যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের এক মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে মঙ্গলবার জো বাইডেনকে দেশেটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন বিপক্ষ দলের শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকানরা। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের অন্যতম নেতা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সিনেট সদস্য মিচ ম্যাককনেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুজনের মধ্যে এ দিন কথাও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এ অভিনন্দন জানালেন ম্যাককনেল।
ম্যাককনেল বলেন, ‘আমরা অনেকেই আশা করেছিলাম প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ভিন্ন ফলাফল আসবে। তবে আমাদের সরকার ব্যবস্থায় ২০ জানুয়ারিতে কে প্রেসিডেন্ট হবেন ও কারা শপথ নেবেন তা নির্ধারণ হয়ে গেছে। ইলেকটোরাল কলেজ ভোটেও তা বলে দিয়েছে।’
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দেশটির নতুন প্রশাসনে সম্ভাব্য উত্তরসূরি অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সাথে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। সাবেক হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরেক ঘনিষ্ঠ সহচর দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডি গ্রাহাম জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদের কিছু সদস্য বাছাই নিয়ে তিনি বাইডেনের সাথে কথা বলেছেন। দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সাথে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নেতাদের মধ্যেও বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে। তাকে বিজয়ী মেনে নিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বাইডেন সোমবার দেশটির ইলেকটোরাল ভোটের রায়েও বিজয় নিশ্চিত করার এক দিন পর তারা এ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে জয়ের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে বাইডেনের সাফল্য নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের করা ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যাত হয়ে গেল।
এদিকে, রিপাবলিকানরা মঙ্গলবার বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রকাশ্যে মেনে নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় অস্তিত্বহীন বিকল্প আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। রিপাবলিকান দলের সদস্যরা প্রকাশ্যে বাইডেনের জয় মেনে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, ‘ভোটার জালিয়াতির ভয়ানক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা আমাদের দেশে এর আগে আর কখনও হয়নি!’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতির দ্বিতীয় ধাপে কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত হতে গেলে ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। দেশটিতে গত সোমবার অনুষ্ঠিত ইলেকটোরাল কলেজের ভোটাভুটিতে ৩০৬টি ভোট পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। খবর : ইউএনবি
আপনার মতামত জানানঃ