ভোটের আগে রাজনীতিতে গরম হাওয়া বইবে, দলগুলো সক্রিয় হয়ে উঠবে—এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের বছরখানেক আগে রাজনীতিতে তেমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে। যদিও নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তির অবস্থান দুই মেরুতে। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সরকারের প্রত্যক্ষ বাধা ছাড়া বেশ কিছু সমাবেশ আয়োজনের পর বিএনপি এখন বেশ চাঙা অবস্থায় আছে বলে মনে হয়। দলটির নজর এখন ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের দিকে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে গণসমাবেশ সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন দলের হাইকমান্ড। সমাবেশ সার্থকের জন্য গঠিত উপ-কমিটিগুলো প্রতিদিন প্রস্তুতি সভা করছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপিকে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই করতে হবে। নয়াপল্টনে দলটিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় সরকার। তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে দেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। গত ২৮ নভেওম্বর আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র এই তথ্য জানায়।
তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা সমাবেশ করবেন না। অনুমতি না দিলেও নয়া পল্টনেই সমাবেশ করবেন। নয়াপল্টনে যাতে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে আহবান জানিয়েছে দলটি।
নয়া পল্টন নিয়ে একরোখা বিএনপি
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতিমধ্যে বলেছেন, বিভাগীয় শেষ সমাবেশ ঢাকায়, নয়াপল্টনেই ১০ তারিখে সমাবেশ করব। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমরা চাইনি। সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, ডিএমপি কমিশনারসহ সবাইকে,কোনো ঝামেলা না করে এ সমাবেশ যাতে করতে পারি, এ ব্যবস্থা আপনারা করবেন।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি, আপনাদের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। জনগণের ভাষা বুঝে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সব ব্যবস্থা নিন। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর শান্তিপুর্ণ সমাবেশ করার সব ব্যবস্থা করুন। সোহরাওয়ার্দীতে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না।চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। একটা মাত্র গেট। এখন নয়াপল্টনে সমাবেশের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব আপনাদের; না হলে সব দায়-দায়িত্ব আপনাদের।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, অনুমতি না পেলেও আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য নয়াপল্টনেই আমাদের সমাবেশ করা উচিত এবং আমরা সেখানেই সমাবেশ করবো।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাদের মাথায় খারাপ উদ্দেশ্য কাজ করছে; এমন সন্দেহ মানুষের মনে উঠে এসেছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবরি রিজভী বলেন,আমরা না চাইলেও আগ বাড়িয়ে স্বপ্রনোদিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পেছনে সরকারের কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে। সরকারের ফাঁদে আমরা পা দেব না। সমাবেশ হবে নয়া পল্টনেই।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে সরকার বিচার-বিবেচনাহীন চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছে। শর্তসাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করাতে জোর জবরদস্তি চলছে। এটা ঘোর সন্দেহের চোখে দেখছে দেশের মানুষ। বিএনপি সব দিক বিবেচনা করে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত দিলেও পুলিশ শর্তসাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার জোর জবরদস্তি করছে। এটি একটি রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ।
আওয়ামী লীগ যখন যেখানে মনে করে সেখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি পায়। সেখানে শত শত বাসে মানুষ আনা হয়। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে মিছিল যায়। ঢাকার বিশাল এলাকাজুড়েই মাইক বসানো হয়। নগরবাসীর চলাচল স্থবির হয়ে যায়। পুলিশ টু শব্দ করে না, বরং তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে যায়। অথচ, বিএনপির কর্মসুচি পালন করতে গেলে অসংখ্য শর্তের বৃত্তে তা আটকানোর চেষ্টা করা হয়।
রিজভী বলেন, বিএনপির জনসমাবেশে জনতার বিপুল পরিমাণ সমাগম দেখে আওয়ামী সরকার তেলেসমাতি শুরু করেছে। ঢাকা বিভাগসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। পরিকল্পিত নাশকতার ঘটনা সৃষ্টি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেপ্তার করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগুন সন্ত্রাসের মতো অপরাধ করে উল্টো বিএনপির ওপর দায় চাপানোর এক নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতি দীর্ঘদিন চালু করেছে আওয়ামী লীগ। তারা আগুন ছড়ানোর গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। পুরনো হাতিয়ার শান দিয়ে নতুন করে সেটির ব্যবহার করছে। এরা আগুন সন্ত্রাসের মডেল পুনরায় ব্যবহার করছে। যা দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে। এক্ষেত্রে পুলিশ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে ১০ তারিখের সমাবেশ শান্তিপুর্ণভাবে করতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় যেকোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। নয়াপল্টনেই আমাদের সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশে সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আটটি সমাবেশ হয়ে গেছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় আরেকটি সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ হবে গণসমাবেশ। এই সমাবেশে যাতে লোক আসতে না পারে তার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার তা-ব চালাবে। আমাদের সমাবেশের স্থান আমরা নির্ধারণ করবো। পল্টনে আমাদের সমাবেশ হবে। আওয়ামী লীগের ধারণা বিএনপিকে দমিয়ে রাখলে আমরা আগের মতো থাকতে পারবো। পল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেন। আমরা শান্তিপুর্ণভাবে সমাবেশ করতে চাই। দেশের সর্বত্রই গায়েবী মামলা হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোন ব্যত্যয় ঘটলে সরকারকে দায় নিতে হবে।
