মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল করেছে সেদেশের লিহাই বিশ্ববিদ্যালয়। ৩০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণও দিয়েছিলেন।
মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের ব্যাপক হামলা ও হতাহতের ঘটনার পর ট্রাম্প নিজ দেশে ক্রমেই আরও একঘরে হয়ে পড়ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিও কেড়ে নেওয়া হলো।
লিহাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিগ্রিটি বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি তারা।
ক্যাপিটল হিলে সাম্প্রতিক হামলায় পুলিশসহ অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে। হামলায় উসকানি দেওয়ার কারণে তাকে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া অভিশংসন করার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাট নেতারা।
এর আগে টুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। ট্রাম্প কিছু একটা হলেই সঙ্গে সঙ্গে টুইট করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সমালোচকরা বলছেন, টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ায় নিশ্চয় খুব খারাপ সময় যাচ্ছে ট্রাম্পের!
এরইমধ্যে তার নিজ দলের অনেক নেতা ট্রাম্পের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং অভিশংসন বা ইমপিচমেন্টের পক্ষে মত দিয়েছেন। তার কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্রের কোড কেড়ে নেয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে।
সাধারণ নিয়মে আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু পাগলামির কারণে এর আগেই তার অপসারণ চাচ্ছেন বেশিরভাগ মার্কিন নাগরিক। সুত্র : পার্স টুডে
আপনার মতামত জানানঃ