ইসরায়েলের সরকারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে এমন একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের কিছু অংশকে মিথ্যা দাবি করে ইসরায়েলের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে “আন্তর্জাতিক বৈধতার প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের গুরুতর উদাহরণ” বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই মানচিত্র প্রকাশ “গাজা উপত্যকায় চলমান নির্মম যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে ব্যাহত করবে।”
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে “আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে এবং আরব ভূমিতে তাদের সম্প্রসারণবাদী মনোভাব মোকাবিলা করতে।”
ইসরায়েলের এই মানচিত্রকে ফিলিস্তিন ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের মার্চে, প্যারিসে একটি অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ জর্ডানকে বৃহত্তর ইসরায়েলের অংশ হিসেবে দেখিয়ে একটি মানচিত্রের সামনে বক্তব্য দেন।
দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েল লেবানন, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক আহ্বানের পরও তা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। একইসঙ্গে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭-পূর্ব সীমারেখার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে আসছে।
আপনার মতামত জানানঃ