী দেহে এক অবিসংবাদী পরিধেয়। নারীর পরিধেয় বস্ত্র শাড়ির ইতিহাস কিন্তু আজকের নয়। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৩ হাজার বছর বা তারও আগে থেকে রয়েছে শাড়ির উল্লেখ। বিভিন্ন নারী মূর্তির…

Read More

প্রাণীজগতে কুমিরের পরিচয় দুর্ধর্ষ শিকারি হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই যেসব নদী, লেক কিংবা পুকুরে কুমির থাকে, মানুষ সেগুলো এড়িয়ে চলে। তবে বুরকিনা ফাসোর ছোট্ট এক গ্রামে ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। এখানে মানুষ আর কুমিরে দারুণ সুসম্পর্ক। এমনকি সেখানে গিয়ে কোনো গ্রামবাসীকে বিশালাকার এসব সরীসৃপের কোনো একটির পিঠে চড়ে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠতে পারেন। বুরকিনা ফাসোতে শুষ্ক সাভানা অঞ্চল আর সবুজ অরণ্য দুটিই পাবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির পাশাপাশি বাজৌলি গ্রামটি টানছে পর্যটকদেরও। বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগুদুগু থেকে বাজৌলি নামের গ্রামটির দূরত্ব মাইল বিশেক। সেখানে বেশ বড়সড় এক পুকুরে শ দুয়েক কুমিরের বাস। ওই পুকুরই ব্যবহার করে গ্রামবাসী। হঠাৎ বাইরে থেকে…

Read More

ডলারের তুলনায় টাকার মান কমে যাওয়ার প্রভাব এবার বাজেটেও পড়ছে। বাড়তি সুদ পরিশোধে বাড়তি বরাদ্দ রাখতে হবে। চলতি অর্থবছর থেকেই এই চাপ তৈরি হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এই চাপ আরো বাড়বে। আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই অর্থের মধ্যে সুদ ব্যয় বাবদই বরাদ্দ রাখতে হবে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। পাঁচ বছর আগের তুলনায় এ সুদ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ। ডলারের তুলনায় টাকার মান কমে যাওয়ায় সুদের পরিমাণের ওপর প্রভাব পড়েছে, বিশেষ করে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে। অবশ্য সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াও এর একটি কারণ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়,…

Read More