গণআন্দোলনের মুথে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ফলে অবসান ঘটে তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনআমল। তবে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও মাঝে মাঝে অডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে ফেসবুকে। আর তাতে শোনা যায় যেকোনো সময় দেশে ঢুকে পড়বেন শেখ হাসিনা। তাই নেতাকর্মীদেরও প্রস্তুত থাকতে বলতে শোনা যায়। কিন্তু এই শেখ হাসিনা কি প্যাথলজিক্যাল লায়ার?
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন গণভবনের পুকুরে নান সময় মাছ ধরার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যায় ছোট একটি বড়শি দিয়ে বিশাল বড় সাইজের মাছ ধরতেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আসলেই সেই কি সত্যি?
এ নিয়ে ফেসবুকেও নানাজনকে লিখতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে একটি পোস্ট তুলে ধরা হলো- ‘আমি জাস্ট চিন্তা করি একটা মানুষ কী পরিমাণ প্যাথলজিক্যাল লায়ার হতে পারলে তার প্রতিটা কাজে বিশুদ্ধ ভণ্ডামি আর নির্ভেজাল মিথ্যাচার মিশে থাকতে পারে- এমনকি যেখানে সেগুলোর আদৌ কোনো প্রয়োজনই নেই!
খেয়াল করেন, ছবিতে চিতল মাছটার ওজন কমপক্ষে ৫-৬ কেজি তো হবেই। হয়তো এর চেয়েও আরো বেশি। অথচ, যে বড়শিটা দিয়ে মাছটা ধরার সস্তা মেলোড্রামাটা করা হয়েছে সেটা কতো হালকা। বড়জোর পুঁটিমাছ অথবা কইমাছ ধরা যাবে। আবার যেই লেক থেকে এই মাছ ধরার নাটক করা হচ্ছে, এমন লেকে এই জাতের চিতল মাছের চাষ করাও সম্ভব না। অথচ তাকে নাটক করতেই হবে…!’
উল্লেখ্য, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েকশ হত্যা মামলা করা হয়েছে। এমনকি এখনো হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে ট্রাইবুনাল। ফলে তিনি এখন একজন ফেরারি আসমি।
আপনার মতামত জানানঃ