মুজিব রহমান
আদম ও হাওয়ার গন্ধম খাওয়া নিয়ে তাদের কথোপকথন এর কথা বলছিলাম ধর্ম পড়াতে গিয়ে। ছাত্রী বলল, ‘স্যার গতকাল আপনি সমাজ পড়াতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আদিম মানুষ কথা বলতে পারতো না’, আজ ধর্ম পড়াতে গিয়ে বলছেন, ‘আদম হাওয়া কথা বলছে’। আমি শুধু বলেছিলাম, ধর্ম পড়ার সময় বিশ্বাস নিয়ে পড়বে আর বিজ্ঞান পড়ার সময় যুক্তি-প্রমাণসহ পড়বে।
বাংলায় বিশ্বাস ও বিজ্ঞান শব্দদুটির মধ্যে অনেক মিল। দুটোই বি দিয়ে শুরু এর পর একটি যুক্তাক্ষর সাথে ‘আ’ কার এবং শেষে একটি অক্ষর। অথচ এরা বিপরীত মেরুর। নিউটন ও আইনস্টাইনের কোন সূত্রে বিশ্বাস স্থাপন করার সুযোগ নেই। প্রমাণ ছাড়া সূত্র টিকবে না। যখনই ভুল প্রমাণ হবে সাথে সাথেই বাতিল। অনেকেই ধর্মগ্রন্থের সাথে বিজ্ঞান মিলাচ্ছেন। অনেকে বলেন- বিশ্বাস ছাড়া বিজ্ঞান অন্ধ! তারা না জেনে, না বুঝেই মিলাচ্ছেন, এমনটা বলছেন। ধর্মগুলো সবই বিশ্বাস নির্ভর যা বারবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সবসময়ই সত্য অনুসন্ধান করে। হাজার হাজার পার্থক্যের মধ্যে একডজন পার্থক্য তুলে ধরছি-
১.
বিজ্ঞানে বলা হয়েছে, পৃথিবী গোলাকার। চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে আর পৃথিবী-চন্দ্র মিলে সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয়। মহাবিশ্বে কোটি কোটি গ্রহ-নক্ষত্র রয়েছে যা সম্প্রসারণশীল। ধর্মগ্রন্থে বলা হচ্ছে, পৃথিবী সমতল। স্থলভাগের পরে রয়েছে অফুরন্ত জলরাশি। সকালে ফেরেস্তারা/দেবতারা সূর্যকে টেনে পূর্ব দিগন্ত থেকে পশ্চিমে টেনে নিয়ে যায়। কর্দমাক্ত জলাশয়ে অস্ত যায়। রাতে সূর্য স্রষ্টার আরাধনা করে ও অনুমতি নিয়ে সকালে উদিত হয়। চন্দ্র ও সূর্যের জন্য নির্দিষ্ট পথ করা হয়েছে যাতে একটি আরেকটিকে অতিক্রম করতে না পারে। তারকামণ্ডলী সৃষ্টি করা হয়েছে আকাশের সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য। আবার একেক ধর্মগ্রন্থে একেক রকম ভুল তথ্য দেয়া। কোন কোন ধর্মগ্রন্থে চন্দ্রকেও নক্ষত্র বলা হয়েছে। সূর্যের আলোতে যে চন্দ্র আলোকিত তা কোন ধর্মগ্রন্থই বলতে পারেনি।
২.
বিজ্ঞানে এখন বলা হয়েছে, সাড়ে চারশ কোটি বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে। ‘বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান মানুষের প্রজাতি তিন লক্ষ বছর আগে এসেছে। বর্তমানের সকল প্রাণিই এসেছে বিবর্তনের মাধ্যমে। পৃথিবীতে প্রাণের যাত্রার সূচনা পৃথিবী সৃষ্টির ১০০ কোটি বছর পরে। সেই হিসেবে আজকের মানুষ হতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি বছর। বাইবেল বিশ্লেষণ করে, পাদ্রিরা বলছেন, যিশুর ৪ হাজার বছর আগে ঈশ্বর এডাম ও ইভকে তৈরি করেছেন। অন্য ধর্মে বিভিন্ন নবী ও ধর্মপ্রচারকদের আয়ুষ্কাল বিশ্লেষণ করে কাছাকাছি পৌঁছানো গেলেও হিসাব মেলানো যায় না। ছয় দিনে মহাবিশ্ব, পৃথিবী, গাছ-পালা, পশু-পাখি ও মানুষ সৃষ্টি হয়েছে।
৩.
