নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ও বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদ উল্যাহ হামিদ। গত শনিবার তিনি বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, জেলা পরিষদ সদস্য আক্রাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসিব আহসান আলাল, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়েদল হক কচি, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ফেসবুক লাইভে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর সামনে ঘোষণা করেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই মারধরসহ প্রতিরোধ করা হবে। এতে বাদির নেতা কাদের মির্জার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন ও তার অনুসারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।’
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, সংবিধানে নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে। যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।
“সবার মধ্যে একটা ভীতি যে এইটা বললে কী হবে! এবং আমরাও বলি যে এতকিছু বলো না তোমার বিপদ হবে। এটা স্বাধীন দেশে আমরা কেন করবো? এটা কিন্তু বেশ স্বার্থকভাবে সরকার করে ফেলেছে। সেল্ফ সেন্সরশিপ একটা ভীতি প্রদর্শন, ভীতি মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া।”
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা— এটা আমাদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আইনটি নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তির ওপর দেশে ও বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৫৩৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