আমাদের পূর্বপুরুষ নিয়ে নানা প্রচলিত কথা আছে, ইতিহাসের পাতা থেকে প্রাক্কালের এই অজানা কথাগুলি সব সময় আমাদের মধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করে। তাদের দেখা থেকে শুরু করে জীবন যাত্রা, চলন বলন সবকিছু নিয়েই আমাদের কম জল্পনা কল্পনা নয়।
ভারতীয় যাদুঘর হোক বা কোনো সিনেমা বা কোনো ডিসকভারি চ্যানেলে দেখানো বিশেষ তথ্যচিত্র সব সময়ই আমাদের ব্যপক আকর্ষণ করে। কিন্তু আপনি কি কখনো জানার চেষ্টা করেছেন এই আদিম যুগের মানুষরা অস্ত্র হিসেবে কি ব্যবহার করতেন?
কারন সেই সময় বিজ্ঞানের রমরমা ছিলো না। মানুষ এতো পড়াশোনাও জানতো না। এমনকি মানুষের নিজেদের থাকার মতন জন বসতিও ছিলোনা। তখন পশুদের সাথে জঙ্গলেই তাদের বসবাস ছিলো। তাহলে এই পরিস্থিতিতে তারা কেমন করে মোকাবিল করতো। আসলে অস্ত্র হিসেবে তারা নাকি উল্কা পিন্ড ব্যবহার করতো।
সম্প্রতি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে জানা গিয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষরা (Ancestors) এই উল্কাপিণ্ডগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেন এবং এগুলি নিয়েই যুদ্ধ করতেন।
সুইজারল্যান্ডের একটি হ্রদে পাওয়া এইরকম একটি স্পেসিমেন পেতেই বিষয়টি জানার পর বিস্মিত বিজ্ঞানীরাও। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের বিয়েল লেকে তিন হাজার বছরের পুরনো একটি তীরের মাথা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
এই উল্কাপিন্ডটি বার্নের ঐতিহাসিক জাদুঘরে রাখা হয়েছে। যে জায়গা থেকে এটি পাওয়া গিয়েছিলো তাকে মরিগান প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বলা হয়। এখানে সব ধরনেরই উল্কাপিন্ড পাওয়া গিয়েছে।
এমনকি এই স্থানটিকে সুইজারল্যান্ডের উল্কাপিণ্ডের আবাসস্থল বলে মনে করা হয়। এমনকি জানা গিয়েছে যতদিন পর্যন্ত না মানুষ লোহার ব্যবহার শিখেছে, ততদিন পর্যন্ত তারা এই উল্কাকেই ব্যবহার করতো। নাকি গ্রীনল্যান্ড থেকে কানাডা এমনকি চীন পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় গয়না, ভাস্কর্য তৈরিতে উল্কা ব্যবহার করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা এই উল্কার রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে অনুমান করেছিলেন যে লোহাটি কালিজারভা উল্কাপিণ্ড থেকে এসেছিলো। যা ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে আধুনিক এস্তোনিয়াতে পৃথিবীতে পড়েছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপটি নিয়ে আরো অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো হতেপারে।
আপনার মতামত জানানঃ