গতকাল পল্লবী, রূপনগর, বাড্ডা, ভাটারা, মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার প্রস্তুতি সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমরা ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবো। অতীতে নয়াপল্টনে শান্তিপুর্ণভাবে সকল সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশের জন্য নয়াপল্টন চেয়ে আমরা চিঠিও দিয়েছে। এখন নয়াপল্টনে আমরা যাতে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারি, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিনিয়ত কর্মসুচি পালন করছে,রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করছে; অথচ আমরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে পারব না-এ রকম দুই নিয়ম চলতে পারে না।সরকার মূলত অসৎ উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতাকর্মীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমরা সরকারের সেই ফাঁদে পা দেব না।১০ ডিসেম্বর ঢাকা হবে মিছিলের নগরী, জনতার শহর। শেখ হাসিনার পক্ষে সমাবেশ ঠেকানো সম্ভব হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, হেফাজত আর বিএনপি এক নয়। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে আওয়ামী লীগ আঘাত করলে তিনি নেতাকর্মীদের পাল্টা আঘাত দেয়ার নির্দেশ দেন। ১০ ডিসেম্বর শান্তিপুর্ণভাবে কর্মসুচি পালন করতে চায় বিএনপি। কিন্তু কেউ সংঘাতের চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে। এ সময় তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকিয়ে হেফাজতের মতো ঘটনা ঘটাতে চায় সরকার।
আগুনে ঘি ঢালছে আ’লীগ
আওয়ামী লীগের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তারা বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার সমাবেশকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছে (১০ ডিসেম্বর কিছুই হবে না। ওই দিন আমরাও মাঠে থাকব। তাদের (বিএনপি) কোনো বাধা দেব না। কিন্তু তাঁরা যদি আগুন নিয়ে খেলতে চান, লাঠি নিয়ে খেলতে চান, তাহলে আমরা তা হতে দেব না। বিএনপির সঙ্গে খেলা হবে। খেলা হবে নির্বাচনে, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, খেলা হবে ভোটচোরের বিরুদ্ধে।—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের)।
আর প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলছে, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকা ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়তে পারে। আওয়ামী লীগ ঢাকার প্রবেশমুখে এবং ভেতরেও নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে। পরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক পাহারায় থাকবে।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বক্তব্য ও দলের পরিকল্পনার বাইরে এখন যে বিষয় উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তা হচ্ছে সমাবেশের স্থান। বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে ১৫ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদন করেছে।
এখন জানা যাচ্ছে, সরকার চায় বিএনপি এ সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করুক। সরকারের এই চাওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ও কৌশল কাজ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের জন্য জন্য সরকার যেখানে ভালো মনে করবে, সেখানেই অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, সরকার কারও কথা শুনতে বাধ্য নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর পুলিশ তার বাইরে যাবে না, এটা জানা কথা। কয়েক দিনের আলোচনার পর আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান? এ প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, ‘আমরা বিবেচনা করে দেখলাম যে পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশের অনুমতি দিলে এবং সেখানে কয়েক লাখ লোক জমায়েত হলে তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যাবে। পার্টি অফিসের সামনে ৫০ থেকে ৬০ হাজার লোক ধরবে। এতে রাস্তাঘাট ব্লকড হবে। নগরবাসীর কষ্ট হবে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।’
জনসভার জায়গা নিয়ে যখন এ পাল্টাপাল্টি অবস্থান, তখন শোনা গেল বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে সরকারের অনাগ্রহের কথা। আবার সরকার যেমন বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় অনাগ্রহী, তেমনি বিএনপিও চায় না সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। বিএনপি বলছে, তারা সংলাপের কোনো দাবি করেনি। প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব কথা বলছেন।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘এ সরকারের অধীন যে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়, সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমরা এ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও রয়েছে। এই দাবি মেনে নেওয়ার আগে কোনো সংলাপ বা আলোচনা নয়। দাবি মেনে নেওয়ার পর সংলাপ বা আলোচনা হতে পারে।’
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় আমাদের আক্রমণ করে কথা বলছেন, আমরা সে রকম হলে ২০১৮ সালে আমাদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন কীভাবে?’
এসডব্লিউ/এসএস/১৪০৫
আপনার মতামত জানানঃ