Author: ডেস্ক রিপোর্ট

অনলাইন টেকক্রাঞ্চ বলছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত সব তথ্য ফাঁস হয়েছে সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে। ফাঁস করা তথ্যের মধ্যে আছে পূর্ণাঙ্গ নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের আইডি নম্বর। বিটক্রাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মারকোপলাস বলেছেন ২৭ শে জুন তিনি আকস্মিকভাবে বিষয়টি দেখতে পান। বাংলাদেশ ই-গভর্ণমেন্ট কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিইআরটি) এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরই এ ঘটনা দেখতে পান বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লাখ লাখ বাংলাদেশির এসব তথ্য ফাঁস হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, তারা বিষয়টি যাচাই করেছে। সরকারের আক্রান্ত ওয়েবসাইটে সার্চ অপশন ব্যবহার করে এর সত্যতা যাচাই করে তারা। এক্ষেত্রে ফাঁস হওয়া ডাটা থেকে অনেকগুলো ওই সার্চ অপশনে দিয়ে…

Read More

শেষ সম্বল বিক্রি করে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো বাংলাদেশি নারীরা সৌদি নিয়োগকর্তার লিপ্সার শিকার হওয়ার পাশাপাশি স্বদেশিদেরও যৌনলিপ্সার শিকার হচ্ছেন খোদ দূতাবাসের ভেতরেই। যে দূতাবাস সার্বভৌমত্বের প্রতীক, বিদেশ-বিভুঁইয়ে এক টুকরো বাংলাদেশ সেখানেই তারা সম্ভ্রম হারিয়ে দেশে ফিরছেন। এমন ঘটনা বিরল কিছু নয়। একজন বা দুজন নয়, একাধিক নারী একই কর্মকর্তার কাছে যৌননিগ্রহের শিকার হয়েছেন। সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার নারীদের রাখা হতো দূতাবাসের সেফহোমে। দূতাবাসের কাউন্সেলর হিসেবে সেই নারীদের অপ্রয়োজনে ডেকে পাঠাতেন। একান্ত সাক্ষাৎকারের নামে তাদের অশ্লীল প্রশ্ন করতেন। বিভিন্নভাবে হেনস্তা এবং ধর্ষণও করেছেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেইফহোমে এই আশ্রিত গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতনের (ধর্ষণ) দায়ে উপ-সচিব মো.…

Read More

দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ হচ্ছে একটি ‘লুটেরা মডেল’। এই ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে গত ১৪ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার গচ্চা গেছে। ক্যাপাসিটি চার্জের বর্তমান মডেল কোনোভাবেই টেকসই নয়। বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তৈরি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। ক্যাপাসিটি চার্জ না থাকলে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ আসবে না—এমন দাবিও মিথ্যা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে স্থানভেদে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রির সুবিধা রাখা এবং সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে এক–চতুর্থাংশ বা অর্ধেক বিদ্যুৎ কেনার নিশ্চয়তা দেবে—এ দুটি শর্তই যথেষ্ট; সঙ্গে সহজ শর্তে…

Read More

যৌনতা, নৃশংস খুন, রহস্যময় কুয়াশামাখা সিরিয়াল কিলার। এই ত্র্যহস্পর্শ হালফিলের বাংলা বাজারে যে কোনো থ্রিলারকে বেস্ট সেলার করে তুলতে পারে। অথচ ঊনবিংশ শতাব্দীতে লন্ডন শহরে বাস্তবে এমন এক রোমাঞ্চকর হত্যাকাণ্ডের হাড়হিম ঘটনাবলি মানুষকে অস্থির করে তুলেছিল। জন্ম দিয়েছিল জ্যাক দ্য রিপারের। পরবর্তী প্রায় দেড়শ’ বছরে নৃশংস খুনিদের দেখা মিলেছে বার বার। তাদের অনেকেই সিরিয়াল কিলার। সেই সব স্বভাব-হিংস্র আততায়ীদের ভিড়েও জ্যাক রয়ে গিয়েছে প্রবল পরাক্রমেই। এত বছরেও অধরা রহস্য। যা আরও বেশি করে কুয়াশা ছড়িয়ে দিয়েছে জ্যাকের ব্যক্তিত্বে। আজও যে কোনো ধারাবাহিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অবধারিতভাবে ফিরে ফিরে আসে সে। অথচ আদৌ কি সে একজনই? নাকি অনেকগুলো খুনির নৃশংসতা একসঙ্গে জড়িয়ে…

Read More

কক্সবাজারের শুকনাছড়ি এলাকায় সড়কের পাশে বড় বড় পাহাড়। ব্রিটিশ আমলে এসব পাহাড়কে ‘সংরক্ষিত বন’ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ‘প্রতিবেশ সংকটাপন্ন’ বনভূমিও রয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালে সংরক্ষিত ও সংকটাপন্ন এই এলাকার ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয় বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আপাতত স্থগিত রয়েছে সেই বরাদ্দ কার্যক্রম। বন বিভাগ বলছে, বন বিভাগের জমি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে মাত্র ১ লাখ টাকা প্রতীকী মূল্যে ওই জমি বরাদ্দ দেয়। অথচ জমির প্রকৃত মূল্য ৪ হাজার ৮০৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। একইভাবে, কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে খুনিয়াপালং মৌজায় ২০২২ সালের ৪…

