সংখ্যালঘু সম্প্রদায় প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন তুলনামূলকভাবে বেশি হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বেশি দেখা যায়। রাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। রাষ্ট্রকেই রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে হয়রানি ও হেয় করা সামাজিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কারও ওপর আক্রমণ হলে অন্যরা প্রতিবাদ করে এগিয়ে আসতেন। এখন সেটি তেমন একটা দেখা যায় না। আর আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চেয়েও সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল করে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে আর আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি টার্গেট করে দখল করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা হয়রানি হচ্ছেন। এগুলো ঠেকাতে হবে।’
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চেয়েও সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল করে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে আর আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি টার্গেট করে দখল করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা হয়রানি হচ্ছেন।
সিলেট জেলা হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্কের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সদস্যসচিব লক্ষ্মীকান্ত সিংহ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের হার বেড়ে যাওয়ায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা।
তারা বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথা বলে দেশের নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর যেভাবে অন্যায়-অত্যাচার করা হচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা ঠেকাতে সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
বক্তারা আগামী ১লা অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবে দুষ্কৃতিকারীরা যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ার জোর আহবান জানান।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩১৬
আপনার মতামত জানানঃ