Author: ডেস্ক রিপোর্ট

চলতি বছরের মার্চে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আব্রাহামিক ফ্যামিলি হাউস নামের একটি জৌলুশপূর্ণ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়। তিনটি প্রসিদ্ধ আব্রাহামিক ধর্মের (ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান) তিনটি আইকনিক উপাসনালয় নিয়ে নির্মিত কমপ্লেক্সটি এরই মধ্যে আন্তধর্মীয় সংলাপ ও সম্প্রীতির বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই কীভাবে একজন মসজিদের ইমাম, গির্জার বিশপ ও সিনাগগের রাব্বি একসঙ্গে চলতে পারেন—তা মানুষের সামনে তুলে ধরাই কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য। যদিও এ নিয়ে অনেকে আপত্তিও জানাচ্ছেন। আব্রাহামিক ফ্যামিলি হাউস আবুধাবির সাদিয়াত সাংস্কৃতিক জেলায় অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামের আবুধাবি শাখা, জায়েদ ন্যাশনাল মিউজিয়ামসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ছড়িয়ে দিতে ২০১৯ সালে এই…

Read More

বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ—এই প্রচার দীর্ঘদিনের। সরকারের প্রায় সব মহল থেকেই বারবার এ কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশকে গত অর্থবছরে ১ কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার টন খাদ্য আমদানি করতে হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমে ১ কোটি ৪ লাখ ৪৯ হাজার টন হতে পারে। এ তথ্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গত সেপ্টেম্বরের খাদ্যশস্য প্রতিবেদনের। এবার আমদানি কমতে পারে। এর কারণ, দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে যাওয়া নয়; বরং দেশে ডলারসংকট, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে এবার খাদ্যসহ সব ধরনের পণ্যেরই আমদানি কমবে। খাদ্যপণ্য আমদানি করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির ওপর কী ধরনের চাপ পড়ে, তা…

Read More

পৃথিবীর এত কাছে অবস্থান। কিন্তু দর্শন মেলে শুধু রাতেই। তবে চাঁদকে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। যে কারণে মহাশূন্যের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে সবার আগে চাঁদের বুকেই পা পড়েছিল মানুষের। আরও একবার চাঁদের বুকে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। মানুষবিহীন মহাকাশযান পাঠানোর কাজও চলছে জোরকদমে। তবে আগামী দিনে উপগ্রহকে নিয়ে আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। উল্লেখ্য, বর্তমানে মানুষকে চাঁদে পৌঁছানোর পথে নেতৃত্ব দিচ্ছে দুটি দেশ- যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দুটি দেশের প্রকল্পগুলো বেশ বড় এবং বেশ জটিল, যা তাদের এনে দিতে পারে ভালো কিছু ফলাফল। উভয়েরই লক্ষ্য চাঁদ এবং আদি পৃথিবী সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক বোঝাপড়া বাড়ানো। এছাড়া মহাকাশ অনুসন্ধান এবং পৃথিবীতে ব্যবহারের জন্য…

Read More

আদিকালে ঠিক কখন থেকে গুপ্তচর ব্যবস্থার প্রচলন ঘটেছিল বলা মুশকিল। তবে এটি যে পৃথিবীর প্রাচীনতম একটি পেশা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সভ্যতার প্রাথমিক যুগে মানুষ যখন দলবদ্ধ হয়ে বাস করতে শুরু করে তখন থেকে গোষ্ঠী সংঘাতেরও সূত্রপাত হয়। বিবদমান দলের সর্দাররা একে অন্যের গোপন খবর সংগ্রহের জন্য গুপ্তচর নিয়োগ করত। প্রাচীন ভারত, গ্রিস, চীন, পারস্য, রোম, মিসর, সিরিয়া, আরব ইত্যাদি ভূখণ্ডের শাসন ব্যবস্থায় গুপ্তচর ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। প্রাকযুদ্ধ, যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধশেষে একে অন্যের গোপন তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গুপ্তচর পাঠাত। উপমহাদেশে সিন্ধু সভ্যতার যুগেও সম্ভবত রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অঙ্গ ছিল কূটনীতি, যে কাজে গুপ্তচরদের ভূমিকাও কম গুরুত্বের…

Read More

মার্কিন অর্থনীতিবিদ ব্রাড সেটসারের মতে, চীন ছয় ট্রিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার বিজার্ভ ‘মজুত’ করেছে, যার অর্ধেকই ‘লুকানো’। আর এটি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি নতুন ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য চায়না প্রজেক্ট-এ এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও ট্রেজারি বিভাগের সাবেক এই কর্মকর্তা লেখেন, দেশটির প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পিপলস ব্যাংক অভ চায়নার অফিসিয়াল নথিতে দেখানো হয় না। তার পরিবর্তে, এসব ‘ছায়া রিজার্ভ’ চীনের রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ঋণদাতা এবং পলিসি ব্যাংক অভ চায়নার মতো প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়। ব্রাড সেটসার লেখেন, চীনের অফিসিয়াল রিজার্ভ যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাড়েনি, তবে রপ্তানি উদ্বৃত্তের পাশাপাশি ‘লুকোনো রিজার্ভ’ আরও বেড়ে চলেছে। তিনি আরও…

