মুজিব রহমান
ধর্ম অবমাননবার জন্য আইন সর্বপ্রথম পাশ হয় যুক্তরাজ্যে। এখন পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এই আইন আর কার্যকর নেই। শুধু মুসলিম দেশগুলোতেই এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। সরাসরি ফ্লাসফেমি নামে বাংলাদেশে কোন আইন না থাকলেও ধর্ম অবমাননবা মানে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের জন্য কয়েকটি কঠোর আইন রয়েছে- যা কার্যকর এবং ব্লাসফেমি আইনের অনুরূপ। তবে সরাসরি আফগানিস্তান, সোমালিয়া, পাকিস্তান ও মালেশিয়াতে ব্লাসফেমি আইন রয়েছে। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৯৫ ক ধারায় বলা রয়েছে- যদি কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় প্রনোদিত হয়ে বাংলাদেশের কোন নাগরিককের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অসদুদ্দেশ্যে লিখিত বা মৌখিক বক্তব্য দ্বারা কিংবা দৃশ্যমান অঙ্গভঙ্গি দ্বারা সংশ্লিষ্ট ধর্মটিকে বা কারো ধর্মবিশ্বাসের প্রতি অবমাননার চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অর্থদন্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা ছিল আরো ভয়ঙ্কর একটি আইন। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ ১৪ বছর ও জরিমানা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা। এই আইন নিয়ে অনেক কথা ও অভিযোগ উঠলে সরকার তা প্রতিস্থাপন করে নতুন আইন করে ডিজিটাল সুরক্ষা আইন ২০১৮ নামে। এই আইন নতুন হলেও তা মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করে। এই আইনের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে- যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে, তাহলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা ও জরিমান ২০ লক্ষ টাকা। জরিমানার পরিমাণ ছাড়া এই আইন দুটির তেমন কোন পার্থক্য নেই।
ধর্মানুভূতি এক কঠিন জিনিস। কি বললে কে কিভাবে অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন তা সংজ্ঞায়িত করা কঠিন। সামান্য ধর্ম বিষয়ক এক কৌতুকে বা কোরবানীতে পশু হত্যার বিষয়ে সামান্য মন্তব্যই কারো কারে অনুভূতিতে আঘাত লাগে। ইন্দ্রেয়ের এমন বোধ যদি খুবই তরল হয় এবং কারণে অকারণে তা অনুভব হয় তাহলে কথা বলা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে সভ্য দেশগুলোতে যখন এই আইন অকার্যকর হয়ে উঠেছে তখন আমাদের পূর্বকার আইনকে আরো কঠোর এবং তা অতি কার্যকর রাখা হয়েছে। এগুলো সবই এক ধরনের ব্লাসফেমি আইন। গ্রীক ব্লাসফেমন থেকে ব্লাসফেমি আইনটির নাম হয়েছে। এর অর্থ ধর্ম নিন্দা বা ঈশ্বর নিন্দা। এথেন্সের এমন ভয়ানক আইনেই সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। ব্লাসফেমি আইন বলতে মূলত কোন ধর্মের ওপর অপবাদ বা কলঙ্ক আরোপ করা বা সম্মানে আঘাত করাকে বুঝায়। অর্থাৎ ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই ব্লাসফেমি। মূলত প্রাচীন ও মধ্যযুগে ইউরোপে এমন আইনের উদ্ভব হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে বা ইউরোপে কেন এমন আইন করা হয়েছিল?
