চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে মহানন্দা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে শনিবার ভোরে বিএসএফ’র গুলিতে আহত হয়েছেন এক জেলে। আহত ব্যক্তি একই উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের কলোনিপাড়া গ্রামের মো. আঃ কুদ্দুস আলমের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৪)।
৫৯- বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, উপজেলার পোল্লাডাঙ্গা সীমান্তে মহানন্দা নদীতে মাছ ধরার সময় মহানন্দা নদীর বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মধ্যে প্রবেশ করায় ভারতের বিএসএফ সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছুড়লে গুরুতর আহত হন তিনি।
ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোররাত সোয়া ৪টার দিকে ডান হাতে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি মেডিকেলে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ভোলাহাট থানার ওসি সুমন কুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহত ব্যক্তির ডান হাতের কুনুয়ে গুলি লেগেছে। পরে তাকে আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “চোরাচালানি বলে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বৈধ করার কোনো সুযোগ নেই৷ আসলে এটা বিএসএফ-এর একটা অজুহাত৷ আর চোরাচালনি হলেও তো তাকে গুলি করে হত্যা করা যায় না৷ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জোরালো প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন, তা না হলে এটা বন্ধ হবে না৷”
তার কথা, “সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও এটা কার্যকরের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ উভয়পক্ষ মিলে এটা কার্যকর করার একটি পদ্ধতি বের করা দরকার৷ বিষয়টি মনিটরিং করে যাতে কার্যকর হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে৷”
তিনি বলেন, “ভারত থেকে গরু চোরাচালানি বন্ধ করলেই তো আর সীমান্তে গরু আসবে না৷ তাহলে ভারতের ভিতর থেকে সেটা বন্ধ না করে সীমান্তে কেন বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে?”
আপনার মতামত জানানঃ