Author: ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে ‘স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের’ অসংখ্য লেখা প্রকাশ হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। কিন্তু এসব লেখকদের পরিচয় ও অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এসব লেখকদের অনেকে ভুয়া ছবি ব্যবহার করেছেন। এমনকি অনেক লেখকের অস্তিত্ব পর্যন্ত নেই বলে বার্তাসংস্থা এএফপির অনুসন্ধানে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘অস্তিত্বহীন’ লেখকদের এ ধরনের লেখা বাংলাদেশে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর প্রচারণার অংশ। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে সুবিধা দিতেই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া এবং এশিয়ার শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে এসব লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখায় ওয়াশিংটনভিত্তিক ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের দক্ষিণ এশিয়া ব্রিফের বরাতও…

Read More

লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, ক্ষয়িষ্ণু রিজার্ভ, রেমিট্যান্সে ভাটাসহ সামষ্টিক অর্থনীতির নানামুখী সংকটের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে সরকার ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এমন অবস্থায়ও একশ্রেণীর মানুষের ধনসম্পদ আরো ফুলে-ফেঁপে উঠছে। সুইজারল্যান্ডের ইউবিএস ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশীয় মুদ্রায় ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি বা এর ওপরে সম্পদশালী ব্যক্তির সংখ্যা বাংলাদেশে প্রায় এক হাজার ৭০০, যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে, স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি। যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশ। এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে। সর্বশেষ গত আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯…

Read More

নবম গ্রহ হিসেবে অনেকদিন ছিল প্লুটোর নাম। কিন্তু গ্রহের মর্যাদা হারানোর পর তা আর তালিকায় নেই। এর পর থেকে মিল্কিওয়ে ছায়াপথের আমাদের সৌরজগতে ৮টি গ্রহই তালিকাভুক্ত। তবে এই সৌরমণ্ডলের বাইরে গ্রহের খোঁজ পাওয়ার কথা মাঝেমধ্যেই জানান বিজ্ঞানীরা। এবার জানা গেল, এই সৌরজগতের ভেতরেই আড়ালে রয়েছে একটি গ্রহ। দেখতে একদম পৃথিবীর মতো। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, নেপচুনের পেছনে কুইপার বেল্টে নতুন এ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটির আকার ‘পৃথিবীর মতো’। আগের ধারণার চেয়ে নতুন গ্রহটি বড়। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইপার বেল্টে সন্ধান পাওয়া বস্তুকে ‘প্লানেট নাইন’ নামে ডাকা হচ্ছে। এর বিচিত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন—অন্যান্য বস্তুর ওপর এ মহাকর্ষীয়…

Read More

সেকুওইয়া ন্যাশনাল ফরেস্ট। আমেরিকার সিয়েরা নেভাডা পর্বতমালার দক্ষিণে অবস্থিত এই জঙ্গলটার নাম সেকুওইয়া নামক এক বিশালাকৃতি গাছের থেকে এসেছে। এই অঞ্চলে দাবানল একটা নিয়মিত ঘটনা, অথচ সেকুওইয়া গাছ বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে। টিকে থাকতে পারে দাউ দাউ করে জ্বলন্ত জঙ্গলের মধ্যেও। শুধু তাই না, গাছটার জন্ম কিম্বা বেড়ে ওঠা আগুনের উপরই নির্ভর করে। দাবানলের রোষ থেকে কিছুই বাঁচে না, পশুপাখি, গাছপালা সব জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যায়। মাইলের পর মাইল উজাড় হয়ে যায় সব কিছু। লেলিহান আগুনের তাণ্ডবলীলার পর গোটা এলাকা জুড়ে কয়েক মুঠো ছাই ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। পৃথিবীর কিছু জঙ্গল অত্যন্ত দাবানলপ্রবণ, প্রায় প্রতি দশকেই…

Read More

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান-অপদস্তের একরত্তিও অবশিষ্ট রাখছে না সরকার। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন মহলের উষ্মা-বিরক্তি ওপেনসিক্রেট। মামলা-মোকদ্দমার সমান্তরালে নোংরা-কদাকার যত কথাবার্তারও শিকার তিনি। ডালপালা ছড়িয়ে এতে আরো নানা বিষয়আশয় যোগ হয়ে পড়েছে। বিশ্বে ড. ইউনূস নোবেল লরিয়েট, সোশ্যাল বিজনেস তত্ত্বের পুরোধাসহ আরো অনেক কিছু হলেও সরকার ও সরকারি দলের লোকদের কাছে তিনি স্রেফ একজন সুদের কারবারি। কর খেলাপি, দেশবিরোধীও। তাকে নোবেল দেয়া ঠিক হয়নি- এমন অভিযোগের সাথে অর্থনীতির লোক শান্তিতে নোবেল পান কেন-এ প্রশ্ন করে যাচ্ছেন তারা। এসব অভিযোগ ও সমালোচনা নি¤œমানের ভাষায় ঠাসা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীসহ নানা শ্রেণী-পেশাকে তার বিরুদ্ধে একাকার করে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শ্রম…

