নরেন্দ্র মোদি এখন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল ও শক্তিশালী একনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তার চলমান রাজনীতির গভীর পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার ক্ষমতার ভিত্তি শুধু রাজনৈতিক কৌশল কিংবা জনসমর্থনে নয়, বরং উগ্র হিন্দুত্ববাদ, পাকিস্তান বিদ্বেষ ও গালগল্পে ভর করেই গড়ে উঠেছে। এসব উপাদান তিনি নির্বাচনী রাজনীতিতে অত্যন্ত কৌশলীভাবে ব্যবহার করছেন, যা এখন ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং একনায়কতন্ত্রের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
মোদির ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রধান অস্ত্র: পাকিস্তান বিদ্বেষ ও উগ্র হিন্দুত্ববাদ
মোদির রাজনৈতিক কৌশল বড় মাপেরভাবে পাকিস্তান বিরোধী আবেগ ও উগ্র হিন্দুত্ববাদকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সীমান্ত হানাহানি, পুলিস হামলা, এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী ঘটনা গুলো মোদি সরকার চমৎকারভাবে রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়ায় এসব ঘটনাগুলো অত্যন্ত চমকপ্রদ ও প্রলুব্ধকরভাবে প্রচারিত হয়, যাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ও একক দৃষ্টিভঙ্গিতে সীমাবদ্ধ থাকে — ‘পাকিস্তানই ভারতবিরোধী সন্ত্রাসের মূল চক্রান্তকারী’। এই বিষয়টি মোদি প্রশাসনের ‘নেতৃত্বশীল’ অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে।
উগ্র হিন্দুত্ববাদ মোদির রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের অন্য একটি স্তম্ভ। “লাভ জিহাদ”, “আন্তঃধর্মীয় বিবাহ বিরোধী আইন”, সংখ্যালঘুদের অধিকার হ্রাস, গরু রক্ষার নামে হিংসা-প্রতিবাদের আশ্রয়, এসব বিষয় মোদি সরকারের ভোটব্যাঙ্ক তৈরির হাতিয়ার। এতে বিরোধীদের উপেক্ষিত ও অবহেলিত মনে হওয়ার সুযোগ হয়, তবে এটি হিন্দু রাষ্ট্রীয়করণের ধারাকে দৃঢ় করে।
২০১৩ সালে মুজফফরনগর দাঙ্গায় ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৪২ জন মুসলিম এবং ২০ জন হিন্দু। ২০১৭ সালে হরিয়ানা রাজ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার কারণে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৫-২০২৫ সময়ক উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট ও অন্যান্য রাজ্যে মসজিদ ভাঙা, গণহামলা এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শতাধিক মুসলিম নিহত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২-২০২৪ সালে উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর ও সামভালে মসজিদ ধ্বংস ও পুলিশি গুলিতে ৫ জন মুসলিম নিহত হন। ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গরু জবাই বা পরিবহনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতায় ৮৪% শিকার মুসলিম ছিলেন। মে ২০১৪-পরবর্তী সময়ে এই হার বেড়ে ৯৯%-এ পৌঁছায়। ফেব্রুয়ারি ২০২০-এ দিল্লিতে সংঘটিত দাঙ্গায় কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম।
একনায়কতন্ত্রের দিকে ভারত
মোদির শাসনব্যবস্থা এখন স্পষ্টতই একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ বহন করছে। এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ: স্বাধীন গণমাধ্যম ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। মোদি সরকারের মিত্রপক্ষের হাতে সংবাদমাধ্যমের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণাধীন, যা বিরোধী কণ্ঠ দমন করে এবং সরকারের পক্ষে প্রচার চালায়।
বিরোধী দল ও জনমত দমন: সমালোচনাকারী সাংবাদিক, বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও হুমকি-ধমকি বেড়েছে।
আইন ও সংবিধান নিয়ন্ত্রণ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), এনআরসি, এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ আইন ব্যবহারে সংবিধান ও আইনের শাসনকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয়করণ: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে। অনেক রাজ্যে কেন্দ্র থেকে দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বিরোধীদলীয় সরকারগুলোর বিরুদ্ধে।
