মহাকাশ থেকে রেডিও সিগন্যাল ভেসে আসছে, এমন কয়েকটি খবরে হইচই পড়ে গিয়েছিল চীনে। এখন তাদের দাবি, পৃথিবীর বাইরেও প্রাণ থাকতে পারে। কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে কারা যেন সংকেত পাঠাচ্ছে। রেডিও টেলিস্কোপে ধরা পড়ছে রহস্যময় আওয়াজ। ভিনগ্রহে কি তাহলে সত্যিই প্রাণের অস্তিত্ব আছে?
আমরা জানি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যেমন নেই কোনও জল-হাওয়া-বাতাস, তেমন নেই শব্দও। অথচ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন কিছু সময় বাদে বাদেই রেডিও সিগন্যাল আসছে পৃথিবীতে। তা যে স্পেস সেন্টার বা পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনও যন্ত্র থেকে নয়, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত।
তবে কারা পাঠাচ্ছে এই বেতার-বার্তা? সেই উত্তর খুঁজে চলেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
মহাকাশের অজানা দিক নিয়ে প্রতিদিনই কাজ করে চলেছেন গবেষকরা। কখনও গ্যালাক্সির খোঁজ, কখন নক্ষত্র, কখন গ্রহের সন্ধান পেতে টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে বসে রয়েছেন তারা। বিরাম নেই মহাকাশে পাঠানো যন্ত্র হাবল টেলিস্কোপেরও।
প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েই চলেছে সে। পাশাপাশি রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও। তার পাঠানো ব্ল্যাক হোলের ছবি সম্প্রতি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল বিশ্বে। এই সবের মধ্যেই এবার রেডিও সিগন্যালের সন্ধান পেলেন মহাকাশ গবেষণাকারীরা।
আমরা জানি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যেমন নেই কোও জল-হাওয়া-বাতাস, তেমন নেই শব্দও। অথচ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন কিছু সময় বাদে বাদেই রেডিও সিগন্যাল আসছে পৃথিবীতে। তা যে স্পেস সেন্টার বা পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনও যন্ত্র থেকে নয়, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। তবে কারা পাঠাচ্ছে এই বেতার-বার্তা? সেই উত্তর খুঁজে চলেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
রেডিও সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি এবং পৃথিবীতে আসার সময় হিসেব করে তারা বের করেছেন যে পৃথিবী থেকে ১২ হাজার আলোক বর্ষ দূরের কোনও গ্রহ কিংবা নক্ষত্র, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে- এক্সোপ্ল্যানেট বলে সেখান থেকে আসছে এই বেতার-বার্তা। প্রশ্ন উঠছে সেখানেই তবে কি ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব এবং পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের স্পর্শের হদিশ মিলতে পারে?
মহাকাশবিজ্ঞান বলে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র (ম্যাগনেটিক ফিল্ড) রয়েছে তা বহির্বিশ্বের ক্ষতিকর রশ্মিকে (এনার্জি পার্টিকল এবং প্লাজমা রশ্মি) আটকে প্রাণ বাঁচানোর কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রটি আছে বলেই রেডিও সিগন্যালও সেই মতো কাজ করে এবং বাইরের থেকে এই নিয়মে সঙ্কেত পাঠানো যায়।
তবে কি এমন কোনও পৃথিবী মহাকাশে আছে যেখানে প্রাণের স্পর্শ রয়েছে, যারা পাঠাচ্ছে এই রেডিও সিগন্যাল? বিজ্ঞানীরা দেখেছেন YZ Ceti নামের কোনও নক্ষত্র থেকে এই শক্তিশালী বেতার বার্তা আসছে নির্দিশট সময় পর পর।
নিউ মেক্সিকোতে বসানো Karl G. Jansky নামক শক্তিশালী টেলিস্কোপটি দিয়ে তার খোঁজও চালানো হচ্ছে। যদিও সেই সিগন্যালের অর্থ এখনও অধরাই বলে জানান হয়েছে।
কলরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক সেবেস্তিয়ান পিনেডা বলেছেন, ‘আমরা একটি প্রাথমিক সিগন্যাল বার্স্ট লক্ষ্য করি। সত্যিই সেটা চমকে দেওয়ার মতো। এরপর বেশ কয়েকবার এই সিগন্যাল আসে যা বুঝিয়ে দেয়, হয়তো কোথাও কিছু একটা রয়েছে।’
গবেষকরা এও জানিয়েছেন, গ্রহ হোক কিংবা নক্ষত্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড না থাকলে এমন শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল পাঠানো অসম্ভব। যেহেতু একাধিকবার সিগন্যাল পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে তার সঠিক অবস্থান এবং উত্তর পেতে মরিয়া মহাকাশ গবেষকরাও।
এসডব্লিউএসএস/২১৩০
আপনার মতামত জানানঃ