বিজ্ঞানে বলা হয়েছে, মানুষ কোষ দ্বারা তৈরি। কোষগুলো বিভিন্ন অনু-পরমানু দিয়েই গঠিত। কোষের সম্মিলিত শক্তিই তাকে চালিত করে। শরীরে আত্মা, রুহু বলতে কিছু নেই। ধর্মগ্রন্থগুলো বলছে, ‘ঈশ্বর আত্মা বা রুহু সৃষ্টি করে তা মাটি দিয়ে তৈরি মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন। আত্মা বা রুহু অবিনশ্বর। মৃত্যু মানে শরীর থেকে রুহু বা আত্মা বের হয়ে যাওয়া। শরীর মাটি দিয়ে তৈরি বিধায় তা মাটির সাথে মিশে যায়’। অপ্রমাণিত আত্মাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে এমন কোন নজিরও কখনো বিজ্ঞান দেখে নি।
৪.
অনেক ধর্মগ্রন্থেই বলা হয়েছে- মাটির নিচে পাতাল রয়েছে। সেখানে নরক রয়েছে বা দানবরা বসবাস করে। দূরের পাহাড়ে বা আকাশে স্বর্গ রয়েছে। কোন স্থাপনার ঠিক উপরে রয়েছে স্রষ্টার ঘর। স্রষ্টা ফেরেস্তা/দেবতাদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করান’। মুফতি কাজী ইব্রাহিম দাবি করেছেন, ‘মাটির নিচে আরো সাতটি পৃথিবী রয়েছে ও সাতটি সূর্য রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে. ‘মাটির নিচে গলিত লাভা রয়েছে। সেখানে নরক বা দানব বলে কিছু নেই। পাহাড়ে আর কোন দেবতার অস্তিত্ব নাই কারণ সব পাহাড়ই মানুষ তন্ন তন্ন করে দেখেছে। পাহাড়ে দেবতা থাকার কোন সুযোগও নেই। পৃথিবী ঘুরছে বলে, ঠিক উপরে স্থির হয়ে কিছু থাকে না। প্রতি সেকেন্ডেই আমাদের আকাশ বদলে যাচ্ছে। সেখানে সাত আকাশ থাকারও সুযোগ নেই। পৃথিবীতে কোন অলৌকিক কোন ঘটনা ঘটে না। যা ঘটে সবই পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বিদ্যা বা গণিতের সূত্র মেনে ঘটে। কোন অলৌকিক স্বত্ত্বার কোন কাজই কখনোই দৃশ্যমান ছিল না, এখনো নেই। তাদের অস্তিত্বেরও কোন প্রমাণ কখনো ছিল না।
৫.
ধর্মগ্রন্থে বলা হয় বীর্য উৎপন্ন হয় বক্ষ ও মেরুদণ্ডের মাঝখান থেকে। বিজ্ঞান প্রমাণ করছে বীর্য উৎপন্ন হয় অন্ডকোষ থেকে। ধর্মগ্রন্থ বলছে, ‘সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে জানা যাবে না। কিন্তু বিজ্ঞান আল্টাসনোগ্রাম করে জানিয়ে দিচ্ছে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। ধর্মগ্রন্থে বলা হয়, ‘স্রষ্টার নির্দেশ অমান্য করায় নারীদের প্রসব বেদনা, রজস্রব ইত্যাদি শাস্তি দিয়েছেন’। অথচ মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণির প্রসব বেদনা রয়েছে। কারো কারো রজস্রবও হয়। ধর্ম বলছে প্রথম মানব-মানবী কথা বলতে পারতো। বিজ্ঞান বলছে, আদিম মানুষ কথা বলতে পারতো না। বিজ্ঞানের এসব দাবি প্রমাণিত কিন্তু ধর্ম তাদের কোন দাবিই প্রমাণ করতে পারেনি।
৬.
ধর্মগ্রন্থ বলছে, পৃথিবী একটা নিদৃষ্ট সময়ে ধ্বংস হবে। কিন্তু বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে সকাল ১০ টা সারা বিশ্বে একসময় হয় না। সামান্য জায়গাতেই সকাল দশটা একই সময়ে হয়। আবার পুরো ভারতের সময় একই হলেও ত্রিপুরাতে বাস্তবিক যখন মধ্যাহ্ন তখন দিল্লীতে ঠিক মধ্যাহ্ন তখনো আসে না। আবার মেরুতে ছয় মাস দিন ও ছয় মাস রাত। সেখানে মধ্যাহ্ন আসতে লাগে ছয় মাস!
