বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে।
শজিমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন ও পুলিশকে মারধরের এই ঘটনা ঘটছে। এ সময় অভিযুক্তরা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথিও মেরেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মো. আসলাম বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নন্দগ্রামের বাসিন্দা।
তিনি জানান, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জয়নব বেগম বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। একইদিন তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে তার স্ত্রীর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তিনি চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান।
কিন্তু তার কথা কোনো চিকিৎসকই আমলে নিচ্ছিলেন না। তার স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তিনি আবারো চিকিৎসকদের কাছে ছুটে যান। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
আসলাম বলেন, আমাকে চিকিৎসকরা কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। ওই সময় আমার ছোটভাই জাকিরকেও মারধর করে তারা। একপর্যায়ে আমাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়েছে হাসপাতালের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক-ইন্টার্ন।
খবর পেয়ে আমার অসুস্থ স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে ছুটে এলে তার পেটে লাথি মারেন এক চিকিৎসক। অন্যরাও তাকে কিল-ঘুষি মারে। ওই সময় পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করে চিকিৎসকরা।
শজিমেক মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি আসলাম ও তার স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে। আমি তাদের বাঁচাতে গেলে চিকিৎসকরা আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। ওই সময় আমার সঙ্গে থাকা এটিএসআই আশরাফুল, কনস্টেবল শরীফ ও অরুপকেও মারধর করে তারা।
মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মারধর করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শজিমেক হাসপাতের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চিকিৎসককের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হট্টগোল হয়েছিল। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারাও হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধু ধস্তাধস্তি হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া ইসলামিয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার দেবর জাকির।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৩৪৩
আপনার মতামত জানানঃ