দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ কোটি ডলার কমেছে। বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক দায় পরিশোধ না করার পরও এ সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ছোট আমদানি দায় ও বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের কারণে। ১১ জানুয়ারি দিনের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৮ কোটি ডলার।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩ কোটি ডলারে।
নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় হিসাবে ১২৭ কোটি ডলার জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিশোধ করা হয়েছে। ওই সময়ে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘর থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে যায়।
আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩৪ কোটি ডলার। এখন তা আরও কমে ২ হাজার ৩ কোটি ডলারে নেমেছে। অর্থাৎ আকুর দায় পরিশোধের পরও রিজার্ভ কমেছে ২০ কোটি ডলার। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে কমেছে ১৫ কোটি ডলার।
এদিকে জানুয়ারির শুরুতে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে। গত ডিসেম্বরেও বেড়েছে। একই সঙ্গে রোজার কারণে আমদানিও বাড়াতে হচ্ছে। সব মিলে ডলার চাপে রয়েছে। কারণ রোজা নির্ভর পণ্য আমদানি করতে রিজার্ভ থেকে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চড়া সুদের দায় এড়াতে বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে। কারণ বকেয়া ঋণ পরিশোধ না করলে চড়া সুদসহ দণ্ড সুদ দিতে হচ্ছে। এতে পরিশোধের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। যে কারণে ঋণ পরিশোধেরও চাপ রয়েছে।
এদিকে গ্রস হিসাবে রিজার্ভ এক সপ্তাহ আগে ছিল ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৭ কোটি ডলারে। গত বছরের শেষ দিকে গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ও নিট রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। এখন গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারে ও নিট রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
এটি আবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে যেতে পারে। এর আগেও ১৯ বিলিয়র ডলারের ঘরে নেমেছিল। পরে আইএমএফ ও অন্যান্য সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে তা বেড়েছিল।
এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ডলার-টাকা অদলবদল বা সোয়াপ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভের পতনের ধারা শ্লথ হয়েছে। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার ও টাকার অদলবদল করতে পারছে। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আপনার মতামত জানানঃ