মানুষের আয়ু ১০০ বছর পার করা আজও খুব বিরল ঘটনা। এর কারণ, মানুষের শরীরের কোষে পরিবর্তন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে।
তবে বার্মিংহামের গবেষকরা বলছেন, প্রত্যেক মানুষের আয়ু কম পক্ষে ২০০ বছর হতেই পারত। হয়নি, তার কারণ এই পৃথিবীতে এক সময়ে ঘুরে বেড়াত ডাইনোসররা!
পরিসংখ্যান বলছে, স্থলচর স্তন্যপায়ীদের মধ্যে মানুষের আয়ুই সবচেয়ে বেশি। আর সারা পৃথিবীর মধ্যে বিচার করলে তিমিমাছের পরেই আসবে মানুষের নাম। কুকুর-বিড়ালের মতো স্তন্যপায়ীরা মানুষের চেয়ে অনেক কম দিন বাঁচে। কিন্তু তারপরেও মানুষের তুলনায় একটি জায়গায় এগিয়ে থাকে তারা। সেটি হল কোষের ধ্বংস হওয়ার হার।
বিষয়টি অনেকটা এই রকম যে, ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি ৮ বছরে মানুষের মৃত্যু হার দ্বিগুণ হতে থাকে। এর সবচেয়ে বড় কারণ কোষের ধ্বংসের হার বেড়ে যাওয়া। অন্য প্রাণীর মধ্যে এর হার তুলনায় কম।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ আয়ু অনেকটাই বাড়াতে পেরেছে। কিন্তু তার পরেও ১০০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরে মানুষের মৃত্যুর হার এতটাই বেড়ে যায়, যে কোনও দিনই মৃত্যু তখন অথি স্বাভাবিক একটি ঘটনা। কিন্তু এটিই হতে পারত ২০০ বছর। হয়নি ডাইনোসরদের কারণে। সেটিই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কী বলেছেন তারা?
নতুন গবেষণা বলছে, এক সময়ে পৃথিবীতে ডাইনোসরদের পাশাপাশি চড়ে বেড়াত মানুষের পূর্বসূরিরা। তাদের চেহারা অবশ্য বর্তমান মানুষের মতো ছিল না। বরং তাদের চেহারা অনেকটাই ছিল ইঁদুরের মতো। ডাইনোসররা ছিল সরীসৃপ। তারাই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাপের প্রাণী।
ফলে বাকি সব প্রাণী তাদের থেকে পালিয়ে বাঁচেত চাইতো। আর সেই তালিকায় ছিল খুদে আকৃতির এই পূর্বপুরুষেরাও। ফলে তারা হয়ে ওঠে নিশাচর এবং দ্রুত হারে বংশবৃদ্ধিকারী। ঠিক যেমন এখনকার ইঁদুর। ডাইনোসরদের চোখ এড়িয়ে এরা রাতে খাবার খুঁজত। ব্যাপক হারে সন্তান উৎপাদন করত টিকে থাকার জন্য। আর এই ব্যাপক হারে সন্তান উৎপাদনের কারণেই তাদের আয়ু ছিল সীমিত।
বর্তমান মানুষ পূর্বসূরিদের সেই সব বৈশিষ্ট্য আজও বহন করে চলেছে। আর সেই কারণেই মানুষের আয়ু শত চেষ্টাতেও ২০০ বছরে পৌঁছাতে পারেনি বলেই জানিয়েছে নতুন এই গবেষণা।
আপনার মতামত জানানঃ