Author: ডেস্ক রিপোর্ট

আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার বদলে যাচ্ছে। আর এই সম্প্রসারণের হার বদলে যাওয়ার পেছনে ঠিক কী কাজ করছে, তা এখনও অজানা বা অজ্ঞাত। মহাবিশ্ব যে গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে সেটিকে বিজ্ঞানীরা বলেন ‘হাবল ধ্রুবক’। বেশ কয়েক দশক ধরেই এই ‘হাবল ধ্রুবকে’র মান মাপার চেষ্টা করছেন গবেষকরা। তবে, এই পরিমাপ যতটা ‘নির্ভুল’ হচ্ছে, ততটাই অস্পষ্টও হয়ে উঠছে। আর এর কারণ হল, ভিন্ন ভিন্ন উপায়ের পরীক্ষায় আসছে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল। তবে, এমনটা কেন ঘটছে, সে সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার ধারণা মেলেনি। এর কারণ হতে পারে, মহাবিশ্ব ও পদার্থবিদ্যা নিয়ে মানুষের প্রচলিত ভুল ধারণা বা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ পরিমাপে কোনও ধরনের সম্ভাব্য ত্রুটি।…

Read More

৪ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে ঠিক কী ঘটেছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গুজরাটের ভুজে অবস্থিত ১.৮ কিলোমিটার প্রশস্ত জ্বালামুখ ‘লুনা ক্রেটার’-এর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন, পৃথিবীতে উল্কাপাতের কারণে এই গর্তটি তৈরি হয়েছে। অনুমান করা হয় যে, গত ৫০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর বৃহত্তম উল্কাটি লুনা ক্রেটারে আচড়ে পড়েছিল। উল্কাপিণ্ডের আঘাতে সৃষ্টি হওয়া ধাক্কা এবং বনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ওই গর্তের সৃষ্টি হতে পারে। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, হাজার হাজার বছর আগে সিন্ধু সভ্যতার লোকেরা এই স্থানে বসবাস করতো। নিউসায়েন্টিস্ট রিপোর্ট অনুসারে, কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত গর্ডন ওসিনস্কি জানান, জ্বালামুখটি পারমাণবিক বোমার সমতুল্য। লুনা ক্রেটারের ভূ-রাসায়নিক বিশ্লেষণে…

Read More

এখন থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ১৩০০ বছরের প্রাচীন খিলাফতের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল। খিলাফতের এই অবসান আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা। আমরা যে তুরস্কের কথা আলোচনা করছি, সেই তুরস্ক এখন সাড়ে আট কোটি জনসংখ্যার দেশ এবং বিশ্বের ১৯তম বৃহত্তম অর্থনীতি। তবে খিলাফতের পতন শুধু তুরস্কের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, এমন ভাবার অবকাশ নেই। ইসলামের যে রাজনৈতিক ইতিহাস তার বাঁকবদলেরও সাক্ষ্য দেয় এই পতন। প্রায় ৬০০ বছর ধরে যে অটোমান সাম্রাজ্য ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিকাশ ও বিস্তার লাভ করেছিল, নানাভাবে সেখানকার জনজীবনকে প্রভাবিত করেছিল, সেই সাম্রাজ্যের চিরসমাপ্তি ঘটে ১৯২৪ সালে। এই ফাঁকে বলে রাখি, খিলাফত…

Read More

যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করছে, ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা অত্যাসন্ন। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র ইসরায়েলি ও মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ইরান সম্ভাব্য হামলার ক্ষেত্রে উচ্চ নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে। সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) দুই শীর্ষ জেনারেল নিহত হন। সেই ঘটনার পর ইরান ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। তারপর…

Read More

“আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রহের গঠন নিয়ে গবেষণা করছি। তবে এর আগে আমরা কখনোই ভাবিনি যে, গ্রহের গঠন সিমুলেশনে দেখানো পদ্ধতিতেও হতে পারে। অথচ আমরা সবসময় ধরে নিয়েছি যে গ্রহগুলো গোলাকার।” ‘ফ্ল্যাট-আর্থারস’ বা যারা বিশ্বাস করেন যে পৃথিবী আসলে গোল নয় বরং সমতল, তারা হয়তো এতোদিন ঠিকই বলেছেন। কেবল ছোট্ট একটি সমস্যা– তারা সম্ভবত দাবিটি কয়েকশো কোটি বছর দেরিতে করে ফেলেছেন! নতুন ধারণা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। সে অনুযায়ী, কয়েকশ কোটি বছর আগেও পৃথিবী সম্ভবত সমতলই ছিল। ‘ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার’-এর বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, নবগঠিত গ্রহ গোলাকার রূপে যাওয়ার আগে চ্যাপ্টা গোলাকৃতি আকার ধারণ করতে পারে। প্রচলিত ধারণা হল, ‘প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক’ অথবা…

