দেশে বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বাড়াতে বেসরকারিভাবে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনা করেছিল আনলিমা মেঘনাঘাট পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ২৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডে (বিডা) নিবন্ধন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এটি ছিল বিডায় ২০২১-২২ অর্থবছরে নিবন্ধিত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগের ঘোষণা। ওই ঘোষণার পর সময় পেরিয়েছে তিন বছর। এখনো ভূমি উন্নয়নসংক্রান্ত কাজ ছাড়া প্রকল্পের আর কোনো কাজ সেভাবে এগিয়ে নিতে পারেনি আনলিমা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত গ্যাসের সংস্থান না থাকা, যন্ত্রপাতি আমদানিতে ডলারের সংকট এবং বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের বিপরীতে উচ্চ সুদের কারণে প্রকল্পটি নিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’তে চলছে কোম্পানিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনলিমার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সোহাগ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক নানা সংকটের কারণে কাজের গতি এখন কম। এ অবস্থায় আমরা ভাবছি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগে গ্যাস প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি হলে তারপর যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার উদ্যোগ নেয়া হবে। এ কারণে প্রকল্পের গতি এখন ধীর।’
দেশে গত তিন অর্থবছরে (২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত) নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধনের পরিমাণ কমেছে ব্যাপক মাত্রায়। এমনকি এ সময় শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও নতুন বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি তেমন একটা আসেনি। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের ভাষ্য হলো ডলার সংকট, উচ্চ সুদহার ও বিনিয়োগ পরিবেশে বিদ্যমান অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা তাদের ঘোষিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন নতুন বিনিয়োগ নিয়েও তারা এগিয়ে আসতে পারছেন না।
বিডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যক্তি খাতের স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পে মোট ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে। এর অধিকাংশই এসেছে ২০২১-২২ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে ৮৩ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে বিনিয়োগ নিবন্ধিত হয়েছে ৩৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকার। এ অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগ কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আট মাসে বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে আগের অর্থবছরের মোট নিবন্ধিত প্রস্তাবের অর্ধেকেরও কম।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের তারল্য সংকট ও উচ্চ সুদহার বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থায়ন প্রক্রিয়াকে চাপে ফেলেছে। আবার ডলার সংকটে শিল্প খাতে মেশিনারিজ ও কাঁচামাল আমদানিতে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রারও সংস্থান করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিদেশীর মতো স্থানীয় বিনিয়োগ আকর্ষণও এখন দিন দিন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে।
বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর হলে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ী নেতারা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিনিয়োগ পরিবেশ আরো বিনিয়োগবান্ধব করতে হবে। এজন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করতে হবে। আর সুদহারের প্রতি নজর দিতে হবে।’
২০২০ সালের এপ্রিলে দেশে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করে দেয়া হয় ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের শুরুতে সর্বোচ্চ সুদের এ সীমা তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তার পর থেকে প্রতি মাসেই সুদহার বেড়েছে। এপ্রিলে এসে ঋণের সুদহার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর সুদহার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করে ফেলে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের অনেক ব্যাংকে ঋণের সুদহার এখন ১৬-১৭ শতাংশ।
এছাড়া দুর্নীতি, ঘুস ও জ্বালানি সংকটের মতো বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলোও দেশে বিনিয়োগ পরিবেশকে আরো সংকটপূর্ণ করে তুলছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘১০ বছর ধরে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ২৩-২৪ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এখন এক বছরের মধ্যে তা ২৭ শতাংশের ওপরে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। কারণ এখন সরকার ব্যাংক থেকে সব টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি-ঘুস বাড়ছে। বড় বড় প্রকল্পের অবকাঠামোয় বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এমন নেতিবাচক পরিস্থিতিতে কীভাবে বিনিয়োগ বাড়বে?’
