‘মিন্নি আগাগোড়াই ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আদালতের রায়েও সে মুক্তি পায়নি। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হবে। আশা করি, উচ্চ আদালত থেকে মিন্নি খালাস পাবে। আমি আবারও বলছি, মিন্নি নিরপরাধ।’
বরগুনায় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাঁসির রায়ের পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবী জেড আই খান পান্না এসব কথা বলেছেন। তিনি হাইকোর্টে মিন্নির জামিনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছিলেন।সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী গতকাল কালের কণ্ঠকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে মিন্নিকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি কিভাবে নেওয়া হয়েছে তা তো আগেই আদালতে দাঁড়িয়ে মিন্নি বলে দিয়েছেন। তাঁকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আগে থেকে লিখে আনা কাগজে তাঁর স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট পান্না বলেন, ‘রিফাত নিহত হওয়ার পর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলো যে মাদক নিয়ে নয়ন বন্ডের সঙ্গে রিফাতের বিরোধ ছিল। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এই খুনের ঘটনা। আমার কাছে ভিডিও ক্লিপ আছে যেখানে দেখা যায়, নয়ন বন্ড ও রিফাত মাদকের কারণে একসঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিল। অথচ এ মামলায় মাদক ও মাদকের গডফাদারদের আড়াল করা হয়েছে।এই আইনজীবী বলেন, ‘মিন্নিকে থানায় বা জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাকে পুলিশ লাইনসে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। আরেকটি বিষয়, মিন্নির জবানবন্দির আগেই এসপি বলে দিলেন যে মিন্নি হত্যার কথা স্বীকার করেছে। একজন এসপি এটা কিভাবে বলেন? এ কারণেই আমি বলছি, মিন্নি আগাগোড়া ষড়যন্ত্রের শিকার। এ জন্য রায়ের আগে ফোন করে মিন্নি ও তার বাবাকে বলেছি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে। এ ধরনের একটা রায় আসতে পারে।’
আপনার মতামত জানানঃ