দানাদার খাদ্যের মধ্যে চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণ সর্বাধিক স্তরে পৌঁছেছে। এরপর আয় বৃদ্ধি পেলেও চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার বাড়বে না। বলা যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এশিয়ার অন্যান্য দেশের অনুরূপ বাংলাদেশেও মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের প্রবণতা কমতে থাকবে।
দেশের মানুষ দানাদার খাদ্য থেকে সিংহভাগ ক্যালরি গ্রহণ করে। তবে মোট ক্যালরি গ্রহণের হার এখন বেশ কমেছে। আগামীতে সেটি আরও কমবে। সে সময় ক্যালরি গ্রহণের জন্য চাল গ্রহণের মাত্রা কমে যাবে। তবে বাড়বে গম, ভুট্টা এবং প্রাণিজ খাবার গ্রহণের মাত্রা।
ধান, গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও যোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার(২২ আগস্ট) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিএআরসির তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা করা হয়।
ক্যালরি গ্রহণের জন্য চাল গ্রহণের মাত্রা কমে যাবে। তবে বাড়বে গম, ভুট্টা এবং প্রাণিজ খাবার গ্রহণের মাত্রা।
এতে বলা হয়, ১৯৯০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালরি গ্রহণের হার ছিল ৮৯.৬ শতাংশ। যা ২০১০ সালে হ্রাস পেয়ে ৮৩.০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে এসে ৮০.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালরি গ্রহণের হার আরও হ্রাস পাবে। যা ওই সময় যথাক্রমে ৭৯.৬ শতাংশ এবং ৭৭.৫ শতাংশ হবে।
গবেষণায় বলা হয়, ১৯৯০ সালে শুধু চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ছিল ৮০.৪ শতাংশ। যা ২০২১ সালে হ্রাস পেয়ে ৭০.৫ শতাংশ হয়েছে এবং আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে হবে যথাক্রমে ৭২.৬ শতাংশ এবং ৭০.৪ শতাংশ।
তবে এও বলা হচ্ছে, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল সময়কালে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের ধারা ক্রমহ্রাসমান নির্দেশ করলেও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরবর্তী সময়, বিশেষ করে ২০৫০ সাল পর্যন্ত চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার স্থির হবে।
চালে কমলেও এ সময় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কারণে গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ক্রমান্বয়ে বাড়বে। গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ২০১০ সালে ছিল ৬.৬ শতাংশ, ২০৩০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬.৭ শতাংশ। যা অব্যাহত থেকে ২০৫০ সালে ৬.৮ শতাংশে পৌঁছাবে।
অনুরূপভাবে বাড়বে ভুট্টা থেকে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও। ২০১০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ভুট্টা থেকে ক্যালরি গ্রহণ দৈনিক মাথাপিছু ৬.০ ক্যালোরি থেকে ৬.৫ ক্যালরিতে বৃদ্ধি পাবে এবং তারপর স্থিতিশীল হবে।
১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের তথ্য থেকে সুস্পষ্ট যে, আলু, শাকসবজি এবং প্রাণিজ খাবার থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার দিন দিন বেড়েছে। আগামী ২০৩০ ও ২০৫০ সালের প্রক্ষেপণেও এগুলো থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার বৃদ্ধির প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৮১৩
আপনার মতামত জানানঃ