Read More

সৌরজগতে বর্তমানে যে বিশাল সূর্য আর বিশাল গ্রহের উপস্থিতিতি আছে তাদের সবগুলোই ছিল মহাজাগতিক ধূলির বিস্তৃত মেঘ। মহাবিশ্বে ভাসমান হাইড্রোজেন গ্যাস, নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদিকে একত্রে বলা হয় মহাজাগতিক ধূলি। কয়েক আলোকবর্ষ ব্যাপী বিস্তৃত এরকম বিশাল ধূলির মেঘ থেকে ঘনীভূত হবার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সৌরজগতের সূর্য ও অন্যান্য গ্রহ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সৌরজগতের গঠনের সময় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গিয়েছিল। গঠন মুহূর্তে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকতো তাহলে মঙ্গল গ্রহ ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে আরেকটি গ্রহ তৈরি হতো। এক বা একাধিক কারণে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে গ্রহটি তৈরি হয়নি। তবে গ্রহ গঠন করতে না পারলেও গ্রহ তৈরির উপাদানগুলো…

Read More

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তেল বা কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সস্তা সৌরবিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে ইউরোপ; মহাদেশজুড়েই সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছড়াছড়ি। এ জন্য প্রায়ই বিদ্যুতের উৎপাদন চাহিদাকে ছাপিয়ে যায়। আর তখন দাম কমতে কমতে শূন্যের নিচে নেমে যায়। এ ঘটনা গতকাল মঙ্গলবারও আবার ঘটেছে বলে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গতকাল বিকেলের শুরুতে এসব সৌরকেন্দ্রের উৎপাদন সঞ্চালন সক্ষমতাকে ছাপিয়ে যায়। ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুতের বাজার জার্মানিতে স্থানীয় সময় বেলা ১টা থেকে ৩টার মধ্যে বিদ্যুতের দাম শূন্যের নিচে চলে যায়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন খাতে ইউরোপ ভর্তুকি দেয়। এজন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে, এক বা দুই…

Read More

দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ দেশ শ্রীলংকা নজিরবিহীন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছে। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল গত বছর। দ্বীপরাষ্ট্রটির মূল্যস্ফীতির হার ঠেকেছিল প্রায় ৬০ শতাংশে। রিজার্ভ সংকটে জ্বালানি তেলের মতো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যটিও আমদানি করা সম্ভব হচ্ছিল না। আমদানি দায় আর বিদেশী ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতায় নিজেদের দেউলিয়াও ঘোষণা করেছিল দেশটির সরকার। কিন্তু ইতিহাসের সবচেয়ে নাজুক সে পরিস্থিতি দ্রুতই কাটিয়ে উঠছে শ্রীলংকা। মূল্যস্ফীতির হার কমতে কমতে গত জুনে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মূল্যস্ফীতিও দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। জুনে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয়ও। কিন্তু…

Read More

ভারতের তামিলনাড়ুর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে রামনাথপুরাম জেলার একটি দ্বীপ পাম্বান। এটি রামেশ্বরম দ্বীপ নামেও পরিচিত। এখান থেকে শ্রীলংকার উত্তর-পশ্চিমের মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত অগভীর চুনাপাথরের একটি সেতু চলে গিয়েছে সমুদ্রের বুকে। ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এটি একসময় ভারত আর শ্রীলংকাকে যোগ করে রেখে ছিল স্থলপথে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মাইল বা ৪৮ কিলোমিটার। সবচেয়ে অগভীর জায়গাতে চুনাপাথরের গভীরতা আসলে ১ মিটারের বেশি না। তবে অন্য জায়গায় ৩০ ফুট পর্যন্তও দেখা যায়। এর ফলে সেখানে সেচ কাজ করা যায় না। এখন এই সেতু দিয়ে চলাচল করা না গেলেও, পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত একদম পায়ে হেঁটে যাবার অবস্থাই ছিল, মানুষ যেতে পারত। মন্দিরের নথি অনুযায়ী,…

Read More

সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে স্বায়ু যুদ্ধকালে আমেরিকার সামনে প্রধান শত্রু ছিল কমিউনিজম। কমিউনিজমের বিস্তার তথা সোভিয়েত প্রভাব ঠেকানোর জন্য একটি আদর্শবাদী প্রতিরোধ শক্তির প্রয়োজন ছিল। এই হিসেবে মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামের আদর্শিক পুনরুত্থানে ব্যাপকভাবে বাধা দেয়া হয়নি। শুধু এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, তাদের হাতে যেন রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ চলে না যায়। বিশ্ব রাজনীতিতে কমিউনিজমের আবেদন ফুরিয়ে যাওয়ার পর পাশ্চাত্যের বিশ্ব ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রকরা আদর্শিক শক্তি হিসেবে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে ইসলামকে। এরপর প্রফেসর হান্টিংটনের ‘সভ্যতার দ্বন্দ্ব’ তত্ত্ব দাঁড় করানো হয়। সেই সাথে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর বাস্তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ শুরু করেন ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’। এর প্রত্যক্ষ নিশানা বানানো হয় শক্তিমান ইসলামী…

Read More