পেরুতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে তিন হাজার ৪০০ জনের বেশি নারী নিখোঁজ হয়েছে। দেশটির ন্যায়পাল কার্যালয় শনিবার (১০ জুন) এ কথা জানায়।
‘তাদের কি হয়েছে?’ শীর্ষক কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের প্রথম চার মাসে তিন হাজার ৪০৬ জন নারী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র এক হাজার ৯০২ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক হাজার ৫০৪ জন।
ন্যায়পালের ডেপুটি ইসাবেল অরটিজ বলেন, নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিকে পেরুর আসন্ন বিপদ পরিস্থিতি হিসেবে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ৩৩ মিলিয়ন মানুষের আন্দিয়ান দেশটিতে এ ধরনের ঘটনা রোধে রাষ্ট্র যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
৩৩ মিলিয়ন মানুষের আন্দিয়ান দেশটিতে এই ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য রাষ্ট্র যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গুম (অধিকাংশে অপহরণ এবং অপহরণ) বিষয়কে অগ্রাধিকারমূলক এজেন্ডা হিসেবে দেখছে না রাষ্ট্র।
এসব নারী স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছেন বলে বিশ্বাস পেরুর পুলিশ ও প্রসিকিউটর অফিসের। তাই তারা অনেক মামলার পর্যাপ্ত তদন্ত করে না। নারীদের খোঁজে সেভাবে সময় দেয় না। – এমন দাবি বিভিন্ন নারীবাদী এনজিওর।
পেরুতে নারী নিখোঁজের বিষয়টি অনেকটা চরম আকারে এখন। গত বছর পাঁচ হাজার ৩৮০ জনের বেশি নারী নিখোঁজ হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই মেয়ে ও কিশোরী। অবশ্য এই সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
এর আগে ২০২২ সালে পাঁচ হাজার ৩৮০ জনের বেশি নারী, যাদের বেশিরভাগই মেয়ে ও কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। যদিও এই সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ৯.৭ শতাংশ কম।
বিভিন্ন নারীবাদী এনজিওর মতে, পুলিশ ও প্রসিকিউটর অফিস অনেক মামলার পর্যাপ্ত তদন্ত করে না। কারণ তারা বিশ্বাস করে যে নারীরা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে।
এসডব্লিউএসএস/১৯০০
আপনার মতামত জানানঃ