এসব দিক থেকে দেখা যায়, ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে ধীরে ধীরে ভাঙন চলছে এবং সেই ভাঙন মোদি ও তার দল ইচ্ছাকৃতভাবে করছে যাতে একনায়কীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
মোদির হারের সম্ভাব্য কারণসমূহ
তবে মোদির ওপর এই ক্ষমতার ভরসা অনির্বাচিত নয়। তার রাজনৈতিক পতনের সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:
অর্থনৈতিক চাপ ও বেকারত্ব: ভারতের যুবসমাজের মধ্যে কর্মসংস্থান ও জীবিকা নিয়ে কঠিন সংকট রয়েছে। গড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত ও কৃষক শ্রেণির অসন্তোষ ব্যাপক।
সংখ্যালঘু দমন ও সামাজিক বিভাজন: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অত্যাচার বিরোধীদের শক্তিশালী করেছে। ধর্মীয় ও সামাজিক বিভাজন দীর্ঘমেয়াদে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
আন্তর্জাতিক চাপে পতন: পাকিস্তান–ভারত উত্তেজনা সাময়িক হলেও, আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থান অস্পষ্ট হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ মোদির কূটনীতি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
বিরোধীদলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া: কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল সাম্প্রতিক সময়ে মোদির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যা শক্তিশালী রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে।
জনমতের পরিবর্তন: তরুণ ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তিত রাজনৈতিক সচেতনতা ও সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা মোদির প্রচারণার বাইরে গিয়ে নতুন ধারার রাজনৈতিক চাহিদা সৃষ্টি করছে।
পাকিস্তান আক্রমণের রাজনৈতিক ব্যবহার
মোদির সরকার পাকিস্তানের প্রতি কট্টর বিদ্বেষের রাজনীতি প্রমোট করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনো সংঘর্ষ, সন্ত্রাসী হামলা বা সীমান্ত উত্তেজনা গুলোকে মোদি রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়ে জাতীয়তাবাদী আবেগকে উত্তেজিত করে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াচ্ছে। এতে রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির কণ্ঠস্বর কিছুটা দমন হচ্ছে এবং মোদির একনায়কীয় অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে।
তবে এই কৌশল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সীমান্তে উত্তেজনার ফলে সামরিক সংঘাত বা অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ মাঝে মাঝে মোদির এই ‘দ্বন্দ্ব রাজনীতি’ এবং অর্থনৈতিক নীতির কারণে অসন্তুষ্ট হচ্ছে।
মোদির গালগল্প
এছাড়া নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রত্যাশা তৈরি করেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এসব প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই বাস্তবে পুরোপুরি রূপায়িত হয়নি। তবু মোদি এবং বিজেপি-led সরকার বারবার এসব প্রতিশ্রুতি পুনরায় তুলে ধরেছে, যা তাদের নির্বাচনী কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সবার জন্য ‘স্বচ্ছ পানি’ এবং ‘নিরাপদ গৃহ’: মোদির বড় বড় প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল প্রতি পরিবারের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা এবং গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ। ‘আওর ঘর’ প্রকল্প নামে এক বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বাস্তবে দেশের অনেক অঞ্চলে এখনও নিরাপদ পানির অভাব এবং গৃহহীনতা ব্যাপক। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে অনেক গ্রাম ও শহরে পানির সংকট এখনও অব্যাহত। এছাড়া অনেক গৃহহীন মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছায়নি।
সম্পূর্ণ ডিজিটাল অর্থনীতি ও ‘কাগজমুক্ত’ দেশ: মোদির সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ডাক দিয়ে নগদ লেনদেন কমিয়ে ডিজিটাল অর্থনীতির প্রচার চালিয়েছে। ২০১৬ সালে মোদি ঘোষণা করেছিলেন, ভারত দ্রুত ‘কাগজমুক্ত’ অর্থনীতির দিকে যাবে। তবে গ্রামীণ ও মধ্যবিত্ত অঞ্চলে ডিজিটাল বিভাজন, ইন্টারনেট সেবার অপ্রতুলতা ও বেসরকারি সংস্থার আধিপত্যের কারণে এই প্রতিশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রতারণা এবং সাইবার অপরাধও বেড়ে গেছে।
‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ ও ‘নিয়োগ সৃষ্টি’: মোদির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল তরুণদের জন্য বৃহৎ পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিল্পায়ন ও ব্যবসার প্রসার ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভারতের বেকারত্বের হার ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে অনেক সময় উর্ধ্বগামী। তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত ও যোগ্যতাসম্পন্ন কাজের সুযোগ তৈরি হয়নি। শিল্প ক্ষেত্রেও বড় মাত্রায় বিদেশী বিনিয়োগ আসলেও দেশের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি কম।
কৃষকদের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন: কৃষক ও গ্রামীণ উন্নয়নের কথা বারবার মোদি বলেছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষি সন্মান নিধি’ (PM-KISAN) প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, যেখানে কৃষকদের নির্দিষ্ট আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল। তবে কৃষকদের বড় অংশ এখনও ঋণের বোঝায় জর্জরিত। ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, বন্যা, খরা ও সরকারি প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নের অভাব কৃষকদের দুরবস্থার অবসান ঘটায়নি। মোদির কৃষি আইন সংস্কারের চেষ্টা বিরোধীদের ব্যাপক প্রতিবাদে পরিণত হয়েছিল, যা পরে প্রত্যাহার করতে হয়।
দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা: মোদির বড় প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল দারিদ্র বিমোচন ও সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণির জন্য উন্নত জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা। বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন ‘উজ্জ্বলা যোজনা’, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু করা হলেও, দারিদ্রের হার এখনও উল্লেখযোগ্য, বিশেষ করে গ্রামের অনেক মানুষ এখনো মৌলিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে সরকারি ব্যবস্থা ততটা সফল হয়নি।
দুর্নীতি নির্মূলের প্রতিশ্রুতি: ২০১৪ সালের নির্বাচনে মোদি ‘দুর্নীতি মুক্ত ভারত’ গঠনের কথা বলেন। ‘মনকী বাতি’ আন্দোলনের পর গত কয়েক বছরে কিছু বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারির তদন্ত হলেও দুর্নীতি অনেক ক্ষেত্রে কমেনি। বরং সরকারি নীতি ও বড় বড় প্রকল্পে স্বচ্ছতার অভাব ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মোদির ক্ষমতাসীন অবস্থানে থাকাকালীন এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন অনেকটাই অসম্পূর্ণ থেকে গেছে, কিন্তু নির্বাচনী সময়ে এসব কথা পুনরায় তুলে ধরা হয় জনগণের সমর্থন পেতে। ফলত বাস্তবতা ও নির্বাচনী রাজনীতির মধ্যে বিশাল ফাঁক দেখা দেয়। জনমতের কিছু অংশ এখন এই অসামঞ্জস্যতা সম্পর্কে সচেতন হলেও মোদির রাজনৈতিক কৌশল এই প্রতিশ্রুতিগুলো বারবার ব্যবহার করে ভোট বাঁচাতে সক্ষম হচ্ছে।
মোদির নির্বাচনী সফলতা মূলত উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং পাকিস্তান বিদ্বেষের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই দুটি বিষয়কে তিনি চমৎকারভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে এই কৌশল ভারতের গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের শাসনব্যবস্থা একনায়কতান্ত্রিক পথে প্রবাহিত হচ্ছে, যেখানে বিরোধী কণ্ঠ ও স্বাধীনতা ক্রমশ দমন হচ্ছে।
আগামী দিনে মোদি এই রাজনৈতিক কৌশল অব্যাহত রাখতে পারলেও, দেশীয় অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক বিভাজন এবং আন্তর্জাতিক চাপে তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে পারে। তার বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য এবং তরুণ প্রজন্মের বদলে যাওয়া রাজনৈতিক সচেতনতা বড় চ্যালেঞ্জ। এই দিকগুলো মোদিকে হারানোর সম্ভাবনাও তৈরি করছে।
তাই বলা যায়, মোদি এখন শক্তিশালী হলেও ভারতের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখোমুখি। একনায়কতন্ত্রের দিকে ধাবনের এই পথে মোদির রাজনীতি ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গভীরভাবে বদলে দিচ্ছে।
আপনার মতামত জানানঃ