Read More

বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এর অন্যতম কারণ হলো ডলারের ক্রাইসিস। দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের সংকট থাকলেও বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের সংকট প্রবল আকার ধারণ করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলার মিলছে না বললেই চলে। অন্যদিকে কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারেও ডলার বেচাকেনা একেবারেই কম। আর থাকলেও দাম বেশি। ডলারের এই সংকটকালে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসা এবং ডলার সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আন্তর্জাতিক সংস্থা মুডিস…

Read More

মঙ্গলগ্রহে অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, কার্বন ডাই অক্সাইডপূর্ণ গ্রহটিতে দুই বছরের চেষ্টায় অক্সিজেন গ্যাস তৈরি করা হয়েছে। এই অক্সিজের ওপর নির্ভর করে গ্রহটিতে নামতে পারবে মানুষ। তবে তার আগে আরও কিছু পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোভার কিছু পরীক্ষামূলক বস্তু নিয়ে গেছে মঙ্গলগ্রহে। তার মাধ্যমেই তৈরি করা হয়েছে অক্সিজেন। একে বড় সাফল্য হিসেবে অভিহিত করলেও সতর্ক বিজ্ঞানীরা। আবু ধাবির নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনও অক্সিজেন সমৃদ্ধ এলাকার নকশা পুরোপুরি তৈরি করা হয়নি। নাসার এই রোভারকে বলা হচ্ছে হোপ প্রোব। ২০২১ সালে নাসার প্রাণের সন্ধানকারী প্রোবটি যখন মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করে তখনই অক্সিজেন…

Read More

স্মার্টফোন হোক, বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, কিংবা ঘুড়ির মাঞ্জা, অত্যন্ত সস্তায় নিত্যব্যবহার্য জিনিস বিক্রি করার ব্যাপারে চীনের জুড়ি মেলা ভার। নিজের দেশ তো বটেই, ভারত সহ পৃথিবীর বহু দেশেই দেশি জিনিসকে মাত দিয়ে রমরমিয়ে বিক্রি হয় চীনা পণ্য। উদ্ভাবনীশক্তিতে চীনের মানুষ যে অতুলনীয়, তা একবাক্যে স্বীকার করেন অনেকেই। সম্প্রতি সে দেশের একটি অনলাইন পোর্টাল এমন একটি জিনিস বিক্রি করছে, যা দেখে তাজ্জব নেটিজেনরা। তাওবাও (Taobao) নামে ওই পোর্টালটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা আরও উন্নত করার জন্য একটি জিনিস বিক্রি করছে, যেটির নাম ‘আইনস্টাইনস ব্রেন। চীনের তাওবাও নামে একটি অনলাইন শপিং পোর্টাল অবিশ্বাস্য কম দামে বিক্রি করছে “আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক”, শুনলে অবাক লাগলেও ঘটনাটি…

Read More

স্বাধীন ভারতে নিজ দেশের মানুষের উপর যে গণহত্যা মরিচঝাঁপি মূলত একটি দ্বীপের নাম। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার একটি দ্বীপ এটি। সুন্দরবনের উত্তরভাগে অবস্থিত ১২৫ বর্গমাইলের একটি দ্বীপ মরিচঝাঁপি। যেখানকার অধিকাংশ জায়গা ছিলো শ্বাপদসংকুল। মানুষের বসবাসের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে সেখানে মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা দুরূহ কোনো কাজ ছিলো না। পরিষ্কার করে বসবাসের যোগ্য করার মতো এলাকা মরিচঝাঁপি। এটি সুন্দরবনের সুন্দরী, গড়ানের বনভূমি, যার এখানে-সেখানে নারকেল গাছ। এখানকার জমি জলকাদা আর শীর্ণকায় উদ্ভিদে ভরা। ব্রিটিশরা যখন এই উপমহাদেশে ছিলেন, তখন থেকেই তারা এখানকার মানুষদের মনের ভেতর, চেতনায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বীজ বপন করেন। যার পরিণতি খুবই ভয়াবহ হয়। কাছের মানুষদের…

Read More

প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার আক্কাদীয় সাম্রাজ্যের প্রাজ্ঞ, প্রভাবশালী ও গুণীজনদের তালিকা করলে এনহেদুয়ানার নাম উঠে আসবে অবধারিতভাবেই। বলা হয়ে থাকে, তিনি আক্কাদীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মহামতি সার্গন দ্য গ্রেটের কন্যা। প্রত্নতাত্ত্বিক নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এনহেদুয়ানা একইসাথে ছিলেন প্রাচীন সুমেরীয় মন্দিরের একজন মহাযাজিকা এবং বিশ্বের প্রথম পরিচিত লেখিকা। মৌলিক সাহিত্য রচনার জন্য সর্বাধিক খ্যাতি কুড়িয়েছেন। এসবে তিনি শুধু মেসোপটেমীয় দেবতাদের প্রশংসাই করেননি, বরং তাদের মানবিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দিকগুলোর দিকেও আলোকপাত করেছেন। সার্গনের হাতে নবনির্মিত আক্কাদীয় সাম্রাজ্যকে একতাবদ্ধকরণ, এবং সমৃদ্ধিসাধনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। খ্রি.পূ. ২২৮৬ অব্দের দিকে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার উর্বর ভূমিতে এনহেদুয়ানার জন্ম। তার বাল্যকাল সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। শুধু বলা হয়ে থাকে,…

Read More