নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ছাত্রনেতা সালেকিন রিমনের বিরুদ্ধে স্পেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইসমাইল হোসাইন রায়হানের মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে বসুরহাট পৌরসভা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন স্বপন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।মামলায় উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার মিয়ার ছেলে সালেকিন রিমনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল সালেকিন রিমন ফেসবুক লাইভে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেন। তার দেওয়া মিথ্যা তথ্য অনুযায়ী হামিদুর রহমান শান্ত নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয় ‘ইয়াবাখোর আকা মির্জা একজন সমকামী ছিলেন। বসুরহাটের রায়হানকে তিনি অজস্র বার বলাৎকার করেছেন বলেছেন সালেকিন রিমন’।
এরপর ৭ এপ্রিল জাকের হোসাইন নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন তথ্য প্রচার করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, স্পেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইসমাইল হোসাইন রায়হানের মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিগত ৫ মাস যাবত দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। এর জের ধরে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। এখনও অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা পাল্টা মামলায় অনেক নেতাকর্মী এখনো কারাগারে আছেন।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, সংবিধানে নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে। যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।
সবার মধ্যে একটা ভীতি যে এইটা বললে কী হবে! এবং আমরাও বলি যে এতকিছু বলো না তোমার বিপদ হবে। এটা স্বাধীন দেশে আমরা কেন করবো? এটা কিন্তু বেশ স্বার্থকভাবে সরকার করে ফেলেছে। সেল্ফ সেন্সরশিপ একটা ভীতি প্রদর্শন, ভীতি মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা— এটা আমাদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। যে অধিকার আইন করেও খর্ব করা যায় না। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আইনটি নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তির ওপর দেশে ও বিদেশে আরো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৯৪৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