৭.
ধর্মমতে, স্রষ্টা সকল প্রাণির জন্ম ও মৃত্যু নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পৃথিবীতে এমন বেশ কয়েকটি প্রাণি রয়েছে যাদের কোন মৃত্যু নেই। কই মাছ কেটে চুলায় দিলেও লাফায় আবার টিকটিকির লেজ খসে গেলেও লাফায়। বিজ্ঞান বলে, কোষগুলোর মৃত্যু না ঘটা পর্যন্ত তারা নড়াচড়া করে। এখন একজনের অঙ্গ আরেকজনের শরীরে বিজ্ঞান লাগিয়ে দিচ্ছে। ওই অঙ্গের প্রাণ কোথা থেকে আসলো? ধর্মগ্রন্থে বলা হয়, সকল প্রাণিই মানুষের কল্যাণে তৈরি করা হয়েছে। আমরা এখন অসংখ্য ক্ষতিকারণ প্রাণ দেখি। করোনাভাইরাসের উপকারীতা কি?
৮.
ডাইনোসর, ম্যামথসহ প্রাচীন বহু প্রাণির কথা ধর্মগ্রন্থ বলতে পারেনি। এগুলো বিজ্ঞানই আবিষ্কার করেছে। হরপ্পা-মহেনজোদারোসহ বিভিন্ন সভ্যতার কথাও ধর্ম বলতে পারেনি। এগুলো মাটি খুড়ে বিজ্ঞানীরাই আবিষ্কার করেছে। আবার ধর্মগ্রন্থ পৃথিবীতে লুকিয়ে থাকা এমন কিছু দানবের কথা বলেছেন যার অস্তিত্বও নাই বলেই বিজ্ঞান দেখেছে।
৯.
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নারী, দাসী, নিম্নবর্ণের মানুষ সম্পর্কে খুবই নেতিবাচক কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে মানুষের মধ্যে এমন কোন ভেদাভেদ নেই। স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করা, দাসীদের সম্ভোগ করার কথাও কোন কোন ধর্মগ্রন্থে রয়েছে। জোর করে সহবাস/সম্ভোগকে বিজ্ঞান ক্ষতিকর বলে মনে করে। আবার ধর্মগ্রন্থ সমেহনকে খুবই ক্ষতিকর হিসেবে বর্ণনা করে মহাপাপ বলে ঘোষণা করে কিন্তু বিজ্ঞান এটাতে তেমন ক্ষতিকর মনে করে না।
১০.
ধর্মগ্রন্থ দাবি করে স্রষ্টাই সবকিছু সৃষ্টি করে। কিন্তু বিজ্ঞান ক্লোন এর মাধ্যমে এখনই বিভিন্ন প্রাণি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। টেস্টটিউব বেবি এখন পুরাতন পদ্ধতি। অনেক নারীও যৌবনে ডিম্বানু সংরক্ষণ করছেন এবং সময় সুযোগে তারা সেই যৌবনকালের সতেজ ডিম্বাণু নিয়ে গর্ভধারণ করছেন। কোন দম্পত্তি তাদের সন্তান আরেকজনের গর্ভ ভাড়া নিয়েও জন্ম দিতে পারেন এখন। কার সন্তান আর কে জন্ম দেয়? জীবাণু অস্ত্র নিয়েও অনেক হইচই হচ্ছে, সেই জীবাণুর স্রষ্টাই বা কে? বিজ্ঞানীরা না স্রষ্টা? মানুষ না হয় মাটির তৈরি ও ভিতরে আত্মা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সকল পশু ও পাখির জীবনও মানুষের মতোই। বিজ্ঞান বলছে, ‘একই ধরনের কোষ দিয়েই সকল পশু ও পাখি গঠিত।
১১.
বিভিন্ন ধর্ম বিভিন্ন রকমের পশু খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। কেউ শূকর খায় না, কেউ গরু খায় না, কেউ কচ্ছপ খায় না ইত্যাদি। কিন’ বিজ্ঞান বলছে এসব মাংশের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। শরীরের জন্য পরিমিত খেলে কোনটাই ক্ষতিকর নয় আবার অপরিমিত খেলে সবটাই ক্ষতিকর। বিভিন্ন ধর্মগ্রনে’ বিভিন্ন রকমের প্রাণির সংখ্যা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখাচ্ছে সেই সব সংখ্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি প্রাণি পৃথিবীতে রয়েছে। আবার ধর্মগ্রন্থে এমন অনেক প্রাণির কথা বলা হয়েছে যার কোন অস্তিত্বই পৃথিবীতে নেই ও ছিল না। গরুড় পাখি, সাতমাথাওয়ালা সাপের অস্তিত্ব বিজ্ঞান পায়নি।
১২.