রাজার ধর্মই ছিল প্রজার ধর্ম। রাজা নিজেকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি দাবি করতেন আর প্রজারাও তাই বিশ্বাস করতো। তাই ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে রাজার বিরুদ্ধে কথা বলা ধরা হতো। রাজা চাইতো প্রজারা ধর্মে বুঁদ হয়ে থাকুক যাতে কোন রকম রাজকার্যের ব্যর্থতার দিকে তারা না তাকায়। রাজার ভোগবিলাস, শান-শওকত নিয়ে তাদের ভাবনা না আসে। তারা যেন পরকাল নিয়ে ভাবতে থাকে যেখানে তারা পাবে- স্বর্গ, হুর, মদ, সুস্বাদু ফল ও খাবার। অর্থাৎ তারা ইহকালে কষ্ট করলে পরকালে রাজার হালে থাকতে পারবে। ঠিক এমন ভাবনা থেকেই- রোমের দাসবিদ্রোহ দমনের জন্য রাজা কনস্টান্টাইন পুনর্জাগরণ করেন মৃতপ্রায় খৃষ্ট ধর্মকে। তিনি বিপুল সংখ্যক গীর্জা স্থাপন করে সেখানে পুরোহিত নিয়োগ দেন এবং প্রচার দেওয়ান যে- ইহকালে রাজানুগত্য প্রদর্শন করে, ঈশ্বর বন্দনা, সৎ উপার্জন করে মৃত্যুবরণ করলে পরকালে স্বর্গে যেতে পারবে। বিস্ময়কর যে সাধারণ মানুষ এটা বিশ্বাস করে নেয় এবং রোম সাম্রাজ্য দাসবিদ্রোহ থেকে রক্ষা পায় আর রাজাও সুখে শান্তিতে থাকতে থাকে। সেই বিশ্বাসের ধারা এখনো চলছে।
রাজার ধর্মই ছিল প্রজার ধর্ম। রাজা নিজেকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি দাবি করতেন আর প্রজারাও তাই বিশ্বাস করতো। তাই ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে রাজার বিরুদ্ধে কথা বলা ধরা হতো। রাজা চাইতো প্রজারা ধর্মে বুঁদ হয়ে থাকুক যাতে কোন রকম রাজকার্যের ব্যর্থতার দিকে তারা না তাকায়।
বাংলাদেশে তথাকথিত ধর্মানুভূতির নামে বহু মানুষকে হয়রাণী করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি কৌতুক লেখায় ডিজিটাল সুরক্ষা আইনে জিডি হয়েছে যা মামলায় রূপান্তর হবে। কোরবানীর সময় পশু হত্যার বিষয় নিয়ে ফেসবুকে লালমনির হাটের একজন প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার রায় মন্তব্য করলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন-
নির্বোধের আর্তনাদ’ পশু হত্যা করে ওরা কিভাবে উত্তম হতে পারে? উত্তম প্রাণীরাই আজ পৃথিবী ধ্বংসের মুল কারণ ওরাই দূষণ করেছে, ধ্বংস করেছে আর ভাবছে ওরাই উত্তম।
বহু ব্লগারের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা অনেকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাস মাওলানা মামুনুল হকের বিদ্বেষ ছড়ানো নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিলে তার অনুসারীরা কয়েকটি গ্রামের হিন্দু বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। তারা ব্যাপক লুটতরাজ চালায়, বাড়িঘরে আগুন দেয় ও মারধর করে। ঝুমন দাস এখনো জেল খাটছে।