বিডায় ২০২১-২২ অর্থবছরে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ নিবন্ধনটি ছিল বসুন্ধরা গ্রুপের। ওই ঘোষণা অনুযায়ী, বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডে গ্রুপটির ৭৫ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা। গত তিন অর্থবছরে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা। এছাড়া গ্রুপটি বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স লিমিটেডে ১২ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল। দুটি প্রকল্পে বসুন্ধরা গ্রুপের ৮৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিবন্ধিত রয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ও উৎপাদন শুরুর সম্ভাব্য সময় নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
দেশে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ১০ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল সামিট গ্রুপ। দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ সক্ষমতার এ টার্মিনালের বিনিয়োগ প্রস্তাব বিডায় নিবন্ধিত হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে। টার্মিনালটি নির্মাণ হওয়ার কথা কক্সবাজারের মহেশখালীতে। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে সামিটের চুক্তিও হয়েছে। এখনো প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ে কোনো কাজ শুরু হয়নি বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে।
ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল ল্যাবএইড গ্রুপ। এ হাসপাতাল নির্মাণে কোম্পানিটি মোট ৭৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ঢাকায় একটি ক্যান্সার হাসপাতালে ৫০০ কোটি টাকা এবং দেশের ছয়টি বিভাগে ক্যান্সার সেন্টার স্থাপনে বাকি অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল গ্রুপটির।
ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য ভবন নির্মাণে ২০০ কোটি টাকা এবং যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ১৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। হাসপাতালের জন্য আরো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন ডলার সংকট ও এলসি জটিলতায় বাকি ১২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারছে না। ব্যাংক থেকে টাকা পেতে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ঢাকার বাইরে বিভাগীয় সেন্টার স্থাপন করা যাবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে ল্যাবএইডের।
জানতে চাইলে ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য যখন বিনিয়োগ করেছি, তখন দেশে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান ছিল ৮৫ টাকা। ব্যাংকের সুদহারও ছিল এখনকার চেয়ে অনেক কম। সরকার এখন ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে বেশি। তাই ব্যাংক আমাদের অর্থ দিতে পারছে না। ক্যান্সার হাসপাতালে বাকি ১২০ কোটি টাকা বিনিয়োগে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বিভাগীয় সেন্টারগুলো হয়তো এখন করা যাবে না। কারণ থেরাপি দেয়ার জন্য একটি লিনেট মেশিন আনতে ৩০-৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্যাংক এলসি করতে পারছে না।’
বিডার আওতায় বিনিয়োগের শীর্ষ তালিকায় ২০২১-২২ অর্থবছরে তৃতীয় শীর্ষ প্রস্তাব এসেছিল ঢাকা ফ্লাই এয়ারলাইনস লিমিটেডের। তাদের বিনিয়োগ ঘোষণা ছিল ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। এছাড়া শীর্ষ তালিকার অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে উনবা পেপার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ৯ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা, বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেড ৯ হাজার ১৭৩ কোটি, হেলথ কেয়ার ফর্মুলেশন লিমিটেড ৮ হাজার ৪১৩ কোটি ও ইকরাম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ৮ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছিল। এ তালিকার আরেক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের বিনিয়োগ প্রস্তাব ছিল ১১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকার। যদিও প্রতিষ্ঠানটি এ বিনিয়োগ করতে পারেনি।
জানতে চাইলে রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল আম্বিয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি জটিলতায় মূলধনি যন্ত্রপাতি সেভাবে আমদানি করা যায়নি। ফলে সামগ্রিকভাবে বিনিয়োগের গতি শ্লথ হয়ে গেছে।’
দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলো ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এজন্য তারা ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে থাকে। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের অনেকেই এখন এসব ঋণ পরিশোধেও ব্যর্থ হচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২১ সালে দেশের বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক থেকে মেয়াদি ঋণের অর্থায়ন পেয়েছিল ৫৪ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার। আর ২০২২ সালে তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫৬ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। একইভাবে এ দুই বছরে এসব ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৪১৩ কোটি এবং ৪৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। যদিও গ্রহীতারা ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণও ঊর্ধ্বমুখী। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মোট টার্ম লোনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর নেয়া ঋণের একটি বড় অংশ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায় নেয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল জিডিপির ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ সময় আগের অর্থবছরের তুলনায় বিনিয়োগ কমেছে ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে জিডিপির ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর গত অর্থবছরের সাময়িক হিসেবে চলতি মূল্যে জিডিপির আকার ছিল ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাব বিবেচনায় নিলে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত আরো ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থের প্রয়োজন পড়বে।
যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভোগহার কমে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় চাহিদা ও বিনিয়োগপ্রবণতা সামনের দিনগুলোয় আরো কমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ভোগহার কমে গেলে বাজার চাহিদা সংকুচিত হবে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও তাদের বিনিয়োগপ্রবণতা কমিয়ে দেবেন। কারণ অভ্যন্তরীণ বাজারকে কেন্দ্র করে তারা বিনিয়োগ পরিকল্পনা করেন। আর এখন অর্থনৈতিক সংকট চলছে। গত এক দশকে সুসময়ে বিনিয়োগ তেমন বাড়েনি। এখন সংকটের সময় বিনিয়োগ বাড়ার চিন্তা করাটা অবাস্তব ব্যাপার।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ব্যবসা একদিকে কমলে অন্যদিকে বাড়ে। ফলে সার্বিকভাবে ভারসাম্য রক্ষা হয়ে যায়। অর্থনীতি এখন ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে অর্থ ও পণ্যের অভাব নেই। ব্যবসায়ীরাও বলছেন বাজেট ভালো হয়েছে। আর গ্রামেও এখন নানা খাতে অনেক বিনিয়োগ হচ্ছে।’
আপনার মতামত জানানঃ