বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস পর প্রকাশিত কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার চিত্র উঠে এসেছিল। ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমপক্ষে ১৯৭টি কেন্দ্রে ১০০% ভোট পড়েছে। আর অন্তত ১ হাজার ৮৮৯টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯৫% থেকে ৯৯.৯৯ শতাংশ। যা একপ্রকার সম্ভব নয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। জালভোট আর কারচুপির প্রমাণ এই পরিসংখ্যানই। মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। আর এই গলা টিপে ধরা হাত দু’টি আওয়ামী লীগের।
এবার আবার দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন সম্প্রতি সংসদে পাস করা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই আইনের দাবি করে আসলেও এতদিন তার পক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান দৃশ্যমান ছিল না। অনেকটা আকস্মিকভাবেই আইনটি প্রণয়ন করা হলে সরকারের অবস্থান এবং এমনকি ঐ আইন নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক বেশ পুরনো। এর পাশাপাশি বিতর্কিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনও। তবে এই সময় যখন তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তখন নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, কোন দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা আদৌ সম্ভব কিনা।
এই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের এই উদ্যোগ। বিরোধীদল বিএনপিসহ কয়েকটি দল বলছে, নির্বাচন কমিশন যেভাবে বা যাদের দিয়েই গঠন করা হোক, সরকার যদি দলনিরপেক্ষ না হয়, তাতে কোন লাভ হবে না।
নির্বাচনী ব্যবস্থা ও আস্থার সংকট
বিএনপিসহ বেশ কিছু দল যুক্তি দিচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়। নির্বাচন কমিশন যাই হোক না কেন- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন দল নিরপেক্ষ সরকার।
সুশাসনের বিষয়ে কর্মরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেন, বড় দলগুলোর কারণে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে আস্থার যে সংকট হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন একা কিছু করতে পারবে না। এই পরিস্থিতির দায় একক কোন দল নয়, সব দলের ওপরই বর্তায় বলে তিনি মনে করেন।
এটা কিন্তু একটা রাজনৈতিক দল নয়। প্রত্যেকটা দলই তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রত্যেকটা ইনস্টিটিউশনের রাজনীতিকীকরণ করেছে। এটার যে কী প্রভাব ফেলছে মানুষের ওপর-তাদের এখন কোন কিছুর ওপর বিশ্বাস নাই।
নির্বাচন কমিশনতো একা কিছু করতে পারবে না। এখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অনেকে জড়িত। কিন্তু তাদের সকলের মধ্যে বিশ্বাস নাই।
বাংলাদেশে ক্ষমতা যেভাবে কেন্দ্রীভূত হয়ে যায়, সেটিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বাধা হিসাবে দেখেন অধ্যাপক শাহনাজ হুদা। তিনি বলেন, ক্ষমতাটা এমনভাবে তারা প্রয়োগ করে যে ক্ষমতায় না থাকলে তাদের ওপর বিপদ আসতে পারে। এই একটা ধারণা থাকার ফলে তারা ক্ষমতা ছাড়তে রাজি থাকে না। মানে একটা সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিবর্তনতো হয় না আমাদের দেশে।
বাংলাদেশে একবারই সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল বলা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করে নির্বাচনের জন্য তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল ২০০১ সালে। সেই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসেছিল।
কিন্তু জোট সরকারের মেয়াদের শেষদিকে যে তত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কথা, সেটিতে নিজেদের পছন্দের লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করার দৃশ্যমান চেষ্টায় লিপ্ত হয় তারা। তাদের সরকারের রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেই তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন। তখন উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল।
এরপর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাশ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলোপ করা হয়। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচনের যুক্তিতে সংবিধান সংশোধন করে তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছিল। এই ব্যবস্থায় তিনটি নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ সংসদে তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবিধে নিয়ে ব্যবস্থাটি বাতিল করে।
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে যোগ হওয়ার পর ওই বছরই সপ্তম, ২০০১ সালে অষ্টম ও ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়। আওয়ামী লীগের দাবিতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক এলেও তাদের উদ্যোগেই বিলুপ্ত হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি।
আ’লীগ যেভাবে নির্বাচনকে কাগজে কলমে আটকে দিল
বামপন্থী একটি দল কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোর ওপর ভর করে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছে। এখন রাষ্ট্রযন্ত্রের সুবিধাভোগী অংশই সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় বাধা বলে তিনি মনে করেন।
এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে আমলাতন্ত্রকে তার নিজের পক্ষে নিতে সক্ষম হয়েছে।
জনসমর্থনহীন অবস্থায়ও রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে শক্তির ভিত্তি এবং একমাত্র অবলম্বন হিসাবে নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এটা সিস্টেমে দাঁড়িয়ে গেছে। এমন ব্যবস্থার মধ্যে চলে যাওয়ার কারণে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এখনকার এই পরিস্থিতির জন্য বিএনপিকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন সেটার জন্য বিএনপিও দায়ী। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শেষ সময়ে যে চেষ্টা করেছিল, সেটা তখন ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সেই একই চেষ্টা করে এখনও পর্যন্ত সফল হয়েছে।
সেলিম মনে করেন, দুই দলই ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় সরকারের প্রভাবের ভেতরে নির্বাচন করে নানা কারচুপির মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনতে চায়। সেটাই বড় সমস্যা।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা দেশ-বিদেশের সবাই দেখেছেন। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরের বাংলাদেশে এ রকম হতাশাব্যঞ্জক নির্বাচন যে কখনো হতে পারে, এটা হয়তো আমরা কেউই ভাবিনি।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর অধীনে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোই শুধু গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আর কোনো নির্বাচনই সেই মাত্রায় গ্রহণযোগ্য হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, তা লক্ষ করে আমরা বলেছি, এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি। শুধু আমরা নই, আরও অনেকেই এটা বলেছেন।
নির্বাচনটি যে একবারেই সুষ্ঠু হয়নি, তা তো নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকালেই স্পষ্ট দেখা যায়। শুধু একটি উদাহরণ দিলেই চলে: ২১৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোট পড়েছে শতভাগ, যা বাস্তবে সম্ভব নয়। ৫৯০টি কেন্দ্রে শতভাগ বৈধ ভোট পড়েছে একটিমাত্র প্রতীকের পক্ষে। এর অর্থ কী, তা সবাই বুঝতে পারে।
শুধু ক্ষমতাসীন দল ছাড়া দেশের প্রত্যেক মানুষ এই নির্বাচনের ব্যাপারে দুঃখিত, ক্ষুব্ধ, হতাশ। অথচ নির্বাচন কমিশন দাবি করে আসছে যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে, সঠিকভাবেই হয়েছে। এমনকি তারা বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তারা যদি এমন কথা বলে, তাহলে তাদের কী বলা যায়!
সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া আছে সংশ্লিষ্ট আইনে। নির্বাচনের সময় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর ওপর নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ থাকার বিধান রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও সর্বাত্মক সহোযোগিতা করার কথা বলা আছে।
কিন্তু দলীয় সরকারের সময়ে কমিশনের ক্ষমতা কাগজে কলমেই রয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় গঠিত নির্বাচন কমিশনে কমিশনার ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সময় গঠিত হয় দূর্বল নির্বাচন কমিশন। সেকারণে নির্বাচন কমিশনও ভূমিকা রাখতে পারে না বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা যে সবকিছুর ওপর এককভাবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে থাকে। আমাদের মতো দেশে যেখানে সরকার অত্যন্ত শক্তভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। সেই জায়গায় যাদের দিয়ে নির্বাচন করানো হয়, তারা কিন্তু সরকারি আমলা।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইনে যাই থাকুক না কেন- নির্বাচন কমিশন দূর্বল চিত্তের হলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। এবং দলীয় সরকারের অধীনে সে রকম ডাইনামিক নির্বাচন কমিশন পাওয়াও যায় না।
এপর্যন্ত আমাদের ইতিহাস তাই বলে। এপর্যন্ত ১২টি নির্বাচন কমিশন হয়েছে। এরমধ্যে চারটি নির্বাচন কমিশন মোটামুটি ভাল নির্বাচন দিয়ে গেছে। এই কমিশনগুলো নিয়োগ করেছিল নিরপেক্ষ সরকার। এখন সেই তুলনায় দেখা হলে দলীয় সরকারের সময়ে সেরকম শক্ত লোককে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ করা হয়নি।
সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের পতনের পর প্রথম তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯১ সালে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা নিয়ে র্দীর্ঘ দিনের বিতর্ক এবং আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন দলের আন্দোলনের মুখে সংবিধানে সংশোধনী এনে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হলে পর পর তিনটি নির্বাচন হয়েছিল সেই ব্যবস্থায়।
এদিকে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতিটাই হচ্ছে ক্ষমতায় থাকলে সে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে এবং করে থাকে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সারে ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানে সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
এরপর বিএনপির নেতৃত্বীধীন জোটের বর্জনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি অংশ নিয়েছিল।
দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনের অবস্থানে আওয়ামী লীগ এবং তার শরিকরা রয়েছে। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মন্ত্রী ড: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব বলে তারা বিশ্বাস করেন।
বিএনপির অভিযোগের জবাবে ড: রাজ্জাকের বক্তব্য হচ্ছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা (বিএনপি) অংশ নেয়নি। ঐ নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য তারা তখন ব্যাপক সহিংসতা করেছে। তখন (২০১৪ সালে) সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন করা হয়েছে।
এরপর ২০১৮ সালে মানুষের অস্বাভাবিক সমর্থন আমাদের দলের প্রতি ছিল। তবে জনসমর্থন বেশি থাকলে অনেক ক্ষেত্রে অতিউৎসাহী নেতাকর্মী কিছু অনিয়ম করে। তবে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হলে সুষ্ঠু নির্বাচনে দলীয় সরকার কোন বাধা নয়-এই বক্তব্য বা অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ড: রাজ্জাক নির্বাচনে কমিশনে দৃঢ় মনোভাবের ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন।
তবে অনেক ব্যর্থতার অভিযোগ বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের বিতর্কিত নির্বাচন করেছে এই কমিশন। তাদের পাঁচ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে যত নির্বাচন হয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠেছে।
তাদের শেষের দিকে এসে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে অতটা প্রশ্ন ওঠেনি। অবশ্য নারায়ণগঞ্জের ঐ নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ নেয়নি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে নিয়ে তাদের দলের বিরোধিতার ক্ষেত্রে এখন ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের অভিজ্ঞতা যুক্তি হিসাবে আসছে।
আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ২০১৪ সারে ৫ই জানুয়ারি কোন নির্বাচনই হয়নি। এবং ২০১৮ সালে আগের রাতেই নির্বাচন হয়ে গেলো, সেখানে কারও কিছুই করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও দেখছেন যে, কত প্রাণহানি হচ্ছে। এবং সরকার এব্যাপারে কিছুই করছে না। বরং এই সিস্টেম কীভাবে নষ্ট হবে-তারা সেই চেষ্টাই করছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৭১০
আপনার মতামত জানানঃ