Read More

গার মাছ মূলত প্রাচীন প্রজাতির মাছ, যারা ডাইনোসরের আমল থেকে খুব কমই পরিবর্তিত হয়েছে। প্রায় ১৫ কোটি বছর আগের জীবাশ্ম আত্মীয়দের মতো একই রকম আছে মাছগুলো। কিন্তু কেন? কোনও প্রাণী দেখতে এর কয়েক কোটি বছর পুরোনো পূর্বসূরির মতো হলে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে? বাস্তবেই এমনটি ঘটলে মনে হবে, প্রাণীটি আগের সময়েই ‘বরফের মতো হিমায়িত অবস্থায়’ থমকে দাঁড়িয়ে আছে, যার আশপাশের সবকিছুই বিবর্তিত হয়েছে। এ ধরনের প্রাণী মূলত ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ বা ‘লিভিং ফসিলস’ নামে পরিচিত, যা দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে রেখেছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করেছেন, কেন যুগ যুগ আগের এ প্রাচীন প্রাণীগুলো খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি।…

Read More

৫০ বছরের বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বের শত শত ‘ড্রিলিং’ সাইট থেকে সংগৃহিত ডেটা অনুসারে, গভীর সমুদ্র স্রোতের গতি প্রতি ২০ লাখ বছরে একবার করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি গভীর-সমুদ্র স্রোতের নানা ভূতাত্ত্বিক রেকর্ড থেকে পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথের মধ্যে এক অদ্ভুত যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে। এর থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, অতীতের বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ঘটনা, এমনকি সমুদ্র সঞ্চালনের উপরও প্রভাব ফেলেছে এ সংযোগ। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার কমিউনিকেশন’ প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পৃথিবীর ২৪ লাখ বছরের গভীর সমুদ্র স্রোত চক্রের নানা উত্থান-পতন ঘটেছে, যা সূর্য থেকে বর্ধিত শক্তির সময়কাল ও বৈশ্বিক জলবায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর, জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য কারণ…

Read More

বিদ্যুতের ২০ হাজার মেগাওয়াট মাইলফলক স্পর্শে আলোক উৎসব এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের কৃতিত্বের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার পরও দেশের গ্রামাঞ্চলে তীব্র লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। এপ্রিলের শুরুতেই বিভিন্ন এলাকায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরকে অগ্রাধিকার দেয়া এবং রোজার মধ্যে পরিস্থিতি যেভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রোজার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এত বিদ্যুৎ কোথায় গেল? গণমাধ্যমের খবর বলছে, তীব্র গরম শুরুর আগেই সারা দেশে বাড়ছে বিদ্যুৎ সংকট। বিশেষ করে জেলা উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং চলছে।…

Read More

প্রায় প্রতিদিন ভেজাল ও নকল ওষুধের প্রাণহানির ঘটনা শুনে আসছি। এর থেকে বাঁচার উপায় কী? এর একটা সমাধান হতে পারে অবিলম্বে ওষুধ কোম্পানীগুলোকে সারা দেশে নিজস্ব শোরুম ব্যবস্থা চালু করা। যাতে মানুষ সরাসরি কোম্পানী থেকে প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন ওষুধ কিনতে পারে এবং এর ফলে দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। সারাদেশের ফার্মেসীগুলোকে ড্রাগ অধিদপ্তরে নিবন্ধিত করে তাদেরকে সরাসরি ওষুধ কোম্পানী থেকে নির্ধারিত মুল্যে ওষুধ কিনে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বাধ্যতামুলকভাবে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে, সরাসরি ওষুধ কোম্পানী ছাড়া ওষুধের পাইকারী বাজার থেকে কিনে কোন ফার্মেসী যাতে তা বিক্রি করতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে সাধারণ…

Read More

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে প্রায়ই দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়। সেসব অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, ক্ষমতাশালী শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে তারা কেবল মধ্যম ও নিম্নসারির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। “অবস্থা দেখা মনে হচ্ছে, দুদকের কর্মকর্তারা হয়তো একটি সীমারেখা নির্ধারণ করে নিয়েছেন, যেটার উপরে তারা যেতে চায় না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দুদক বলছে, দুর্নীতির প্রশ্নে তারা কাউকেই ছাড় দেন না। “অভিযোগ পেলেই আমরা তদন্ত করে দেখি এবং প্রমাণ পেলে সঙ্গে…

Read More