বৃষ্টিপাত নিয়ে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে বিভিন্ন রকম কথা রয়েছে। ধর্মমতে স্রষ্টার নির্দেশে অলৌকিক শক্তি ফেরেস্তা/দেবতা বৃষ্টি নামায়। ঝড়-বৃষ্টির দায়িত্ব বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন জনের কাছে ন্যাস্ত করা। চীনের অলিম্পিকে দেখলাম বিজ্ঞানীরা এমন কৌশল করলো যে, আশে পাশে বৃষ্টি হলেও মাঠে বৃষ্টি হচ্ছে না। অর্থাৎ বৃষ্টিকে বিজ্ঞানীরাই নিয়ন্ত্রণ করেছে। আবার সম্প্রতি আরব আমিরাত কৃত্রিমভাবে তুমুল বৃষ্টি নামিয়ে আলোড়ন তুলেছে।
যার ধর্ম তার তার কাছে, বিশ্বাসও যার যার তার তার। অসুবিধা কি? চলুক। কিন্তু দুটোকেই এক করতে গেলে কিছু সমস্যা তৈরি হবে। যারা লেখাপড়া শিখে একটু সচেতন হবেন, যারা বিজ্ঞান বুঝবেন তাদেরকে যখন বলবেন ধর্মগ্রন্থ থেকেই বিজ্ঞান গ্রন্থের উৎপত্তি হয়েছে আর বিশ্বাসই বিজ্ঞান তখন সে লোক কিন্তু ঠিকই বুঝে ফেলবে। আপনার সম্পর্কে ঠিক ধারণা পোষণ করবে।
বিজ্ঞান ও বিশ্বাসের মধ্যে কি কোন সম্পর্ক রয়েছে? বাস্তবিক কোন সম্পর্ক থাকার সুযোগ নেই। দুটি দুই মেরুর। একটির বিপরীতে আরেকটি। বিজ্ঞান সত্য ও যুক্তিনিষ্ঠ আর বিশ্বাস অলৌকিকতা ও বিশ্বাস নির্ভর। একজন যুক্তিবাদী মুক্তচিন্তার বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ বিশ্বাস নির্ভর হয় না। তাহলে মানুষ কেন বিজ্ঞানমনষ্ক হয় না? জন্মের পরেই মানুষ মুক্ত না হয়ে পারিবারিক ফাঁদে পড়ে যায়। যে পরিবারে যার জন্ম সে ওই পরিবারের ভাবাদর্শেই বড় হয়। সাধারণত একজন হিন্দুর সন্তানরা ধারাবাহিকভাবেই হিন্দু থাকে, মুসলিমের সন্তানরা ধারাবাহিকভাবে মুসলিম থাকে। পরিবার থেকে তারা শিখে- এগুলোই সত্য, সঠিক এবং এগুলো অবিশ্বাস করা মহাপাপ। পরিবার থেকে বেরিয়ে সে একই ধরনের সমাজে মিশে। সেই সমাজেও সে একই শিক্ষা পায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার পরিবার ও সমাজ থেকে অর্জিত অন্ধবিশ্বাসকেই লালন করতে শেখায়। দরিদ্র দেশের মানুষ বের হতে পারে না, তারা মুক্তচিন্তা করতে শিখে না।
বিজ্ঞান থেকে আমরা কি শিখি? অজানাকে জানা ও রহস্যকে উন্মুচন করা। বিশ্বাস থেকে আমরা শিখি উল্টোটা অর্থাৎ অজানাকে রহস্য দিয়ে ঢেকে রাখা আর রহস্যকে অলৌকিকতা দান করা। বিজ্ঞানের সাথে বিশ্বাসের বিরোধ এমনই। একটিতে আসক্তি আসলে অন্যটি দূরে চলে যাবে, একটি বুঁদ হয়ে থাকলে অন্যটি হারিয়ে যাবে। যুক্তিবোধ প্রাধান্য পেলে বিশ্বাস হালকা হয়ে যাবে। আবার বিশ্বাসবোধ প্রাধান্য পেলে যুক্তিবোধও হালকা হয়ে যাবে। দুটো একসাথে বাস করে না।
আপনার মতামত জানানঃ