এর আগে ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগরের ধর্মানুভূতির আঘাতে তাণ্ডবও ছিল ভয়ানক। সেখানে জনৈক রসরাজ দাসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগ এনে ব্যাপক হামলা, ভাঙ্গচুর, লুটপান ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতির আঘাতের মামলা হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রচারিত বিজয়া নামের একটি নাটকে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হয়রাণীর শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। আরো বহু মানুষ এই আইনে মামলা খেয়ে জেল খেটেছেন। ফেসবুক একটি আতঙ্কের নাম হয়ে উঠে- কার অনুভূতি কখন কার দ্বারা আহত হয়। তাই এই আইনের কার্যকারীতা আরো কমানোর উদ্যোগ নেয়া দরকার। বাস্তবিক মত প্রকাশ খর্ব হয় এমন আইনই থাকা উচিৎ নয় কোন সভ্য দেশে।
পশ্চাৎপদ, ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ও স্বৈরশান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো চায় মানুষের যাতে চোখ না ফোটে, তারা যেন আজীবন অন্ধ থাকে। মানুষ যাতে সচেতন না হয়, বিজ্ঞানমনস্ক না হয়- সেদিকে তাদের প্রখর দৃষ্টি থাকে। ধর্ম বিশ্বাস হল পুরাতন ও বিজ্ঞানবিরোধী জীবনবিধান। এই বিধান তাদের রাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন করতে বাঁধা দেয়, নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য যে রাষ্ট্র দায়ী নয়, সেটাও তাদের জানিয়ে দেয়। এই ভাবাদর্শ স্বৈরশাসক ও ত্রুটিপূর্ণ বা অগণতান্ত্রিক পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রের নেতাদের জন্য খুবই দরকারি। আফগানিস্তান, নাইজেরিয়াসহ অনেক দেশে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও জনগণ তা নিয়ে ভাবে না। তারা রাজার বিরুদ্ধে কখনোই প্রশ্ন তুলতে চায় না। ফলে তা দুই গোষ্ঠীর জন্য পরিপূরক হয়ে উঠে। ফলে ব্লাসফেমি আইনটি দুদিক দিয়েই ক্ষমতাসীনরা কাজে লাগায়।
মানুষ সাধারণত প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও ধ্যান-ধারণায় অভ্যস্থ থাকে। ফলে অধিকাংশ মানুষই বলতে চায় এগুলোই মঙ্গলজনক। ভারতে সংঘটিত এক কিশোরীকে তারই পরিবারের সদস্যরা শুধু জিন্স পরার কারণে পিটিয়ে হত্যা করল। এই মনোভাব দরিদ্র দেশগুলো জুড়েই। যদি তাদের আরেকটু প্রাচীনতার দিকে হটিয়ে দেয়া যায় তবুও অধিকাংশ মানুষ আরো খুশি হয়ে উঠে। বিজেপির শাসনে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রসরতা থেমে গিয়েছে। তারা একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকেও সমস্যায় ফেলেছে কিন্তু তাদের একক জনপ্রিয়তা একটি শ্রেণির কাছে থেকেই যাচ্ছে। এই শ্রেণিটাও পশ্চাৎপদ এবং দেবদেবীর আরাধনা করে সবকিছু হারতেও প্রস্তুত। তারা ভেবে নেয় দেবদেবীর আরাধনাই তাদের মুক্তি দিবে এবং দেবদেবীই তাদের সকল সংকট থেকে মুক্তি দিবে। তারা ভাবে- এখনকার এই সমস্যার কারণ রাজা নয়, কারণ দেবদেবী তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট। মুসলিমরা যেমন এসময় ভেবে নেয় আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করছে।
