দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছ থেকে। দুই সংস্থার তথ্যে বরাবরই দেখা গেছে বড় ধরনের ফারাক। সম্প্রতি হিসাব পদ্ধতি সংশোধন করে রফতানি আয় থেকে ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো পরিমাপের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো এ রফতানি আয়ের তথ্য। সংশোধনের মাধ্যমে রফতানি আয় কমে আসায় দেশের জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ এসব সূচকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের জিডিপিতে রফতানি আয়ের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রভাব রয়েছে। ফলে এতে রফতানি আয় হ্রাসের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যয়ভিত্তিক জিডিপি হিসাবের সময় রফতানি আয় থেকে আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে রিসোর্স ব্যালান্স হিসাব করা হয়ে থাকে। এখন রফতানি আয় কমে যাওয়ায় রিসোর্স ব্যালান্সের পরিমাণ আরো বাড়বে। এতে মোট দেশজ ব্যয় ও জিডিপির মধ্যে ব্যবধান বাড়বে এবং এর প্রভাবে পরিসংখ্যানগত ফারাকও বাড়তে যাচ্ছে।
বিবিএসের কর্মকর্তারা বলছেন, রফতানি আয়ের পরিসংখ্যানে পরিবর্তনের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলে সংস্থাটি এ নিয়ে কাজ শুরু করবে। ব্যয়ভিত্তিক জিডিপি হিসাবের সময়ও এতে রফতানি আয়ের তথ্য বদলের প্রভাব পড়বে। বেড়ে যাবে পরিসংখ্যানগত ফারাক। তাছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য পরিসংখ্যানেও পরিবর্তন আসবে।
জানতে চাইলে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রফতানি আয়ের হিসাব পরিবর্তনের তথ্যটি অফিশিয়ালি এখনো আমাদের কাছে আসেনি। রফতানি আয়ের পরিমাণ কমলে অবশ্যই জিডিপির হিসাবে তা প্রতিফলিত হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রফতানি আয়ের তথ্যে পরিবর্তনের বিষয়টি অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এতে ইপিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের ফারাকের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ইপিবির পরিসংখ্যানে একই রফতানি তথ্য এবং পণ্যের এইচএস কোড একাধিকবার ইনপুট দেয়া হয়েছে। পণ্যের কাটিং, মেকিং ও ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু তৈরির মাশুল পাওয়ার কথা।
কিন্তু ইপিবি কাপড়সহ সব যন্ত্রাংশের হিসাব করেছে। ইপিবি অনেক সময় নমুনা পণ্যের দামও ইনপুট দিয়েছে। অথচ নমুনা পণ্যের কোনো দাম হিসাবে আসার কথা নয়। আবার রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল থেকে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রয়কে রফতানি হিসাবে দেখানো হয়েছে। এসব পণ্য বিদেশে রফতানির সময় আবার হিসাব করা হয়েছে। সাধারণত পণ্য রফতানির সময় রফতানির প্রাথমিক ঋণপত্র মূল্য থেকে কিছুটা কম হয়ে থাকে, যা ইপিবি সমন্বয় করে না। এছাড়া স্টকলট, ডিসকাউন্ট ও কমিশনের কারণে ক্ষয়ক্ষতিও সংস্থাটি সমন্বয় করে না।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক, ইপিবি, এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি ব্যয়, রফতানি আয়, অদৃশ্য ব্যয়, অদৃশ্য আয়, রেমিট্যান্সের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে সংগ্রহ করে লেনদেন ভারসাম্যের বিবরণী প্রস্তুত করে থাকে। সাম্প্রতিককালে রফতানির বিপরীতে প্রত্যাবাসিত অর্থ আসা কমে যাওয়ায় ট্রেড ক্রেডিট উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যার প্রধান কারণ রফতানি (শিপমেন্ট) ও প্রকৃত রফতানি আয়ের ব্যবধান।
আর্থিক হিসাবে প্রকৃত ট্রেড ক্রেডিট বলতে বোঝায় রফতানি (শিপমেন্ট) ও রফতানি আয়ের পার্থক্য এবং আমদানি (শিপমেন্ট) ও আমদানি ব্যয়ের পার্থক্যের যোগফলকে। দেশের রফতানির তথ্য-উপাত্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে প্রতি মাসেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির কাছে পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে রফতানির তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে থাকে ইপিবি। সংশোধিত ডাটাসেট লেনদেন ভারসাম্যের বিবরণীতে ট্রেড ক্রেডিটসহ চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে সংশোধন এসেছে। তবে এর জন্য সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। কারণ চলতি হিসাবে থাকা উদ্বৃত্ত সংশোধিত হয়ে আর্থিক হিসাবে সমন্বয় হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক এবং মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কাদের গাফিলতিতে এটা হয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এটা ছোটখাটো কোনো ভুল না। সংখ্যাও অনেক বড়। যদি এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়ে থাকে, তাহলে তা আরো ভয়ানক হবে। আশা করি এমনটা হবে না। তবে কোনো আমলা খুশি করার জন্য এমনটা করেছে কিনা, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। বিশাল আমলাতন্ত্রের বিরাট দপ্তরগুলো যথাযথ কাজের জন্য উপযুক্ত কিনা সেই প্রশ্নও উঠবে।’
প্রতি বছর মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিবিবৃতি (এমটিএমপিএস) প্রকাশ করে সরকার। এতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ, রাজস্ব আয়, ব্যয়, বাজেট ঘাটতি ও অর্থায়নের মতো বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করে সামনের দিনগুলোয় দেশের অর্থনীতি কেমন যেতে পারে সে বিষয়ে প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ করা হয়ে থাকে। সরকারের নীতিনির্ধারণে এ নীতিবিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে এটি রেফারেন্স হিসেবে কাজ করে।
