ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে নারী প্রতিকৃতির মাথায় ‘হিজাব’ পরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এ কাজ করেছে সেটা জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিতর্ক সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে যারা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে আজই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে কয়েকজন যুবক মাস্ক পরে মোটরবাইকে এসে এই হিজাব পরিয়ে দ্রুত চলে যায়। এরপর রাত দেড়টার দিকে হিজাব বা কাপড়টি সরিয়ে ফেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও তারিকুল ইসলামসহ কয়েকজন।
তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। রাজু ভাস্কর্যে কালো কাপড় পরিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে সেই কালো কাপড় সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এগুলো মূলত বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে বিভাজিত করার কর্মযজ্ঞ। দেড় হাজার শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানকে আমরা কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দিতে পারি না। ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলোর চক্রান্তকে রুখে দেয়ার দায়িত্ব আপনার, আমার, সবার। তাই সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।’
ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমাদের টিম সেখানে গিয়েছে। কারা এই কাজ করেছে, সেটা জানার জন্য অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছে তারা। জড়িতদের বের করার জন্য আমরা আজ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করব। তারা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তকরণের কাজ করবেন। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিতর্ক সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য একটা গ্রুপ এসব কাজ করছে। তাদের এই চক্রান্ত সফল হবে না।’
মন্তব্য করুন
আপনার মতামত জানানঃ