নতুন চিন্তা ও আবিষ্কার-উদ্ভাবনে সব মানুষ নিযুক্ত থাকে না- খুব সামান্য মানুষই এটা করে। বাকি মানুষ- অজ্ঞান ও অজ্ঞতাকে, কল্পনা ও বিশ্বাসকে লালন করে। আজকের জ্ঞান আর অতীতের জ্ঞান এক নয়। পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বও একসময় জ্ঞান ছিল- আজ তা হাস্যকর ভাবনা। কিন্তু পৃথিবীকেন্দ্রিক এই ভাবনা আবার সমতল পৃথিবীর ভাবনা থেকে উন্নত ছিল। আজ পৃথিবী মহাবিশ্বের অতি নগণ্য অংশ মাত্র। এক জ্ঞান স্বীকৃত হতে হতে নতুন জ্ঞান এসেছে কিন্তু রাজারা ও সাধারণ মানুষ সবসময়ই নতুন জ্ঞান গ্রহণে থেকেছে অনিচ্ছুক। আজ উন্নত দেশের ন্যায়-নীতি বোধ আর বাংলাদেশের কাঠমোল্লাদের ন্যায়-নীতি বোধ এক নয়। এরা ঘরে বউ পেটানোকে ন্যায় বলে আর ছেলে-মেয়ের একসাথে মেলামেশাকে নীতিহীন বলে। বিপরীতে উন্নত দেশে লীভ টুগেদারকে ন্যায় বলে আর জোর করে পিতার পছন্দের পাত্রের কাছে মেয়ের বিয়ে দেয়াকে নীতিহীন বলে। অর্থাৎ ন্যায়-নীতির ধারণাও পাশ্চাত্যের দেশে উন্নত। কিন্তু এসব ধারণা আমাদের দেশে মেনে নেয় না। আমেরিকাতে আইন করেই স্কুলে বিজ্ঞানবিরোধী শিক্ষা দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশে ধর্ম পড়া বাধ্যতামূলক। ফ্রান্সে সম্প্রতি ঘরেও শিশুদের ধর্মশিক্ষা দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারো ইচ্ছা থাকলে বড় হয়ে পড়বে।
আমাদের পুরোহিত/ইমাম, সমাজপতি ও শাসকদের মধ্যে একটি সমন্বয় রয়েছে। পুরোহিত/ইমামরা সমাজপতির অর্থে জীবিকা নির্বাহ করে। একারণে পুরোহিত/ইমামরা সমাজপতিদের প্রতি অনুগত থাকে। এরা দুই পক্ষই সমাজ প্রগতির বিরোধী। তাই শাসক চাইলেও এদের বিরুদ্ধে যেতে পারে না- আবার চায়ও না। ইমাম/পুরোহিতরা ধর্মগ্রন্থকেই জ্ঞানের একমাত্র আধার রূপে বিবেচনা করে ও প্রচার দেয়। এর বাইরের সবই তাগুদি জ্ঞান বলে পরিত্যাজ্য- তবে এদেরও ফ্যান-এসি-বিদ্যাৎ ছাড়া চলে না। ওইটুকুর ব্যাখ্যাও দেন যে- ওইগুলো ঐসব গ্রন্থ থেকেই আবিষ্কৃত হয়েছে। শাস্ত্রবিরোধী জ্ঞান তারা নিষিদ্ধ করতে চায়। নতুন জ্ঞান কখনোই শাস্ত্রসম্মত ও লোকাচার-দেশাচার সম্মত হয় না। নতুন জ্ঞানের সাথে শাস্ত্র সবসময়ই সাংঘর্ষিক। ফলে শাস্ত্র বিরোধী নতুন জ্ঞান হয়ে উঠে অমার্জনীয় অপরাধ। এসব শাস্ত্রবিরোধী কথা রুখতে তাদের দরকার হয় ব্লাসফেমি আইন। এমন আইন থকেলে মানুষ উন্নত ও নতুন চিন্তা করা বাদ দিয়ে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে রাখবে। মানুষ অনুগত থাকবে। সমাজপতি-পুরোহিত/মোল্লা-শাসকদের বিরদ্ধে কথা বলতে শিখবে না। তসলিমা নাসরিন আমাদের জন্য নতুন কথা বলতে চেয়েছিলেন বলেই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছে, হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে হত্যা-দেশছাড়া করার চেয়ে সহজ হয় ব্লাসফেমি আইনের আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারলে। অল্প কয়েকটি জ্ঞানের বিরুদ্ধে শাস্তি দিতে পারলেই মানুষ নতুন জ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে পুরাতন অন্ধ অজ্ঞানে আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে। গুটি কয়েক জ্ঞানী মানুষ কথা না বললে সমাজ আর এগুতে পারবে না। অন্য মানুষও নতুন জ্ঞানের সন্ধান পাবে না। এজন্যই দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ দেশে ব্লাসফেমি আইন জরুরী হয়।
আপনার মতামত জানানঃ