পৃথিবীতে কতই না অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, কিছু খবর প্রকাশ্যে আসে, কিছু আড়ালেই থেকে যায়। তবে পাকিস্তানে এমন একটি আলোচিত ঘটনা ঘটেছে যা খুবই হাস্যকর এবং বিস্ময়কর। ঘটনা হলো, কুকুর মানুষ কামড়েছে, সে অপরাধে পাকিস্তানে দুটি কুকুরকে শাস্তি হিসেবে দিয়েছে মৃত্যুদণ্ড।
জানা যায়, এমন হতভম্ব করে দেওয়ার মত ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচিতে। এক আইনজীবীকে আঁচড়ে কামড়ে দেওয়ায় দুটি জার্মান শেপার্ড প্রজাতির কুকুরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, আদালতের বাইরে রফা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মির্জা আখতার আলি ও কুকুর দুটির মালিক হুমায়ুন খান। রফা হয়েছে, কুকুর দুটিকে মেরে ফেলা হবে।
সম্প্রতি দেশটির করাচিতে ওই হামলার ঘটনার পর গত ৬ জুলাই আদালতের বাইরে কুকুর দুটির দণ্ড নির্ধারণ হয় বলে জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আইনজীবী মির্জা আখতার আলি সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এ সময় স্থানীয় হুমায়ুন খানের দুটি জার্মান শেপার্ড তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত হন আইনজীবী। সিসিটিভিতে ওই আক্রমণের ভিডিও ধরা পড়ে।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে অনেকেই কুকুর মালিকের সমালোচনা করেন। অনেকে আবাসিক এলাকায় বিশেষ জাতের কুকুর রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সমালোচনার মুখে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নিতে আইনজীবীকে অনুরোধ করেন কুকুর মালিক। আইনজীবী ক্ষমা করতে রাজি হন কয়েকটি শর্তে।
শর্তগুলো হলো- প্রথমত, কুকুর মালিক হুমায়ুন খান এই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন। দ্বিতীয়ত, বাড়িতে আর কোনও বিপজ্জনক বা উগ্র কুকুর পুষবেন না। তৃতীয় শর্ত হল, হামলাকারী দুটি কুকুরকে অবিলম্বে একজন পশুচিকিৎসক দিয়ে ‘মানবিকভাবে হত্যা’ করাতে হবে। এ ছাড়া, ওই মালিকের আরও যেসব কুকুর রয়েছে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে।
উভয় পক্ষ ও সাক্ষীর উপস্থিতিতে এ নিয়ে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির কাগজপত্র পরে আদালতে জমা দেওয়া হয়।
তবে পশু অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলো এই চুক্তিকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছে।
তবে এমন ঘটনা পাকিস্তানে এই প্রথম নয়। এর আগেও পাকিস্তানের আদালত এক কুকুরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। এক শিশুকে কামড়ে দেওয়ায় পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ভাক্কারের কালোর এলাকার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রাজা সালিম এমন অদ্ভূত শাস্তি দিয়েছিলেন একটি কুকুরকে।
খবর বলা হয়, মানবিক কারণেই তিনি কুকুরটিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সালিম। তিনি বলেছেন, বাচ্চাটাকে কামড়ে জখম করেছে কুকুরটা। ওকে মেরে ফেলাই উচিত।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০৪২
আপনার মতামত জানানঃ