তাছাড়া সরকার সম্প্রতি তিন অর্থবছরের জন্য মধ্যমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল (এমটিডিএস) প্রণয়ন করেছে। এক্ষেত্রেও জিডিপির সঙ্গে ঋণের বিভিন্ন সূচকের তুলনা করা হয়েছে। জিডিপির আকার পরিবর্তন হলে এসব সূচকেও পরিবর্তন আসবে। এমটিএমপিএসে চলতি অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন এবং আগামী অর্থবছরে তা প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছিল। তবে রফতানি আয় কমে যাওয়ায় এখন এসব প্রাক্কলনে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ‘রফতানি আয়ের তথ্যে কোনো অসংগতি থাকলে সেটি সংশোধন করাই ভালো। এতে প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে। যথাযথ নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই সহায়ক হবে।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রফতানি আয়ের হিসাব পরিবর্তনের ফলে সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সব ধরনের সূচকেই পরিবর্তন আসবে। এতে অর্থনীতির উজ্জ্বল চিত্র কিছুটা নেতিবাচক পর্যায়ে নেমে আসবে, যা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও একটি খারাপ বার্তা দিতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জিডিপির হিসাব আবার করতে হবে। জিডিপির অনুপাতে ঋণের পরিমাণ বাড়বে। কমবে মাথাপিছু আয়। রফতানির তুলনায় আমদানির হিসাবে পরিবর্তন না হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতিও বাড়বে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কমে আসবে। বর্তমান বাজেটের সব প্রাক্কলনও পরিবর্তন হয়ে যাবে। সর্বোপরি অর্থনীতির উজ্জ্বল চিত্র কিছুটা হলেও মলিন হয়ে আসবে, যা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে খারাপ বার্তা দেবে। তাই পুরো বিষয়টি এখন পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।’
বিবিএসের তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৮৪ ডলার। স্থিরমূল্যে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে জিডিপির আকার পরিবর্তন হলে এসব পরিসংখ্যান ও প্রাক্কলনও পরিবর্তন হয়ে যাবে।
দিনের পর দিন এমন বড় ভুল তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে বলে মনে করছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. কাজী ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা মারাত্মক ধরনের ভুল। দিনের পর দিন এ ধরনের বড় ভুল কীভাবে হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত। এর ফলে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন উঠতে পারে। পেছনের জিডিপির হিসাবও ঠিক করতে হবে।’
সম্প্রতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আলোচ্য অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশের রফতানি আয় দেখানো হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। যদিও ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে রফতানি আয় হয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে ইপিবির দেয়া পরিসংখ্যান থেকে ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি সংশোধন করা হয়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের রফতানির পরিসংখ্যানও। আগের পরিসংখ্যানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে রফতানি আয় দেখানো হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। আর সংশোধিত পরিসংখ্যানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে। এক্ষেত্রে রফতানি আয় কমেছে ৭ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার।
ইপিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রফতানি আয়ের পরিসংখ্যানে গরমিলের বিষয়টি দীর্ঘদিনের। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থা দুটির মধ্যে রফতানি আয়ের তথ্যে ফারাক ছিল ৩ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে এ পার্থক্য ছিল ২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। তবে দুই সংস্থার রফতানি আয়ের তথ্যে গরমিলের পরিমাণ সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
বিবিএসের তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী দেশের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ বিলিয়ন ডলারে। এ অনুযায়ী, রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে ইপিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানের পার্থক্য জিডিপির ৩ শতাংশ। অর্থাৎ সংশোধিত পরিসংখ্যানে জিডিপির ৩ শতাংশের সমপরিমাণ রফতানি আয় কমে গেছে।
বিওপির অনেক খাতেই রফতানি আয় থেকে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার বাদ পড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে। মার্চ পর্যন্ত বিওপিতে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি দেখানো হয়েছিল মাত্র ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এপ্রিলে এসে এ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। এক ধাক্কায় বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় চার গুণ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে রূপ নিয়েছে চলতি হিসাবের ভারসাম্য। মার্চ পর্যন্ত চলতি হিসাবে প্রায় ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত দেখানো হলেও এপ্রিলে এসে সেটি প্রায় ৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতিতে রূপ নিয়েছে। তবে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট বা আর্থিক হিসাবের ক্ষেত্রে। গত দুই অর্থবছরেই আর্থিক হিসাবের বড় ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের নয় মাসে দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে ঘাটতি দেখানো হয়েছিল প্রায় ৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এপ্রিলে এসে আর্থিক হিসাবে ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে। আর এপ্রিল শেষে বিওপির মোট ঘাটতি দেখানো হয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাফর আহমেদ খান বলেন, ‘রফতানি আয়ের পরিসংখ্যানে পরিবর্তন আসার কারণে স্বাভাবিকভাবেই জিডিপির আকারে পরিবর্তন আসবে। তাছাড়া আরো যেসব ক্ষেত্রে রফতানি আয়ের পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেখানেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।’
আপনার মতামত জানানঃ