একই সঙ্গে বাংলাদেশ যে সম্ভাবনার দেশ সেই ট্রাকেই ফিরে এসেছি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যায়নি; সংকট আছে, সমাধানের চেষ্টাও আছে। আমরা সঠিক পথে ফিরেছি, অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর রাতারাতি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা নয়, সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে।
সোমবার সচিবালয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিনিধি, ফ্রান্স সরকারের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন ক্রোজা ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আরন্ড হ্যামিলাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরন্ড হ্যামিলাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশে ৭টি প্রকল্পে ইফাদের ২০০ কোটি ডলারের প্রকল্প চলমান। পাশাপাশি দেশের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, দেশের কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সমস্যা আছে। কৃষক পর্যায় থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে একটি পণ্য কয়েক হাত ঘুরে। ফলে ফড়িয়া শ্রেণির সৃষ্টি হয়। সরকার এই ধারা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। ইফাদ এ ক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করছে।
তবে শুধু ইফাদ নয়, দেশের আরও অনেক উন্নয়ন অংশীদার আছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের কাজ হচ্ছে। উন্নয়ন অংশীদারেরা বিভিন্ন ধরনের চিন্তা নিয়ে আসে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর আমরা মিলেমিশে প্রকল্প প্রণয়ন করি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট বা আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফডি)-এর প্রজেক্ট কার্যক্রম চালু আছে, সেখানে তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছে। সেগুলো নিয়েই আলোচনা হচ্ছে।
সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে জোর দিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেরকম কিছু নেই। তবে তারা আস্তে আস্তে উন্নয়ন করে। প্রতিবছরই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। এবছর ইনোভেশন (উদ্ভাবনী) বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাদের।
আইএফডি বলেছে- তারা আরও সহযোগিতা চায়, সেদিক থেকে আমাদের প্রত্যাশাটা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই তাদের আইডিয়ার কথা বলে, আপনারা চিন্তা করেন কী করা যায়। বাংলাদেশে এখন অনেক ধরনের সমস্যা আছে। এরমধ্যে মার্কেটিং একটা সমস্যা।
তিনি বলেন, আমরা কোনো নির্দিষ্ট দেশের ওপর নির্ভরশীল না। কিন্তু আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করি, আইডিয়া গ্রহণ করি, বড় করি। আর্থিকভাবে বিভিন্ন পার্টনার সহায়তা করে। এভাবেই চলে।
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ফ্রান্স সরকারের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন ক্রোজা। এ সময় তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরিও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। ওই বৈঠকের সময় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
এডিবি নতুন কোনো কমিটমেন্ট করেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই করেছে, তারা তো বাংলাদেশকে সাহায্য করছে। এটা চলমান থাকবে।
এর আগে অনুষ্ঠিত এডিবি ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেখা যাক, বাংলাদেশ তো এখন ভালো করছে। তবে আমরা সমস্যা থেকে একেবারে বের হয়ে গেছি তা কিন্তু নয়। কিন্তু জিনিসটা তো চলছে।
আপনার মতামত জানানঃ