Read More

এই প্রজন্মের তরুণদের নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন, তরুণরা সব কাজে শর্টকাট খোঁজে। আগেকার সময়ে মানুষের অনেকবেশি পরিশ্রম করার অভ্যাস ছিল। তা একটা সাধারণ অঙ্ক করাই হোক, কিংবা ভারী কাজের বোঝা মাথায় নিয়ে দিনরাত একনাগাড়ে খাটুনি। অথচ এখন যেন ক্যালকুলেটর ছাড়া ছোট অঙ্কেরও উত্তর মেলে না। কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লাইব্রেরিতে গিয়ে বই ঘাটতে হয় না, স্রেফ একটা গুগল সার্চেই উত্তর মেলে। কলম ব্যবহার করে খাতায়ও লেখা হয় না। কম্পিউটারের কি-বোর্ড থেকে শুরু করে স্মার্টফোনের অতিসংবেদনশীল পর্দা, অ্যাপলের সিরি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যামাজন অ্যালেক্সা, বিচিত্র নানা প্রযুক্তির মিশেলে জীবন অনেক বদলে গেছে। এসব প্রযুক্তি যেমন জীবনকে অনেক সহজ করছে, তেমনি তা…

Read More

প্রাণীরা স্রেফ জৈবিক যন্ত্র এবং তাদের আচরণ কেবল তাদের জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে একটি ধারণা প্রচলিত আছে। এ দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, কেবল সম্পর্কিত প্রাণীগোষ্ঠীর মধ্যেই একে অপরের সঙ্গে সহায়তাপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যায়। যদি কোনো প্রাণী অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে একটি দলের অন্য প্রাণীরা সেটিকে পরিত্যাগ করে —কারণ এভাবেই প্রাকৃতিক নির্বাচন কাজ করে। অন্যদিকে এর বিপরীতক্রমে বিশ্বাস করা হয়, মানুষ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী—মানুষ তার নিজের কাজকর্ম নিয়ে সচেতন। আমাদের মধ্যে এমন মূল্যবোধ আছে, যার কারণে আমরা সম্পর্ক না থাকা অন্য মানুষের বিপদের সময়েও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। পৃথিবীতে প্রাণীর প্রায় দশ লাখের বেশি প্রজাতি আছে। সি স্পঞ্জ বা ঝিনুকের মতো অনেক প্রাণী…

Read More

খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর সম্ভাবনাময় একটি দেশ। মূল্যবান প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়াও বর্তমানে এখানে পাওয়া যাচ্ছে উন্নতমানের কয়লা। তবে এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে বেশকিছু সম্ভাবনাময় কিন্তু অপ্রচলিত খনিজ পদার্থের উৎসস্থল আছে। নতুনভাবে আরও খনিজ সম্পদের উৎসস্থল সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে দেশেই এই সব খনিজ পদার্থের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরি করা সম্ভব। এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে রপ্তানি করা হলে এসব খনিজ পদার্থ থেকেই সরকার বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারবে। বাংলাদেশে মজুদ খনিজ সম্পদের বাজারমূল্য নিরূপণ করেছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রাকৃতিকভাবে মজুদ…

Read More

আধুনিক চিকিৎসায় ইলেক্ট্রোথেরাপি হল মেডিকেল এবং ফিজিওথেরাপিউটিক কৌশলগুলোর একটি সমন্বিত পদ্ধতি – যেখানে বিভিন্ন আঘাত এবং রোগের চিকিৎসায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। পেশী পুনর্গঠন, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার চিকিৎসা, বিষণ্ণতা এবং মস্তিষ্কের কিছু ক্ষত সারাতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। মানুষ এখন বিদ্যুতের প্রকৃতি বুঝতে শিখেছে এবং বিদ্যুৎকে কীভাবে কাজে লাগাতে হয় তা জানতে শিখেছে, তাই আধুনিক বিশ্বে ইলেক্ট্রো-থেরাপিকে একটি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু প্রাচীন গ্রিক ও রোমান যুগে – যখন বিদ্যুতের অস্তিত্ব জানা ছিল না, তখনও মানুষ চিকিৎসার বিদ্যুৎকে কাজে লাগাতো, তবে এক অদ্ভূত উপায়ে। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানদের এই বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ছিল, এবং অসুস্থতা ও…

Read More

সুইডেনে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের কপি পোড়ানোর এক ঘটনার প্রতিবাদে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে এক দল লোকের জোর করে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এক ব্যক্তি। তার নাম সালওয়ান মোমিকা এবং সে সুইডেনে বসবাসরত একজন ইরাকি বলে জানানো হয়েছে। তুরস্ক, ইরাক, ইরান, মিশর ও সৌদি আরব সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। ইরাকের একজন ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর এর প্রতিবাদ জানানোর ডাক দিলে বৃহস্পতিবার রাজধানী বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে একদল লোক জড়ো হয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ কিছু লোককে ভবনটির প্রাঙ্গণে হাঁটতে…

Read More