করোনার দাপটের মধ্যেই এবার ভারতে চোখ রাঙাচ্ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। প্রতিবেশী দেশ ভুটানে ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকান ‘সোয়াইন ফিভার’। দেশটিতে শূকরের দেহে এ ভাইরাসের জীবাণু ধরা পড়েছে। তার জেরে ভুটান সীমান্ত ভারতের লাগোয়া আলিপুরদুয়ারেও জারি হল সতর্কতা।
দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এই খবর জানিয়ে লিখেছে, উদ্বেগ যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা আলিপুরদুয়ারে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত শূকরের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রাণঘাতী এই রোগ।
প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রবল জ্বরে মারা যেতে পারে একের পর এক শূকর। তবে আশার কথা একটাই, এই রোগ মানুষের কাছে আপাতত আতঙ্কের নয়। কিন্তু কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না স্থানীয় প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর। আপাতত শূকরের মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে জারি নিষেধাজ্ঞা।
তাই আপাতত দিন দুয়েকের মধ্যে সেখানকার সমস্ত শূকরকে টিকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই শূকরের মাংস বিক্রি ও অন্যত্র সেগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর বিস্তার ঠেকাতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশ চন্দ্র বেরা বলেন, সম্প্রতি ভুটান আমাদেরকে একটি চিঠি দিয়ে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ছড়িয়ে পড়ার সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।
শূকরের খামারগুলো চিহ্নিত করে টিকাকরণ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও শূকরের শরীরে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের জীবাণু পাওয়া যায়নি। শূকর থেকে মানুষের মধ্যেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে অগ্রিম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মীনা বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই প্রাণীসম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে এই টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তবে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার
রাশিয়ায় এই রোগের প্রথম তথ্যটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। স্প্রেডের গতি উচ্চতর হওয়ার কারণে, চিকিত্সার কোনও কার্যকর পদ্ধতির অভাবে এবং ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তারকে প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিনগুলির অভাবে, শূকরগুলির এই রোগটি পশুপালের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর কেবল না শুধুমাত্র গার্হস্থ্য নয় বন্য প্রজাতিগুলিতেও আক্রান্ত হয়, এই রোগটি সমস্ত জাত এবং বয়সের বিভাগগুলিকে প্রভাবিত করে এবং শীত এবং গ্রীষ্মে উভয়ই ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যুর আগে শুকরের শরীরে কোনও সংক্রমণ প্রবেশের মুহুর্ত থেকে কখনও কখনও এক সপ্তাহেরও কম সময় অতিক্রান্ত হয়। এবং অনুকূল পরিস্থিতিতে বাহ্যিক পরিবেশে প্রকাশিত ভাইরাসটি বেশ কয়েক বছর অবধি কার্যকর থাকতে পারে।
মানুষের জন্য, ভাইরাসটি কোনও তাত্ক্ষণিক বিপদ ডেকে আনে না, তবে খামারে পরিবেশন করা কর্মীরা, পোষা পাখি এবং শূকরগুলিতে ধরা পড়া দেশী ও বন্য পাখি, ইঁদুর, ইঁদুর এবং অন্যান্য প্রাণী সহ একটি মারাত্মক সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৮৩৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