প্রতিবছরই বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর পরিবেশ। সেখানে প্রভাবিত হচ্ছে প্রতিটি প্রাণী। তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন পরিবেশ থেকে ক্রমেই অবলুপ্তির পথে যেতে পারে পাখিরা। তাদের ক্ষমতা ক্রমেই কমছে।
একটি পাখির ব্রেন যেভাবে কাজ করতে পারে অন্য কোনো প্রাণীর ক্ষেত্রে সেটা করে না। তারা আকাশকে মেপে নিতে পারে। সেখান থেকে নিজেদের গতিকে কমাতে বা বাড়াতে পারে। দিনের শুরু যেখান থেকে হয়েছিল সেখানে গিয়েই দিন শেষ করতে পারে। এই ক্ষমতা পাখিদেরকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষকরা মনে করছেন, পরিবেশ যেভাবে বদলে যেতে শুরু করেছে সেখান থেকে পাখিরা আগামীদিনে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। পরিবেশের বিরাট প্রভাব পড়েছে পাখিদের জীবনচক্রের ওপরে। তাদের কাছে সব থেকে প্রখর বুদ্ধি রয়েছে। তবে তারা ধীরে ধীরে নিজেদের বুদ্ধি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
প্রতিটি সময় পৃথিবীতে বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব।
পাশাপাশি তাপমাত্রার রকমফের বিরাট প্রভাব ফেলছে। গ্রিনহাউস গ্যাস প্রতিটি সময় পাখিদের দেহে প্রভাব ফেলছে। সর্বোপরি বলা যায় বিভিন্ন এলাকায় যত বেশি পরিমাণে মোবাইলের টাওয়ার বসতে ততই সেখান থেকে রেডিয়েশনের মাত্রা বাড়ছে। সেখান থেকে পাখিরা সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
এই প্রভাবকে বুঝতে হলে সবার আগে দরকার কয়েকটি হিসেব দেখে নেওয়া। প্রতিটি দেশে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে। তারা হাজার হাজার মাইল সফর আর করতে পারছে না। তাদের ব্রেনের বিশেষ ক্ষমতার জেরে তারা এই বিরাট রাস্তা পার করে। তবে সেখানে তারা বুঝতে পারছে না কোন রাস্তা দিয়ে তারা যাবে। কোন পথেই ফিরবে। ফলে সেখানে তারা নিজের ঘর ছেড়ে আর যেতে চাইছে না।
দ্রুত হারে গাছ কাটার ফলে পাখিরা নিজেদের ঘর হারিয়েছে। তারা নতুন করে বাসা তৈরি করতে পারছে না। নতুন করে বংশবৃদ্ধিতে এটা বিরাট প্রভাব ফেলছে। আগামী কয়েকবছরের মধ্যে পাখিদের সংখ্যা আরও কমবে। হারিয়ে যাবে রোজকার দেখা পাখিরাও। ফলে বাড়বে পোকামাকড়ের উপদ্রব।
আপনার মতামত জানানঃ